ভূমিকা বিজ্ঞানের উন্নতি ও নানা আবিষ্কারের ফলে আজ আমাদের কত সুবিধাই না হয়েছে। তবে একবিংশ শতাব্দীতে এসে আজ আমাদের বিজ্ঞানের আবিষ্কারগুলো কত সহজ ও স্বাভাবিক বলে মনে হয়। কিন্তু সত্যি সত্যি তো আর ব্যাপারটা তত সহজ ছিল না। মনে রাখতে হবে এইসব আবিষ্কারের পেছনে রয়েছে বহু বিজ্ঞানীর বহু দিনের কঠোর সাধনা, অধ্যবসায় ও নিষ্ঠা। প্রকৃতপক্ষে, ঊনবিংশ শতাব্দীর বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলো দারুণ চমকপ্রদ তো বটেই এমনকি গল্পের চেয়েও অদ্ভুত। এই সময়কার বিজ্ঞানীদের কাছে খুব বেশি সূক্ষ্ম যন্ত্রপাতি ছিল না। কিন্তু এ কথা সত্যি যে, তাঁদের সবারই জীবনসংগ্রামে জয়ী হবার এক অদম্য বাসনা ছিল। এইসব বরণীয় বিজ্ঞানীর স্মরণীয় আবিষ্কারের কথা গল্পের মতো হৃদয়গ্রাহী করে কিশোর-কিশোরীদের জন্য লেখা হয়েছে।
এই পুস্তক পাঠ করলে ছোটরা ছেলেবেলাতেই নতুন নতুন আবিষ্কার, উদ্ভাবন ও বড় বড় কাজ করবার অনুপ্রেরণা লাভ করবে। আজকের এই নবীন পাঠকের মধ্যেই হয়তো ভাবী বিজ্ঞানীর সুপ্ত সম্ভাবনার সোনালি বীজ নিহিত আছে। এই পুস্তক পাঠ করে আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা যদি বিমল আনন্দ পায়, সেই সঙ্গে তাদের মনে বিজ্ঞান বিষয়ে গভীর অনুসন্ধিৎসা ও আগ্রহ সৃষ্টি হয়, তবেই আমার শ্রম সার্থক হয়েছে বলে মনে করব। সুন্দরভাবে পুস্তকটি প্রকাশ করার জন্য আলেয়া বুক ডিপোর স্বত্বাধিকারী কাওছার আহমেদকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। প্রফেসর ড. নিশীথ কুমার পাল উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়