"স্তালিন মিথ্যাচার এবং প্রাসঙ্গিকতা" বইটির 'প্রাককথন' এর লেখাঃ রুশ বিপ্লবের অন্যতম প্রধান রূপকার কমরেড লেনিন বলেছেন : কোনাে ব্যক্তি, বিষয়, আন্দোলন অথবা কর্মকাণ্ডের মূল্যায়ন পর্যালােচনা করতে হলে তৎকালীন বাস্তব পরিস্থিতি, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় অবস্থা, শ্রমিকশ্রেণির অবস্থান, শােষকশ্রেণি ও শােষিত শ্রেণিগুলাের পারস্পরিক শক্তির অবস্থা এবং সর্বহারা শ্রেণির চরম লক্ষ্য ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা বিষয়ের তৎকালীন আশু কর্মসূচির বিশ্লেষণ করতে হবে। এই ধরনের বিচারেই সঠিক মার্কসবাদী মূল্যায়ন বা পর্যালােচনা বেরিয়ে আসে। ইতিবাচক ও নেতিবাচক কতগুলাে ঘটনার যােগ ও বিয়ােগ ফলের দ্বারা তা হয় না। মার্কসবাদী দৃষ্টিতে একটা সামগ্রিক, সার্বিক ও অখণ্ড চিন্তা বেরিয়ে আসবে, নতুবা খণ্ডিত বা আংশিক বিচার হয়ে যায়। কমরেড লেনিনের এই শিক্ষার আলােতেই তাঁর সুযােগ্য সহকারী কমরেড স্তালিনের বিপ্লবী জীবনের শিক্ষাগুলােকে আয়ত্ত করতে হবে। এবং শ্রেণি আন্দোলন ও গণ-আন্দোলন বিকাশের ক্ষেত্রে তার সঠিক প্রয়ােগ ঘটাতে হবে! রাশিয়ার বুকে জার স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে বলশেভিক পার্টি গড়ে তােলা, শােষিত শ্রমিকশ্রেণির নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবকে সফল করে তুলবার জন্য সংগ্রাম, ট্রটস্কিবাদের বিরুদ্ধে তীব্র আদর্শগত সংগ্রাম, বিপ্লববার পরিস্থিতিতে সােভিয়েত সমাজতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখবার সংগ্রাম, কমরেড লেনিনের জীবনাবসানের পর সােভিয়েত ইউনিয়নের সমাজতান্ত্রিক অগ্রগতিকে অব্যাহত রাখবার সংগ্রাম এবং সর্বোপরি হিংস্র উন্মত্ত ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মানবজাতিকে রক্ষার সংগ্রামে ব্যাপৃত ছিল কমরেড স্তালিনের সমগ্র জীবন। শুধু তাই নয়, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন ও জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে অটুট রাখতে তিনি পুঁজিবাদী ও ঔপনিবেশিক দেশগুলােতে কমিউনিস্ট পার্টি গঠনে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করে বিশ্ব কমিউনিস্ট আন্দোলনে এক অনবদ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। কমরেড স্তালিনই সর্বপ্রথম কমরেড লেনিনের শিক্ষা ও তত্ত্বগুলােকে সূত্রবদ্ধ করে সৃষ্টি করেন লেনিনবাদ! এর সংজ্ঞা নির্ধারিত করে তিনি বলেছিলেন : লেনিনবাদ হলাে সাম্রাজ্যবাদ ও শ্রমিক-বিপ্লবের যুগের মাকর্সবাদ। আরও সঠিকভাবে বলতে গেলে বলতে হয়, লেনিনবাদ হলাে সাধারণভাবে শ্রমিক-বিপ্লবের মতবাদ ও রণকৌশল এবং বিশেষভাবে এ হলাে শ্রমিকশ্রেণির মতবাদ ও রণকৌশল। মাকর্সবাদ-এর তত্ত্বকে বিকশিত করে তুলেছিলেন কমরেড স্তালিন। তিনিই লেনিনবাদের প্রবক্তা। ১৯২৪-এ প্রকাশিত কমরেড স্তালিনের ‘লেনিনবাদের ভিত্তি এবং ১৯২৬-এ ‘লেনিনবাদের সমস্যা' পুস্তক দুটিতে লেনিনবাদের আরও ব্যাপক বিস্তৃত আদর্শগত ব্যাখ্যা রয়েছে। যােসেফ স্তালিনের বিরুদ্ধে অভিযােগ অনেক। কমিউনিজমের চিরশত্রু পুঁজিবাদী বিশ্ব তাে বটেই, এমনকি সােস্যাল ডেমােক্রাট, নির্বাচনপন্থী কমিউনিস্ট আর শ্রেণি সচেতন শ্রেণি সংগ্রামী কমিউনিস্টরাও স্তালিনের বিরুদ্ধে এক ফর্মা বলতে পারলে স্বস্তি বােধ করেন। তাদের মনে হয় তারা গণতান্ত্রিক শুদ্ধাচারের এক মহান ব্রত পালন করলেন! (তা সে প্রমাণ থাকুক বা না থাকুক) কেউ কেউ মনে করেন ইতিহাসের কাঠগড়ায় নৈর্ব্যক্তিক থাকা। তিনি তাঁর এককালের সাথিদেরও নাকি ছাড়েননি এমনটাই শােনা যায়! তবে সেই সাথিরা সাত ধােয়া তুলসি পাতা ছিল কিনা সে নিয়ে অবিশ্যি কেউ ভুলেও আলােচনা করেন না। তার উপর আরও অভিযােগ তিনি হিটলারের সাথে হাত মেলান, তিনি হিটলারের চেয়েও ‘রক্তপিপাসু', নরাধম’! ক্রুশ্চেভ ভক্ত মেদভেদেভ লিখলেন; “আমার বইতে ৭০০ নিহত মানুষের নাম-ধাম দেওয়া হয়েছে, তারা ছাড়াও মারা পড়েছিলেন লক্ষ লক্ষ পার্টি সদস্য। সাতশাে মানুষ বললে ঠিক ব্যাপারটা ভালাে দাঁড় করানাে যায় না, তাই একেবারে লক্ষ লক্ষ! এই লক্ষ লক্ষ ফিগারটিকে চ্যালেঞ্জ করলে ধীরে ধীরে সংখ্যাটি কমতে থাকে। একটি পর্যায়ে এসে মাত্র কয়েক হাজারে দাঁড়ায়! শিল্প সাহিত্যকে কতটা চোরকুঠুরিতে পাঠিয়েছিলেন তার হদিস মেলে না, তবে শলােকভের ধীরে বহে ডনের অনেক সমালােচনা করেও সেটাকে বাজার থেকে তুলে দেননি, মিকুলিনার এ্যুলেশন অব দি মাসেস গ্রন্থটি নিয়ে প্রবল বিতর্ক হয় সােভিয়েতে, মনে করা হয়েছিল বইটি বাতিল করে দেয়া হবে, অথচ তিনি এই অভিযোেগ হাস্যকর বলে উড়িয়ে দেন, তাঁর মতে পুস্তিকাটি বাজার থেকে তুলে দিয়ে লেখক অথবা পাঠককে শাস্তি দেবার কোনাে যুক্তিই নেই, বইটির আচ্ছারকম সমালােচনা করা যেতে পারে, কিন্তু নিষিদ্ধকরণ কক্ষনাে নয়! কুৎসায় ছেয়ে গেলেও বিল বেলােতসারশ্লোভস্কিকে লেখা ২ ফেব্রুয়ারি, ১৯২৯ এ লেখা চিঠিতে স্তালিন বলছেন “সমালােচনা করা এবং অপ্রলেতারীয় সাহিত্য নিষিদ্ধ করার দাবি তােলা খুবই সহজ ব্যাপার। কিন্তু যা সহজ তাকে সর্বোত্তম মনে করা উচিত নয়।” রাশিয়ায় স্তালিনের নেতৃত্বে যেসব অত্যাচার’ ঘটেছিল, ঐতিহাসিক দৃষ্টিতে বিচার করলে তৎকালীন অবস্থায় তাকে একান্তই স্বাভাবিক ও অনিবার্য বলে মনে হবে। উপরন্তু স্তালিনের মহত্ত্ব এখানেই যে, মানব সমাজের কল্যাণের জন্য যে বিপ্লবকে জয়ী করার জন্য আত্মনিয়ােগ করেছিলেন তাকে তিনি সুদৃঢ় ও দুর্জয় করে গিয়েছিলেন। বিশ্বের মানুষ আর কিছু না হােক, অন্তত এ কারণেই স্তালিনের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবে। ১৯৩৬ সালে সােভিয়েতের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিতে এক আমূল পরিবর্তন ঘটে গিয়েছিল। শিল্প, কৃষি, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ সর্বক্ষেত্রেই উন্নতির ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। এই ব্যাপক উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সংবিধান-এর প্রয়ােজনীয়তা দেখা দেওয়ায় ১৯২৪ সালে সােভিয়েত প্রণীত সংবিধানকে নতুন রূপ দেওয়া হয়। কমরেড স্ত লিনের সভাপতিত্বে মােট ৩১ জনের একটি বিশেষজ্ঞ দল ১৯৩৬ সালে রচনা করন সােভিয়েতের নতুন সংবিধান। এই সংবিধানে বুর্জোয়া গণতন্ত্রের তুলনায় আরও অনেক বেশি গণতান্ত্রিক অধিকার দেওয়া হলাে। এই সংবিধানে ঘােষণা করা হয়েছিল গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র অজেয়। মনীষী রোমা রােলাঁ এই সংবিধানকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছিলেন : ‘স্বাধীনতা, সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের আদর্শ এতকাল ছিল মানুষের স্বপ্নের বস্তু মাত্র। এই সংবিধান থেকে তারা প্রাণ পেল। চীন থেকে সান ইয়াৎ সেনও অভিনন্দিত করেছিলেন এই সংবিধানকে। ইতিহাসে এই সংবিধান স্তালিন সংবিধান নামে পরিচিত হয়ে আছে। ১৯৩৮ সালে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমােদনক্রমে কমরেড স্তালিন রচনা করেন ‘সােভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টি (বলশেভিক)-র ইতিহাস সংক্ষিপ্ত পাঠ'। ঐ একই বছরে তিনি লেখেন দ্বন্দ্বমূলক ও ঐতিহাসিক বস্তুবাদ’ যা মার্কসীয় দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের তাত্ত্বিক বিশেষণের এক অমূল্য দলিল। ২২ জুন, ১৯৪১। হিটলার সােভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ করল। কমরেড স্তালিন ঘঘাষণা করলেন :... কেবল আমাদের দেশকেই মুক্ত করা নয়, ফ্যাসিস্ট প্রভুত্বে নিপীড়িত জনগণকেও আমরা মুক্ত হতে সাহায্য করব।... এ যুদ্ধ সমগ্র মানবজাতির মুক্তি ও গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপান্তরিত হবে। ১৯৪১ সালের বাইশে জুন ভাের রাত্রে যখন রুশিদের ঘুমও ভাঙেনি অতর্কিতে জার্মানদের অপ্রতিহত আক্রমণ! পিছু হটার সময়টুকুও ছিল না! সাধারণ অস্ত্র, অস্ত্রভাণ্ডার, সেতু, সচল রাস্তা, খনিজ তেল, খাদ্য গুদাম, এয়ার ফিল্ড, ট্যাঙ্ক, কামান বিমান বিপুল অংশ করায়ত্ত হলাে নাজি বাহিনীর! মাটিতেই ২০০০ প্লেন হারাল স্তালিনের বাহিনী প্রথম দুদিনে! পৃথিবীর যাবতীয় যুদ্ধেই দেখা যায় ক্ষয়ক্ষতি যতদূর নিজেদের কমিয়ে বলা হয়। যাতে সেনাদের মনােবল না ভাঙে, বাস্তবিকই ত্রিমুখী আক্রমণে নাজিরা সংখ্যাধিক্যে ছিল তিন থেকে পাঁচ গুণ! কামান ও মর্টারে তিনগুণ! আর ট্যাঙ্ক বিমানের বিপুল সংখ্যাধিক্য! তার উপর অতর্কিতে করা আক্রমণের ফলে কোনাে কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে রেড আর্মি। স্তালিন কিন্তু কোনাে তথ্য গােপন করলেন না। তিনি খােলাখুলি বলেই দিলেন তারা কী হারিয়েছেন, শত্রু কোথায় কতটা মারাত্মক আঘাত হেনেছে সব। এবং সবার শেষে বললেন; “জয় আমাদের সুনিশ্চিত। ১ মে, ১৯৪৫ কমরেড স্তালিনের নেততে সােভিয়েত লালফৌজ বার্লিনের রাইখ স্ট্যাগে রক্তপতাকা উড়িয়ে মানবজাতির চরমতম শত্রু ফ্যাসিবাদের পরাজয় ঘােষণা করেছিলেন। ফ্যাসি-বিরােধী যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলাের মধ্যে সােভিয়েত ইউনিয়ন ছিল প্রথম স্থানে। এই যুদ্ধে প্রাণ দিয়েছিলেন ২ কোটির বেশি সােভিয়েত জনগণ। যুদ্ধের সময় শিশুসহ ৫০ হাজারের বেশি মানুষকে জার্মানিতে দাস শ্রমিক হিসেবে বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যুদ্ধ চলাকালীন সােভিয়েতে ৫৩ লক্ষ যুদ্ধবন্দির মধ্যে যুদ্ধের শেষে মাত্র ১০ লক্ষকে জীবিত পাওয়া গিয়েছিল। ফ্যাসিস্টদের আক্রমণে চরম ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছিল সােভিয়েতের ছােট-বড় মিলিয়ে ১ হাজারেরও বেশি শহরকে, ৭০ হাজার গ্রামকে, ৩২ হাজার শিল্প সংস্থাকে এবং ৯৮ হাজার যৌথ ও রাষ্ট্রীয় খামারকে। যুদ্ধ যখন চলছে, মিত্রশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সােভিয়েতকে ৬০০ কোটি ডলার ঋণ দেবার প্রতিশ্রুতি দেয়। তখন রুজভেল্ট ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রুজভেল্টের জীবনাবসানের পর টুম্যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়েই সেই প্রতিশ্রুতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদী চরিত্র প্রকাশ হয়ে পড়ে। অবশ্য কমরেড স্তালিন তাতে বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি। তাঁর সুযােগ্য নেতৃত্বে সমস্ত যুদ্ধকালীন ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রমাণ করে দিয়েছিল তার সমাজতান্ত্রিক দৃঢ়তা। শুধু তাই নয়, পূর্ব ইয়ােরােপের সদ্য মুক্ত হওয়া দেশগুলােতে সমাজতান্ত্রিক গঠনকার্যেও সােভিয়েত তার সমগ্র শক্তিকে ব্যবহার করেছিল। এইভাবে যুদ্ধের বীভৎসতা কাটিয়ে কমরেড স্তালিনের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক সােভিয়েত ইউনিয়ন মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে দুনিয়ার তাবৎ শক্তিধর রাষ্ট্রগুলাের মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠেছিল।
চারু মজুমদার বললেন “সরােজ দত্তের ক্ষুরধার লেখনীকে ভয় করত না এমন কোনাে প্রতিক্রিয়াশীল নাই” আর তাই তাে খুনি ইন্দিরার খুনি পুলিশ শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হলাে না ৭০ বছরের বিপ্লবীকে তার মাথা কেটে নিয়ে গেল ব্রেজনেভ নিক্সন-ইন্দিরা-চবনের ভাড়াটে নেড়ি কুকুরের দল। ওদের খাতায় সরােজ দত্তকে নিখোজ দেখাতে। কিন্তু সরােজ দত্ত তাে নিখোঁজ হলেন না। তিনি শহিদ হয়ে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে গেঁথে বসলেন বিপ্লবী শ্রমিক-কৃষকের হৃদয়ে । তাঁরই পদচিহ্ন বেয়ে এগিয়ে চলে যখন মহাদেব মুখার্জির নেতৃত্বে সিপিআই (এম-এল) কেন্দ্রীয় কমিটি যখন চারু মজুমদারকে ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারতের বিপ্লবের কর্তৃত্ব হিসেবে ঘােষণা করল যা পরবর্তীতে ১৯৭৩ এর ডিসেম্বর এ অনুষ্ঠিত পার্টির দ্বিতীয় (নবম) কংগ্রেস এর মঞ্চ থেকে ঘােষিত হলাে কামান গর্জনের মতন এবং কামালপুরের মাটিতে শ্রেণি শত্রু খতম এক নয়া স্তরে উন্নীত হলাে তখন শাসকশ্রেণি ও তার কুকুরদের পাল লেজ গুটিয়ে পালাতে থাকল, চারু মজুমদারের কর্তৃত্ব শহিদের রক্তের ভিতে প্রতিষ্ঠিত এই সত্য প্রতিষ্ঠা হলাে এবং একে খণ্ডন করার কোনাে ক্ষমতাই আর শাসক শ্রেণি ও তার পেটোয়া রক্ষিতাদের রইল না।