ভূ-পৃষ্ঠে মানুষ না থাকলে বা না আনলে পৃথিবীতে ঠিক কী বাস করত বা পৃথিবীটা কী হতো তা মানুষই এখনও খুঁজছে। পৃথিবীতে মানুষ নিজেকে খুঁজতে গিয়ে দেখল সে একা চলতেই পারে না। যদিও পৃথিবীতে মানবজাতির বা মানুষের আগমনের ইতিহাস বা তার ধারাবাহিকতা সন্দেহাতীতভাবে এখনও নির্ণীত হয়নি। মানুষই একমাত্র প্রজাতি বা প্রাণী যে নিজেকে নিয়ে ও অন্য সব বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে পারে এবং সে-ই জানে তার অসীমতা ও সীমাবদ্ধতা। সময়কে অতিক্রম করে কিছু সুনির্দিষ্ট মানুষ অন্য মানুষকে প্রভাবিত করে রেখেছেন। ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন জনপদে সেসব মানুষ বা মনীষী তাঁদের মেধা ও বিবেক সমাজের কাজে লাগিয়ে প্রাতঃস্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা ও চেষ্টা থাকে সঠিক ও সহজ-সরলভাবে জীবনযাপন করার। তাই মানুষ সঠিক পথে পরিচালিত হতে গিয়ে যেসব মনীষীকে অনুসরণ করেছেন তাঁদের সংখ্যা খুব বেশি হবে না। তাই আমরা মনে করি মানুষ তাঁদের যে নামেই অভিধা দিক না কেন, মানুষই তাঁদের অনুসরণ করে আসছে। ‘মানুষ যাঁদের অনুসারী’ এমন ব্যক্তিদের শৈশব ও কৈশোর সম্পর্কে জানার আগ্রহ কৈশোর-তারুণ্যের যেমন থাকতে পারে তেমন থাকতে পারে বড়দেরও। পৃথিবীর প্রথম মানব অ্যাডাম বা আদম থেকে শুরু করে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু, গৌতম বুদ্ধ, কৃষ্ণ, ঈসা, ইউসুফ, ইসমাইল, ইব্রাহিম, মূসা, কনফুসিয়াস হয়ে মোহাম্মদ পর্যন্ত তাদের জন্ম-শৈশব-কৈশোরই প্রধানত এই বইয়ের কেন্দ্রবিন্দু।
Jaynal Hossain- একজন কৃষিবিদ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। কুমিল্লার মুরাদনগরের কুড়েরপাড় গ্রামে ১৯৫৩ সালের ১১ই আগস্ট তাঁর জন্ম। পিতা তালেব হোসেন, মাতা মাফেজা খাতুন। বাঙ্গরা উমালোচন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ সালে এসএসসি, শ্রীকাইল কলেজ থেকে ১৯৭২ সালে এইচএসসি এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে ১৯৭৭ সালে কৃষি অনুষদ থেকে ডিগ্রি নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন। চাকরিকালে থাইল্যান্ডের মহিডোল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অভ নিউট্রিশন থেকে পুষ্টির ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ লাভ করেন। তিনি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ এর জীবন সদস্য এবং বাংলাদেশস্থ জাতিসংঘ সমিতির সদস্য। তাঁর রচিত বই: মুর্শিদাবাদ থেকে মধুপুর (২০০০), প্রমিত দৃষ্টিপাত (২০০১), সমুদ্রনন্দিনী কুতুবদিয়া: ইতিহাস ও বর্তমান পরিপ্রেক্ষিত (২০০২), ঠাকুর শম্ভুচাঁদ (২০০৩), শৈলসমুদ্র সান্নিধ্যে (২০০৩), মেঘের মায়াবী চোখ (২০০৭), রাজা ভাওয়াল সন্ন্যাস ও ভাওয়াল পরগনা (২০০৯), পুণ্যের ঘরে শূন্য দিয়ে: ব্যতিক্রমী আট (২০১২), ধীরাজ ভট্টাচার্য ও তাঁর প্রেম উপাখ্যান: মাথিনের কূপ (২০১২), মানবপুত্র গৌতম: ধর্ম ও জীবনাচার (২০১৩), উইলে চার টাকা দুই আনা: সম্রাট আওরঙ্গজেবের ভিতর-বাহির (২০১৩), প্রাঙ্গণে মোর: টোকা ডায়েরির পাতা থেকে (২০১৪)