“মাই স্টোরি" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ কমলা দাস ভারতের অন্যতম শীর্ষ কথাসাহিত্যিক হিসেবে বিবেচিত। তাঁর ‘মাই স্টোরি’ এখন পর্যন্ত ভারতে কোনাে নারী রচিত সর্বাধিক বিক্রিত আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ। ১৯৭২ সালে তাঁর ‘এন্টে কথা’ বা ‘মাই স্টোরি’ একটি মালয়ালম সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে শুরু করলে তিনি পাঠকদের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত ও সমালােচিত হন। তাঁর লেখাটির প্রকাশনা বন্ধ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করলেও তিনি এবং ম্যাগাজিনের সম্পাদক দৃঢ় অবস্থান নেন এবং তাঁর লেখার পাঠকপ্রিয়তার প্রমাণ হিসেবে ম্যগাজিনের কাটতি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। ১৯৭৩ সালে ‘মাই স্টোরি’ গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হওয়ার পর এটি ইংরেজিসহ ভারতের সব প্রধান ভাষায় অনূদিত হয় এবং তিনি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। পঞ্চাশ অধ্যায়ের গ্রন্থটিতে শৈশবে তাঁর কলকাতায় অবস্থানকালে মিশনারি স্কুলে শ্বেতাঙ্গ ছাত্রদের দ্বারা বর্ণবাদী আচরণের শিকার হওয়া, বিয়ের পর স্বামীর নিষ্ঠুর ও নিস্পৃহ। আচরণ, তাঁর যৌন-চেতনা জেগে উঠা, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, সন্তানের জন্ম এবং শেষ পর্যন্ত ধীরে ধীরে স্বামীর সাথে সমাঝােতা, তাঁর সাহিত্যচর্চা, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ ইত্যাদি সবিস্তারে উঠে এসেছে। মাই স্টোরি' এবং তাঁর অগ্নিঝরা কবিতাই তাঁকে খ্যাতির শীর্ষে স্থান দিয়েছে । যৌন অবদমনের যুগে রক্ষণশীল পরিবারে জন্মগ্রহণকারী কমলা দাস কবিতায় নারীর যৌনতা নিয়ে খােলামেলা বর্ণনার মধ্য দিয়ে তার মেধা, স্বকীয়তা ও স্বাধীনচেতা মনােভাব ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন । কবি ও গদ্য রচয়িতা হিসেবে তিনি নিজেকে একজন সৎ নারীর ভূমিকা পালন করেছেন। কমলা দাসের ‘মাই স্টোরি বাংলা ভাষায় অনূদিত হয়েছে প্রায় দেড় দশক আগে ।