‘ থ্রি: ফরটিসিক্স এ. এম’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ আমেরিকান ঔপন্যাসিক নিক। পিরোগের জন্ম ১৯৮৪ সালে । পড়াশোনা করেছেন কলোরাডো। বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসা প্রশাসনে । বেস্টসেলার ১১টি গৃলার উপন্যাসের রচয়িতা তিনি। আমাজনে প্রতিটি উপন্যাসই অন্যতম বেস্টসেলার হিসেবে স্বীকৃত। হেনরি বিনস তার সৃষ্ট ব্যতিক্রমি একটি চরিত্র। বর্তমানে তিনি আমেরিকার সান ডিয়েগোতে বসবাস করছেন। বইয়ের কিছু অংশঃ অধ্যায় ১ বিছানায় উঠে বসে ঘড়ির দিকে তাকালাম। ৩:০১। শুক্রবার, ২৬শে ফেব্রুয়ারি। তাপমাত্রা-ছাব্বিশ ডিগ্রি। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। কিন্তু কী যেন একটা সমস্যা মনে হচ্ছে ঘড়িটায়। একটু বাঁকা হয়ে। আছে , আর টেবিলের একদম কিনারার কাছে চলে এসেছে ওটা। কয়েক সেকেন্ড লাগলো কারণটা বুঝতে। ঘড়ির ঠিক পেছনটাতে একটা ছোট্ট সাদা থাবা দেখতে পেলাম। আমাদের পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য। আর্চি। কমলা আর সাদার মিশেলে তুষারের বলের মত লাগে ওকে। এখন ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। এরপর থাবাটা বাড়িয়ে দিল ঘড়ির দিকে। “ফেলবি না!” চিল্লিয়ে উঠলাম। তিন সপ্তাহ আগে আমাদের বাসায় আগমন ঘটেছে আর্চির। তখন থেকে তিনটা ওয়াইন গ্লাস, দুটো ছবির ফ্রেম, ইনগ্রিডের পছন্দের কফি মগ আর একটা স্যামসাং গ্যালাক্সি এস সিক্স ভেঙেছে ও কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো আর্চি, এরপর আবার থাবা বাড়িয়ে দিল সামনে। “খবরদার, আর্চি!” আবার তাকিয়ে থাকলো আমার দিকে। এরপর আরেকটা ধাক্কা। “আরেকবার ধাক্কা দিলে কিন্তু ভালো হবে না।” সাথে সাথে আবার ধাক্কা দিল ব্যাটা। মেঝেতে পড়ে গেল ঘড়িটা। “ধুর, আর্চি!” বিছানা থেকে নেমে ঘড়িটা তুললাম। ওটার এলসিডি স্ক্রিনটা ফেঁটে গেছে। ঘড়িটা আগের জায়গায় রেখে দিয়ে তিনমাস বয়সি বিড়াল ছানাটাকে...... অনুবাদক পরিচিতিঃ সালমান হকের পৈতৃক নিবাস সিরাজগঞ্জে হলেও জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই ঢাকা শহরে। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও রাজউক কলেজ থেকে পাশ করে। বর্তমানে তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে অণুজীববিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়নরত আছেন। ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার নেশায় আসক্ত, সেই থেকেই লেখালেখির শুরু। খৃলার গল্প-উপন্যাসের প্রতি আলাদা ঝোঁক রয়েছে তার । নিক পিরোগের থ্রি: এএম তার প্রথম অনুবাদগ্রন্থ। এপর থ্রি: টেন এএম, খ্রি: টোয়েন্টিওয়ান এএম, থ্রি: থার্টিফোর এএম, কিয়েগো হিগাশিনোর বহুল আলোচিত গৃলার-উপন্যাস দ্য ডিভোশন। অব সাসপেক্ট এক্স এবং দ্য বয় ইন দি 'স্ট্রাইপড পাজামাস তার অন্যতম জনপ্রিয় অনুবাদ কর্ম। নিখোঁজকাব্য তার প্রথম মৌলিক থ্রিলার।
জনপ্রিয় মার্কিন ঔপন্যাসিক নিক পিরোগ মূলত গোয়েন্দা এবং থ্রিলার ঘরানার গল্প-উপন্যাস রচনা করেন। তার রচিত ১১টি থ্রিলার গল্প বিভিন্ন সময়ে বেস্টসেলার নির্বাচিত হয়েছে। ৩৮ বছর বয়সী এই লেখকের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভারে। কলোরাডোতে মাধ্যমিক শেষ করে তিনি কলোরাডো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। ছোট থেকেই তার লেখালেখির প্রতি ভীষণ আগ্রহ ছিল। বিশেষ করে নিক পিরোগের শৈশব থেকেই রহস্যপ্রীতি ছিল। মাত্র ১২ বছর বয়সেই তিনি গোয়েন্দা-কাহিনী রচনা শুরু করেন। নিক পিরোগ সবসময়ই জানতেন, বড় হয়ে তিনি একজন লেখকই হবেন। তাই পড়াশোনায় ইতি টেনে তরুণ নিক পিরোগ তার শৈশবের আবেগ, লেখালেখিতে পুনরায় মনোনিবেশ করেন। মাত্র ২২ বছর বয়সে তিনি প্রথম গ্রন্থ ‘আনফোরসিন’ রচনা করেন। এরপর আর থেমে থাকেনি তার কলম। একের পর এক পাঠকপ্রিয় বই উপহার দিয়ে গেছেন তিনি। নিক পিরোগ এর বই সমূহ অধিকাংশই রহস্যের আবরণ আর তা অনাবৃত করার রোমাঞ্চকর গল্প নিয়ে লিখিত। এরাইভ্যাল, গ্রে ম্যাটার, দ্য আফ্রিকানস, শো মি, থ্রি এ এম, থ্রি: টেন এ এম, রেবেলিয়ন তার সবচেয়ে জনপ্রিয় রচনাসমগ্র। নিক পিরোগ ‘হেনরি বিন্স’, ‘থমাস প্রেস্কোট’ এবং ‘ম্যাডি ইয়ং’ এর মতো জনপ্রিয় চরিত্রগুলোর জনক। থমাস প্রেস্কোট, যিনি তার কৌতুকরসবোধের সাহায্যে নিমিষেই নরহত্যাজনিত কেসগুলো সমাধান করে ফেলেন। নিক পিরোগের আরেকটি বিদ্যমান চরিত্র হেনরি বিন্স, যার জীবনের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় মাত্র এক ঘন্টার জন্য। অর্থাৎ প্রত্যেকদিন তিনি মধ্যরাত ৩টায় জেগে ওঠেন, তার যাবতীয় কর্মকান্ড মাত্র ১ ঘন্টায় শেষ করেন, আবার ভোর ৪টায় ঘুমিয়ে যান। অন্যদিকে ম্যাডি ইয়ং এর চারিত্রিক বৈশিষ্টের সাথে নিক পিরোগ নিজের চরিত্রের মিল খুঁজে পান। রহস্যজনক চরিত্র ম্যাডি ইয়ং আসলে মারা গেছেন, কিন্তু এখনও একটি ভিন্ন বাস্তবতায় বাস করছেন। গোয়েন্দা সাহিত্যপ্রেমীদের কাছে নিক পিরোগ এর বই সমগ্র বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। বর্তমানে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস করছেন। তার সঙ্গী দুটি পোষা কুকুর- পটার এবং পেনি।