গণতন্ত্র এখন বইয়ের ফ্ল্যাপে লেখা কথা- পাশ্চত্যে উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দু‘টি মৌল অঙ্গীকারে ভিত্তিতে কার্যকর রয়েছে। সরকার যে কর্তৃত্ব (Authority) প্রয়োগ করে তা ন্যাসী ক্ষমতা(Trust) বা আমানত। জনগণের পক্ষে এবং জনসমাজ কর্তৃক অনুমোতিদ পন্থায় সরকার এই কর্তৃত্ব প্রয়োগ করে। সরকার যদি এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয় অথবা জন-সামাজ যদি মনে করে সরকার অনুমোদিত পন্থায় সে কর্তৃত্ব করেনি বা প্রয়োগে ব্যর্থ হযেছে তাহলে সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে এবং অন্য রাজনৈতিক দলের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তনে বল প্রয়োগের কোন স্থান নেই। অন্যদিকে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রকৃত শাসন হলো আইনের শাসন, কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের শাসন নয়। এ ক্ষোত্রে আইনের প্রাধান্যই বড় কথা। আমাদের দেশে এ পর্যায়ে উপনীত হতে হলে এখনো চলতে হবে হাজার যোজন পথ। অতিক্রম করতে হবে অসংখ্য প্রতিবন্ধকতা। দেশে গণতন্ত্রের কাঠামো তৈরি হলেও এখনো সেই কাঠামোয় প্রাণের স্পন্দন সূচিত হয়নি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যারা আত্মহুতি দিলেন, তাদের অধিকাংশেরই স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশে গণতন্ত্রের যথার্থ বাস্তবায়ন। তাদের স্বপ্নকে ধারণ করেই সম্পর্কে আজো লিখে চলেছি। সেই ধারাবাহিকতার একাংশ এই বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ। দ্বিতীয় সংস্কারণে বিইটি ছাপার দায়িত্ব নিয়েছে আমার স্নেহাস্পদ মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার। দেশের খ্যাতনামা পাবলিকেশন দি ইউনিভার্সেল একাডেমির প্রকাশক এস.এম. ভূঁইয়া শিহাব, তাদের কে জানাই গভীর ধন্যবাদ।
গণতন্ত্র এখন বইয়ের সূচিপত্র * বিশ্বে গণতন্ত্রের বিকাশ : বাংলাদেশে গণতন্ত্র-১১ * বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অবস্থা -১৮ * গণতন্ত্রায়ণের তৃতীয় প্রবাহের বেহাল অবস্থা কেন? -২৪ * বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অবস্থা -২৯ * দেশের রাজনীতিতে সুস্থতা -৩৪ * জনগণ ও রাজনীতিক- ৩৯ * রাজনীতি ও সহিষ্ণুতা – ৪২ * ভারসাম্যহীন রাজনৈতিক ব্যবস্থার দিকে দৃষ্টি দিন -৪৬ * আজকের রাজনীতি : একি অবস্থা -৫৫ * রাজনীতির সনাতন প্রকৃতি-৬০ * এ সময়ের কথা- ৬৩ * আগামী দিনগুলো কেমন যাবে-৬৭ * তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং সামরিক বাহনী-৭১ * গণতান্ত্রিক রাজনীতির জয় হোক-৭৬ * জাতীয় নেতাদের শ্রদ্ধা করি-৮২ * আমাদের রাজনৈতিক সংস্কার-৮৬ * আমাদের রাজনীতি এবং রাজনীতিক-৯২ * তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কার্যক্রম-৯৭ * গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক -১০২ * জাতি চায় রাজনীতিকদের সৃজনশীলতা-১০৪ * আমরা কান পেতে রয়েছি -১০৬ * বাংলাদেশের রাজনীতি কোন পথে?-১১০ * রাজনীতি ও সংবাদপত্র -১১৬ * ব্যর্থ রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র তত্ত্ব-১২১ * মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্য এশিয়া -১২৯ * দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা-১৩৮ * নবচেতনায় সার্ক-১৪৩ * ভারতের ভূমিকা-১৪৮ * সাউথ এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়-১৫১ * স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য- ১৫৭ * ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের মাস-১৬২ * মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকার-১৬৮ * প্রবাদ-প্রবচনের ভূমিকা-১৭৩ * সাত নভেম্বরের বিপ্লবের মূল-১৭৭ * বিপ্লব ও সংহতি দিবস-১৮৫ * ১৭ আগস্টের দুর্ঘটনা স্মরণে রাখুন-১৮৮ * ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমাদের অহঙ্কার-১৯১ * সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা-১৯৩ * আমার প্রিয় তরুণ মোহন রায়হান-১৯৭ * ছাত্রছাত্রীর বিক্ষোভ, না গণবিক্ষোভ-২০০ * একুশ শতকের সবচেয়ে বড় কলঙ্ক-২০৯ * বাংলাদেশে ঈদ-২১২ * আমার স্বপ্নের ঢাকা-২১৭
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ দেশের একজন খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ এবং একাডেমিক ব্যক্তিত্ব। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রূপেও দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘ আট বছর। অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ একজন প্রখ্যাত গবেষক-পর্যালোচক। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে তুলনামূলক রাজনীতি, প্রশাসন ব্যবস্থা বাংলাদেশের রাজনীতি, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি, দক্ষিণ এশিয়ার সামরিক বাহিনী সম্পর্কে গবেষণা করে চলেছেন। এসব ক্ষেত্রে তিনি সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রখ্যাত। তাঁর লিখিত গ্রন্থের সংখ্যা বর্তমানে ৭০ টির অধিক। দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা জার্নালে তাঁর প্রকাশিত গবেষণামূলক প্রবন্ধের সংখ্যা শতাধিক। তাঁর লিখিত গ্রন্থগুলির (ইংরেজি) মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো Bureaucratic Elites in Segmented Economic growth: Bangladesh and Pakistan (1980),Development Administration : Bangladesh (1981), SARC : Seeds of Harmony (1985) Military Rule and Myth of Democracy (1988)তাঁর সম্পাদিত গ্রন্থগুলির (ইংরেজি )মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে Bangladesh Politics (1980), Foreign Policy of Bangladesh (1984), Society and Polities in Bangladesh (1989), Bangladesh, South Asia and the World (1992), তাঁর বাংলায় লেখা গ্রন্থগুলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হল রাষ্ট্রবিজ্ঞানের কথা (১৯৬৬) তুলনামূলক রাজনীতি(১৯৮২) বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সংকট (১৯৯১), বাংলাদেশ : সমাজ, সংস্কৃতি ও রাজনীতি (১৯৯২), সমাজ ও রাজনীতি (১৯৯৩), গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ (১৯৯৪), শান্তিচুক্তি ও অন্যান্য প্রবন্ধ (১৯৯৮), আঞ্চলিক সহযোগিতা, জাতীয় নিরাপত্তা( ১৯৯৯), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য প্রবন্ধ (২০০০) শিক্ষাক্ষেত্র অবদান এবং সৃজনশীল লেখার জন্য তিনি দেশেও বিদেশে বিশেষভাবে সম্মানিত হয়েছেন । শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ বিশেষ অবদানের জন্য তিনি লাভ করেছেন আকরাম খান গোল্ড মেডেল, মাইকেল মধুসূদন গোল্ড মেডেল, জিয়া স্মৃতি সংসদ গোল্ড মেডেল, শেরে বাংলা স্মৃতি স্বর্ণপদক, ঢাকা সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক স্বর্ণ পদক , বাংলাদেশ যুব ফ্রন্ট গোল্ড মেডেল, রাজশাহী বিভাগীয় উন্নয়ন ফোরাম স্বর্ণ পদক সৃষ্টিশীল গবেষনা ও আলেখ্য রচনার জন্য তিনি লাভ করেছেন মহাকাল কৃষ্টি চিন্তা সংঘ স্বর্ণ পদক। জাতীয় সাহিত্য সংসদ স্বর্ণ পদক এবং জিয়া সাংস্কৃতিক সংস্থা স্বর্ণ পদক এবং অন্যান্য অনেক সম্মাননা। ১৯৯২ সালে শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্যে তাঁকে দেয়া হয় জাতীয় একুশে পদক। যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রিক এবিআই কর্তৃক তিনি নব্বই দশকে সার্বাপেক্ষা প্রশংসিত ব্যক্তিত্ব।