ভাইয়াকে নিয়ে পারা যাচ্ছে না আর। কখন কী সব উদ্ভট কথা মনে হয় সে-ই জানে ভালো! এই মুহূর্তে তার মনে হয়েছে সে একটা বিড়াল পুষবে। বিড়াল খারাপ জিনিস না। ওটা যথেষ্ট মিষ্টি একটা প্রাণী। ওটাকে বাসা... See more
ভাইয়াকে নিয়ে পারা যাচ্ছে না আর। কখন কী সব উদ্ভট কথা মনে হয় সে-ই জানে ভালো! এই মুহূর্তে তার মনে হয়েছে সে একটা বিড়াল পুষবে। বিড়াল খারাপ জিনিস না। ওটা যথেষ্ট মিষ্টি একটা প্রাণী। ওটাকে বাসায় রাখতে আমাদের কারোর কোনো আপত্তি থাকার কথা না। কিন্তু মুশকিলটা অন্য জায়গায়। ভাইয়ার অ্যালার্জীর সমস্যা আছে। সেজন্য তাকে সারাবছরই ওষুধ খেতে হয়। এখন সে যদি একটা বিড়াল এনে বাসায় তোলে, তাহলে ওই বিড়ালের লোম থেকে তার সমস্যাটা বাড়বে বৈ কমবে না। আর তাছাড়া ঢাকার ছোটখাট ফ্ল্যাটবাড়িতে বিড়াল পোষার যন্ত্রণাও কম না। ওইটুকু জায়গার মধ্যে মানুষ কোথায় থাকবে, আর বিড়ালই বা কোথায় থাকবে? উপরন্তু ভাইয়ার আছে একটা ময়না পাখি, দুটো বড় বড় অ্যাকুরিয়াম ভর্তি মাছ, এক জোড়া কবুতর আর এক জোড়া লাভ বার্ড। এগুলোর যত্ন নিতে গিয়েই বড় খালামণিকে হিমশিম খেতে হয়। এখন যদি ভাইয়া আরেকটা বিড়াল এনে বাসায় তোলে, তাহলে বড় খালামণির খুবই করুণ অবস্থা হবে।
অল্পবয়সী হাসিখুশি স্বপ্নবিলাসী মেয়ে মীম নোশিন নাওয়াল খান। জন্ম ৬ জানুয়ারি। খুব ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির হাতেখড়ি। প্রকৃতিপ্রেমী মীমের লেখার উৎসাহ, প্রেরণা ও বিষয়বস্তু প্রকৃতি, সঙ্গে মিশেছে অনেকটা কল্পনা আর খানিকটা সমাজ ও পরিবেশ। বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক ও বাৎসরিক পত্রিকা এবং ম্যাগাজিনে তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকা এবং ম্যাগাজিনে লিখছে নিয়মিত। স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছে বিভিন্ন পুরস্কার। উল্লেখযোগ্য পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে “প্রথম আলো ঐতিহ্য গোল্লাছুট গল্পলেখা প্রতিযোগিতা”- ২০০৯ সালে অন্যতম সেরা, ২০১১ সালে “ক” গ্রুপে প্রথম স্থান, ইউনিসেফ প্রদত্ত মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস ২০১০ ও ২০১৪ সালে প্রিন্ট মিডিয়া-সৃজনশীল- অনূর্ধ্ব ১৮ ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার, ২০১১ সালে মনোনয়ন, ২০১৩ এবং ২০১৫ সালে দ্বিতীয় পুরস্কার, ছোটদের মেলা সেরা শিশু লেখক পুরস্কার ২০১৪। বাংলার পাশাপাশি ইংরেজিতেও লেখে মীম। তার স্বীকৃতি হিসেবে ব্রিটিশ কাউন্সিল আয়োজিত হে ফেস্টিভ্যাল ক্রিয়েটিভ রাইটিং কম্পিটিশনে জিতে নিয়েছে অন্যতম সেরার পুরস্কার। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে মীম লিখছে বাইরের অনলাইন এবং প্রিন্ট পত্রিকায়ও। ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি শিশু-কিশোরদের ম্যাগাজিনে ছাপা হয়েছে তার কিছু লেখা। আলোকচিত্র ও ছবি আঁকাতে দক্ষ মীমের ঝুলিতে এই বিষয়গুলোতেও নানা পুরস্কার রয়েছে। নিজের দুটি বইয়ের প্রচ্ছদ এঁকে আত্মপ্রকাশ করেছে প্রচ্ছদশিল্পী হিসেবেও। লেখালেখি, সাংবাদিকতা, আলোকচিত্র, ছবি আঁকা, বিতর্ক ও হাতের কাজ করা মীমের পছন্দের বিষয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটি আয়োজিত ২য় জাতীয় আলোকচিত্র উৎসব ২০১৫-তে স্কুল লেভেলে প্রথম পুরস্কার অর্জন করেছে সে। এছাড়া ২০১৩ সালে বাংলাদেশ ইউথ লিডারশিপ ট্রেনিং সেন্টার থেকে ইউথ লিডারশিপের উপর গ্র্যাজুয়েশন করেছে। মীম টেনসা হাই আইকিউ সোসাইটির একমাত্র বাংলাদেশি সদস্য। বর্তমানে লেখাপড়ার পাশাপাশি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ডটকম এ সর্বকনিষ্ঠ নিউজরুম এডিটর হিসেবে কাজ করছে সে।
‘পড়শি’ বই টি অল্পবয়সী তরুন লেখিকা মীম নোশিন নাওয়াল খান এর লেখা একটি কিশোর উপন্যাস । লেখিকার জন্ম ৬ জানুয়ারি। খুব ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির হাতেখড়ি। প্রকৃতিপ্রেমী মীমের লেখার উৎসাহ, প্রেরণা ও বিষয়বস্তু প্রকৃতি, সঙ্গে মিশেছে অনেকটা কল্পনা আর খানিকটা সমাজ ও পরিবেশ। বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক ও বাৎসরিক পত্রিকা এবং ম্যাগাজিনে তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকা এবং ম্যাগাজিনে লিখছে নিয়মিত। স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছে বিভিন্ন পুরস্কার। উল্লেখযোগ্য পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে “প্রথম আলো ঐতিহ্য গোল্লাছুট গল্পলেখা প্রতিযোগিতা”- ২০০৯ সালে অন্যতম সেরা, ২০১১ সালে “ক” গ্রুপে প্রথম স্থান, ইউনিসেফ প্রদত্ত মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস ২০১০ ও ২০১৪ সালে প্রিন্ট মিডিয়া-সৃজনশীল- অনূর্ধ্ব ১৮ ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার, ২০১১ সালে মনোনয়ন, ২০১৩ এবং ২০১৫ সালে দ্বিতীয় পুরস্কার, ছোটদের মেলা সেরা শিশু লেখক পুরস্কার ২০১৪। বাংলার পাশাপাশি ইংরেজিতেও লেখে মীম। তার স্বীকৃতি হিসেবে ব্রিটিশ কাউন্সিল আয়োজিত হে ফেস্টিভ্যাল ক্রিয়েটিভ রাইটিং কম্পিটিশনে জিতে নিয়েছে অন্যতম সেরার পুরস্কার। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে মীম লিখছে বাইরের অনলাইন এবং প্রিন্ট পত্রিকায়ও। তার লেখা পড়শি বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে । বইটি প্রকাশিত হয় বিদ্যাপ্রকাশ প্রকাশনী থেকে এবং এর প্রকাশক মজিবর রহমান খোকা । প্রচ্ছদ করেছেন রাগীব আহসান । বইয়ের নাম পড়শি , এটি একটি বিড়ালের নাম , বইয়ের একটি চরিত্রের শখ হয়েছে সে বিড়াল কিনবে , কিন্তু তার বড় খালামনি বাসায় বিড়াল আনতেই দিবে না , কিন্তু তার জেদের জন্য একদিন বড় খালাই তাকে নিয়ে কিনে এনে দিল বিড়াল , একটি পার্সিয়ান ক্যাট। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই সেটি অসুস্থ্য হয়ে পড়ল , তখন বিড়ালটি কে বাইরে দিয়ে আসা হল , কিন্তু ছেলেটির যেন মন খারাপ না হয় সেই জন্য একটি দেশী বিড়ালের বাচ্চা নিয়ে আসা হল বাসায় । সাদা আর বাদামী রঙ্গের দেশী বিড়ালছানা । সেই বিড়ালটির নাম দেওয়া হল পড়শি , যার নামেই এই বইটি । ভিন্নস্বাদের এ কিশোর উপন্যাসটি সকলেরই ভালো লাগবে ।