“মৃত্যুবাগিচার বীর" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ ইসলামি গল্প বলতে নবি-রাসুল-সাহাবিতাবেয়ি-পূর্ববর্তী ওলিআল্লাহ কিংবা মুসলিমশাসকদের জীবনী এবং তাদের জীবনঘনিষ্ঠ ঘটনার সমাবেশই আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত সমাদৃত উপকরণ এর সীমানা ডিঙিয়ে নতুন উপকরণসমৃদ্ধ গল্পের বাতাবরণ এখনাে বাংলাভাষায় সেভাবে প্রস্ফুটিত হয়নি। চেষ্টা যে হয়নি তা কিন্তু নয়, তবে কলমের ধার বলে একটা কথা আছে। সেই ধারালাে কোনাে কলমে ইসলামিগল্পের নতুন উপকরণ যেমন লালিত হয়নি তেমনি আমাদের গল্পেও ইসলামি উপজীব্যতা প্রার্থিত হয়নি আজ অবধি। এই গল্প সিরিজে সীমানা ডিঙানাের মতাে দুরূহ কিন্তু প্রয়ােজনীয় কাজটি করা হয়নি ঠিকই, তবে ঐতিহ্যবাহী সেই ধারাকে উপজীব্য করে নতুন একটা আঙ্গিক দেয়া হয়েছে প্রতিটি গল্পে। শব্দের চাতুর্যসিক বাহুল্য নয়, প্রাঞ্জল এবং গতিময় গদ্যে উপস্থাপিত হয়েছে। দূরবর্তী ইতিহাসের নাকাড়া পড়লে মনে হবে, নিকট অতীতে ঘটে যাওয়া কোনাে ঘটনার ধারাবিবরণী। ‘ইতিহাস এটাই শিক্ষা দেয় যে, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না'- এ কথা স্রেফ বাতুলতা। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিলে আজকের মানবসম্প্রদায় অক্ষরজ্ঞানসমৃদ্ধ হতাে না; এখন পর্যন্ত তাদের আগুন জ্বালাতে হতাে চকমকি পাথর ঘষে। ইতিহাস থেকে মানুষ শিক্ষা নিয়েছিলাে বলেই ইতিহাস আজো ইতিহাস হয়ে আছে, নয়তাে পৃথিবীর কোনাে ইতিহাসই লেখা হতাে না কোনােদিন। এ গ্রন্থ সে ইতিহাসেরই স্মরণ দিয়েছে মাত্র। যদি কেউ শিক্ষা নেয়...!