পুলিশের ইতিহাস মানব সভ্যতার ইতিহাসের অগ্রযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত। মানুষের সভ্যতার সংগঠন ও সংশ্লেষে পুলিশের ভূমিকা ওতপ্রোতভাবে বিজড়িত। ‘পুলিশ’-এই নামে প্রাচীনকালে ও মধ্যযুগে অন্তত বাংলা ও ভারতে কোনো সরকারি দপ্তর ছিল না। আজকের পুলিশের বিশ্বব্যাপী যে ভূমিকা ও মুখ্য কাজ তথা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থ অপরাধ দমন নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধী ও দুষ্কৃতকারীদের ধরে এনে বিচার-আদালতের সম্মুখীন করা, এটা সবযুগেই একশ্রেণীর রাষ্ট্রনিযুক্ত লোক বা কর্মচারীকুল করত, করে এসেছে। এটা পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেমন হয়েছে, হয়েছে এ উপমহাদেশের অন্যত্র, তেমনি হয়েছে আবহমান বাংলায়ও। অবিভক্ত বাংলা শুধু আজকের স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নয় বরং ভারত রাষ্ট্রান্তর্গত পশ্চিমবঙ্গ, বিহার-ওড়িশাও কখনও কখনও এর অন্তর্ভুক্ত, সেই সুবিস্তৃত অঞ্চলের প্রেক্ষাপটে পুলিশিব্যবস্থার ক্রমবিকাশের ইতিবৃত্ত এখানে বর্ণিত হয়েছে। অবশ্য প্রসঙ্গের খাতিরে সুলতানি ও মোগল শাসনের পীঠভূমি দিল্লি-আগ্রা ইত্যাদির কথাও চলে এসেছে। সব মিলিয়ে, বাংলাভাষায় তো বটেই, সম্ভবত ইংরেজি ভাষায়ও এ-অঞ্চলের পুলিশের ইতিহাস এত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এর আগে রচিত হয়নি।
Kabedul Islam- জন্ম ১লা জানুয়ারি ১৯৬৪, খুলনায়। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে আশির দশকের গোড়ায় কয়েকটি বিশিষ্ট জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিকে কবিতা ও ছোটগল্প লেখালেখির মধ্য দিয়ে সাহিত্য জগতে আবির্ভূত হন। এ পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা ৩৫। এর মধ্যে কবিতা ১২, গবেষণা ১২, ছোটগল্প ৫, প্রবন্ধ ৪, ছড়া ১ ও ভূমিবিষয়ক শব্দকোষ ১। তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য গবেষণাকর্মও বর্তমান। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১৯৮৫ ব্যাচের একজন কর্মকর্তা; বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন যুগ্মসচিব। সেইসূত্রে সপরিবারে ঢাকায় বসবাস; না হলে, ঢাকায় বসবাসে একেবারেই আগ্রহী নন। চাকরিসূত্রে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভারত ভ্রমণ করেছেন। বিবাহিত; স্ত্রী, ২ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তানকে নিয়ে স্বল্পবিত্তের সুখী জীবনযাপন। প্রিয় ও একমাত্র শখ ও নেশা বইপড়া, বইকেনা ও বইসংগ্রহ। সুলভ-দুষ্প্রাপ্য মিলিয়ে তার ব্যক্তিগত গ্রন্থাগারে এ পর্যন্ত ৮ হাজারের বেশি বই সংগৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এবং উপমহাদেশীয় ইতিহাসের বইই সর্বাধিক। বেশ কিছু আকরগ্রন্থ রয়েছে তার সংগ্রহে। প্রিয় স্থান নিজ বাসগৃহ। ঘোরাঘুরি পছন্দ করেন একমাত্র বইপাড়ায় ও বইয়ের দোকানগুলোতে।