মানুষ অসীম সম্ভাবনার অধিকারী। জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আর মানব-মানবীর দেহ-মনের অপার সৌন্দর্যরহস্য অনুভবের চেষ্টাই আমাকে কলম হাতে নিতে উদ্বুদ্ধ করেছে। আবেগময়তা আর সহজ-সরল উপস্থাপনা আমার লেখার অন্তর্নিহিত শক্তি ও প্রেরণা। এই আবেগময়তার মূল উৎস হচ্ছে আত্মপ্রত্যয় আর সত্য দৃষ্টি নিয়ে আনন্দের সন্ধানলাভ করা। মনের আনন্দে লিখি বা মনের তাগিদে লিখি, এ কথা না বলে বলতে চাই, আনন্দলাভের তাগিদে লিখি। অবাধ সৌন্দর্যের আধার যে প্রকৃতি তার সমস্ত সৌন্দর্যই বিধৃত রয়েছে নারী-পুরুষের মাঝে। তাদের মিলনের তীব্র আকাক্সক্ষার সুন্দরতম নামই প্রেম। সামাজিক সভ্যতার মুখোশ পরিয়ে এই প্রেমকাম কখনই দমিয়ে রাখা যায়নি এবং যাবেও না। মানব-মানবীর কামাকাক্সক্ষাই তাদের গতিশীল ও আনন্দময় রাখে, যা তাদেরকে সৃজনশীল হতে এবং সমাজ-সংসারকে কিছু দেবার ক্ষমতা অর্জনে সহায়তা করেÑএ আমার ব্যক্তিগত অভিমত। লেখালেখির জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি যে ব্যাপারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছে তা হলো কোনো কিছুর গভীরে প্রবেশ করার, অনুসন্ধান করার এবং ডিটেইলে দেখবার, ভাববার অদম্য ইচ্ছে ও ক্ষমতা। কবিতাপ্রেমী পাঠকের প্রতি আমার শুভাশিস রইল।
Farida Yasmin Shumi, জন্ম ৪ অক্টোবর, ঢাকায়। বাবা মো. জাকারিয়া, মা মাহমুদা বেগম-এর চার সন্তানের মধ্যে তিনি প্রথম। শৈশব ও কৈশোর কেটেছে স্মৃতিবিজড়িত দুরন্তপনায়, ঢাকা ও চট্টগ্রামে। প্রিয় শহর পাহাড় ও সমুদ্রের সৌন্দর্য-ভ‚মি চট্টগ্রাম। স্কুলজীবন থেকেই লেখালেখির প্রতি ভালোবাসার জন্ম। পেশায় প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ সুমি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের স্নাতক। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক। অনগ্রসর ও সুবিধা-বঞ্চিত কিশোরী এবং নারীদের বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান এবং প্রজনন-স্বাস্থ্য সচেতনতার উদ্যোগে ‘সেবার প্রয়াস’ ¯েøাগান নিয়ে গড়ে তুলেছেন নিজের সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ‘ইচ্ছেডানা’। শিল্পসাহিত্য সুমির প্যাশন। এ জগতের প্রতি প্রচণ্ড আগ্রহ আর দুর্বলতা থেকে ‘লাক্স-আনন্দবিচিত্রা ফটোসুন্দরী’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নির্বাচিত হন ‘ফটোসুন্দরী’। স্বচ্ছন্দ পদচারণা ছিল মঞ্চ ও টিভি নাটকে, অংশ নিয়েছেন বিজ্ঞাপনচিত্রে, ভালোবাসেন আবৃত্তি করতে। একুশে বইমেলা ২০১৬-এ বেরিয়েছে প্রথম কাব্যগ্রন্থ তোমায় দেবো নীল পদ্ম, নেবে। নিজের করা আবৃত্তি সংকলনের দুটো সিডি তোমায় দেবো নীল পদ্ম, নেবে ও ভালোবাসার স্বীকারোক্তি প্রকাশিত হয়েছে একই সময়ে। কাব্যগ্রন্থের জন্য অর্জন করেছেন ‘বিশাল বাংলা প্রকাশনী সাহিত্য পুরস্কার ২০১৬’ এবং বাংলাদেশ কবিসভার (বাকস) বিশেষ সম্মাননা। কবিতা ও প্রবন্ধের পাশাপাশি চিকিৎসা বিষয়েও নিয়মিত লেখালেখি করেন স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায়। স্বামী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার রানা এবং দুই সন্তান সৃষ্টি এবং পূর্ণকে নিয়ে তাঁর সংসার। Email: [email protected]