মা-বাবার মর্যাদা এই দুনিয়াতে স্নেহ-মমতায় ভরপুর মধুর নাম ‘মা’ । শান্তির, স্বস্তির ও পরম নির্ভরতার নাম বাবা'। পৃথিবীর সবচেয়ে নিঃস্বার্থ ও নিখাদ সম্পর্কের নাম আব্দু-আম্মু। যাদেরকে দেখলেই মন ভরে যায়। জীবনের প্রতিটি সেকেন্ড, প্রতিটি মিনিট, প্রতিটি ঘণ্টা মনের ভেতরে যাদেরকে উপলব্ধি করি, শান্তি অনুভব করি- তারা হচ্ছেন বাবা-মা। তাই তাে বাবা-মা এ ধরায় খােদার শ্রেষ্ঠ নিয়ামত। মহান স্রষ্টা আল্লাহ রাব্বল আলামীন মা-বাবাকে অতিমর্যাদার ও পরম সম্মানের আসনে সমাসীন করেছেন। ইসলামের দৃষ্টিতে পিতা-মাতাকে সম্মান করা,শ্রদ্ধা করা, মুহাব্বত করা গুরুত্বপূর্ণ পালনীয় বিধান। তাদের সাথে সাক্ষাত করা ইবাদত। তাদের সামনে বিম্র হওয়া রহমত। তাদের কাছে বিনয়ী হওয়া মর্যাদার। তাদের খোঁজ-খবর নেয়া ও সেবা-যত্ন করা রিযিকবৃদ্ধির কারণ, হায়াতের বরকত। তাদের পদতলে রয়েছে সন্তানের চিরস্থায়ী সুখ-শান্তির জান্নাত। তাদের দিকে মুহাব্বত ও ভালােবাসার সাথে তাকালে কবুল হজের সওয়াব হয়। তাদের সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি, তাদের অসন্তুষ্টিতে আল্লাহর অসন্তুষ্টি। সর্বোপরি মানবজাতির হেদায়েতের বাহক, বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত, সাইয়্যেদুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যিন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদীস শরীফে পিতা-মাতাকে অধিষ্ঠিত করেছেন মর্যাদার স্বর্ণশিখরে। কারণ একজন সন্তানের পৃথিবীতে আসার মাধ্যম পিতা-মাতা। এ কারণে পবিত্র কুরআন ও হাদীসে সন্তানের উপর মাতা-পিতার অসংখ্য পালনীয় অধিকারের অলােচনা এসেছে।