পীর হাবিবুর রহমান দেশের শক্তিমান রাজনৈতিক বিশ্লেষক৷ রাজনৈতিক রিপোর্টার হিসেবে এ দেশের রাজনীতির ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ সময়কে নিবিড়ভাবে দেখেছেন৷ কালের সাক্ষী হয়ে জেনেছেন ঘরে-বাইরের খবর৷ রিপোর্টারের জীবনের পথে আজ তিনি উঠে আসা স্বনামধন্য কলামিস্ট৷ ইনিয়ে-বিনিয়ে বলার চেষ্টা করেন না তিনি৷ যা দেখেন জানেন তা সোজাসাপ্টাই লিখে যান৷ অন্তর্ভেদি দৃষ্টি দিয়ে প্রতিটি ঘটনা যেমন দেখেন, তেমনি ক্ষুরধার লেখনিতে বিশ্লেষণ করেন৷ মিডিয়া স্বীকৃত প্রহসন অফ দ্য রেকর্ড তিনি মানেন না৷ তাই যা রিপোর্টে আনতে পারেন না তা কলাম, মন্তব্য প্রতিবেদনে তুলে ধরেন৷ শক্তিমান এই সাংবাদিক-কলামিস্ট তার লেখায় পাঠককে একাত্ম করে সঙ্গে টানার ক্ষমতা রাখেন৷ মানুষের ভাষায়, সাহিত্যের রসবোধ দিয়ে মানুষেরই মনের কথা সোজাসুজি লেখার জন্য আজ তিনি পাঠকনন্দিত কলামিস্ট৷ একুশ শতকের মিডিয়া একরৈখিক হলেও পীর হাবিবুর রহমানের পেশাগত জীবন বহুরৈখিক৷ তাই সত্য প্রকাশে তার দ্বিধা নেই৷ জড়তা নেই৷ কোনো শাসক, দল, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রতি তার দায়বদ্ধতা নেই৷ তার লেখা জনপ্রিয় কলাম নিয়ে প্রকাশিত বর্তমান গ্রন্থ ভিউজ আনকাট৷ চিন্তাশীল মানুষের জন্য একখানি দলিল মাত্র৷ পাঠক পড়ে মুগ্ধ হলেই তার সার্থকতা৷ পীর হাবিবুর রহমান জন্ম : ১২ নভেম্বর ১৯৬৪ সুনামগঞ্জ শহরে৷ লেখাপড়া : সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএ [সম্মান], এমএসএস৷ কর্মস্থল : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন৷ ১৯৮৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি৷ প্রয়াত আমান উল্লাহর ছায়ায় রেহান উদ্দিন রাজুর নেতৃত্বে [রাবি প্রেসক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা]৷ '৯১ সালে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ৷ '৯২ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাবাজার পত্রিকায়, '৯৯ সাল পর্যন্ত সিনিয়র রিপোর্টারের দায়িত্ব পালন৷ '৯৯ সালে জন্মলগ্ন থেকে দীর্ঘদিন যুগান্তরে বিশেষ সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন৷ আমাদের সময়ের উপ-সম্পাদক ছিলেন৷ শুরু" থেকেই রাজনৈতিক ও সংসদবিষয়ক রিপোর্টিং করেন৷