“অল্প বিদ্যা ভয়ংকর" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ অল্প বিদ্যা ভয়ংকর সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের পরিচর্যা ব্যক্তি পর্যায় থেকে শুরু করতে পারলে, পরিবার থেকে পৃথিবীময় এর সুবাতাস বইতে থাকবে। একটি সুন্দর পৃথিবী গড়তে হলে সবার আগে নিজেকেই গড়ে তুলতে হয়। মানুষ গল্প পড়তে ভালােবাসে। আর সেই গল্প যদি হয় সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের বার্তাবাহী, শিক্ষণীয় এবং উপদেশমূলক, সঙ্গে থাকে হাসি-আনন্দ ও চিত্তবিনােদনের খােরাক, রুচিশীল পাঠকের জন্যতাে সেটা অবশ্যই সুখপাঠ্য। অল্প বিদ্যা ভয়ংকর’ তেমনই একটি উপদেশমূলক গল্পের বই। পৃথিবীতে আগমনকারী প্রত্যেক নবী-রাসূল আলাইহিস সালামই সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে এসেছেন। আল্লাহ রাব্বল আলামিন মানবতার নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকেও৷ সেই বার্তা দিয়েই পাঠিয়েছেন। তাঁর আনিত ও প্রচারিত সেই সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের সমন্বিত নাম ইসলাম। আর সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের বার্তাবাহী কতগুলাে চিত্তবিনােদনমূলক শিক্ষণীয় গল্পের মলাটবদ্ধ রূপই ‘অল্প বিদ্যা ভয়ংকর। জানা-অজানা-রূপকথা-সত্যকথার কতগুলাে হাসি-মজার গল্পের সমাবেশ ঘটেছে বইটিতে। মানুষ বিষয়ক গল্প এবং পশুপাখি বিষয়ক গল্প-এই দুই ভাগে সাজানাে বইটিতে ৯০টির বেশি গল্প স্থান পেয়েছে। প্রতিটি গল্পের শেষে অল্প কথায় শিক্ষাও সংযােজিত রয়েছে। বইটি পড়ে পাঠকসমাজ আনন্দ-বিনােদনের মধ্য দিয়ে শিক্ষা ও নসিহত হাসিল করতে পারবেন। বইটি ছােট-বড় সবশ্রেণীর পাঠকের মন ছুঁয়ে যাবার মতাে। বিশেষ করে শিশু-কিশােরদের জন্য এটি একটি চমৎকার উপহার।
মাওলানা মুনীরুল ইসলাম ১৯৮০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার খামারগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নব্বই দশকের শুরুর দিকে ক্যাম্পাসের বড় ভাইদের দেয়ালিকা লেখা দেখতে দেখতে তিনি লেখতে শুরু করেন। তৎকালীন মাসিক জাগো মুজাহিদ-এর জানুয়ারি-১৯৯৫ সংখ্যায় ছাপার হরফে তার প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন। তার লেখা গ্রন্থের সংখ্যা ৪০টির মতো। সাহিত্যের প্রায় সব শাখায় তার বিচরণ রয়েছে। তবে আকাবির ও ইতিহাসের গল্প চমৎকার মুনশিয়ানার সঙ্গে উঠে আসে তার কলমে। ‘জীবন গড়ো সিরিজ’ ও ‘খোশবু সিরিজ’-এ লিখেছেন ছোটদের জন্য চমৎকার কিছু বই। ছড়া-কবিতার প্রতি রয়েছে আলাদা ঝোঁক। ইসলামি সংগীত রচনায়ও তার দখল রয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠীর কয়েকটি অ্যালবামে তার সংগীত রিলিজ হয়েছে এবং শ্রোতামহলে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। লেখালেখিতে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি মাসিক আদর্শ নারী লেখক সম্মাননা-২০১২; সত্যের সন্ধানে লেখক সম্মাননা-২০১৫, কাব্যকথা জাতীয় সাহিত্য পদক-২০১৫, আমরা এক কাফেলা লেখক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সম্মাননা-২০২১ সহ অনেক পুরস্কার ও সনদ লাভ করেছেন। তিনি ২০০১ সালে বেফাকের অধীনে জামিয়া আরাবিয়া কাসেমুল উলূম কুমিল্লা থেকে দাওরায়ে হাদিস এবং ২০০৪ সালে সোনাকান্দা দারুল হুদা বহুমুখী কামিল মাদরাসা কুমিল্লা থেকে কামিল [মাস্টার্স] সম্পন্ন করেন। এছাড়াও লেখালেখি ও সাংবাদিকতা বিষয়ক বিভিন্ন কোর্স ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন। এক যুগেরও বেশি সময় তিনি মাসিক আদর্শ নারী’র সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি লেখালেখি, সম্পাদনা এবং শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত আছেন। তিনি লেখকপত্রের নির্বাহী সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক। বইপত্র সম্পাদনা ও প্রকাশের ঠিকানা সম্পাদনা কেন্দ্রে’র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকও তিনি।