"দ্য ফরটি রুলস অফ লাভ" বইয়ের ফ্ল্যাপের অংশ থেকে: তুরস্কের জনপ্রিয় লেখিকা এলিফ শাফাক এই বইতে লিখেছেন আপাতদৃষ্টিতে সম্পূর্ণ আলাদা দুই সময়ের কাহিনি। একটি গল্প সমসাময়িক । অন্যদিকে আরেকটি গল্পের পটভূমি রচিত হয়েছে ত্রয়ােদশ শতাব্দীতে, যখন বিখ্যাত মুসলিম দার্শনিক রুমি তার আত্মিক পথপ্রদর্শক, রহস্যময় দরবেশ শামস তাবরিজির দেখা পেলেন । লেখিকার সাবলীল লেখনীতে দুই সময়ের দুই গল্পে মিলেমিশে রচিত হয়েছে ভালােবাসার এক চিরন্তন উপাখ্যান। এলা রুবিনস্টাইনের বয়স চল্লিশ । স্বামী সন্তান সবই আছে, কিন্তু ভালােবাসা নেই। আর তাই দাম্পত্যজীবনে সুখ নেই তার । একঘেয়েমী থেকে বাঁচতে এক লিটারেরি এজেন্টের অধীনে পাঠক হিসেবে কাজ নিল সে। প্রথম যে পাণ্ডুলিপি তার হাতে এল তার নাম মধুর অবিশ্বাস, লেখকের নাম আজিজ জাহারা । প্রথমে বেশ অনীহার সাথে বইটা পড়তে শুরু করলেও ধীরে ধীরে সে ডুবে যেতে লাগল কাহিনিতে । জানতে পারল, কিভাবে রুমির জীবন বদলে গিয়েছিল ভবঘুরে দরবেশ শামস তাবরিজির স্পর্শে। পরিচিত হলাে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ভালােবাসার অদৃশ্য নিয়মের সাথে, যার কাছে সব ধর্ম, সব মানুষ একই সমান। এক সময় এলা আবিষ্কার করল, রুমির এবং তার নিজের জীবনের গল্পে কোনাে পার্থক্য নেই। রুমির জীবনে যেমন শামস এসেছিল; তেমনি তার জীবনে এসেছে জাহারা, তাকে মুক্তি দিতে…
১৯৭১ সালের ২৫ অক্টোবর ফ্রান্সের স্ট্রাসবার্গে এলিফ শাফাকের জন্ম। তুর্কী বংশােদ্ভূত এই লেখিকা একাধারে ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, নারী অধিকার আদায়ে সােচ্চার প্রতিবাদী এক কণ্ঠ এবং সুবক্তা। তিনি যে সুবক্তা, তার প্রমাণ মেলে। লেখা উপন্যাস ও গল্পে। বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত। হয়েছে তার উপন্যাস, পেয়েছে জনপ্রিয়তা। বেশ কিছু পুরষ্কারেও ভূষিত হয়েছেন এলিফ। হয়েছেন বেশ কিছু প্রতিযােগিতার বিচারক। এশিয়া ইউরােপের ইতিহাস, ধর্ম, রাজনীতি, সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ের সাথে অতীতের অপূর্ব সম্মিলন। ঘটাতে সিদ্ধহস্ত এই লেখিকার হাত ধরে এসেছে। থ্রি ডটারস অব ইভ, দ্য গেয, দ্য ফর্টি রুলস অব 'লাভ, দ্য আর্কিটেক্ট'স এপ্রেন্টিসের মতাে জনপ্রিয় কিছু উপন্যাস।