বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ থেকে নেওয়া অরুনিমা। এক বাংলাদেশি উচ্চশিক্ষিত নারী। তথাকথিত মধ্যবিত্ত সমাজের জটিলতা পেরিয়ে জাপানের হোক্কাইডো বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়তে যায়। জাপান সাগর আর প্রশান্ত মহাসাগরের বুক চিঁড়ে জেগে উঠা হোক্কাইডো আইল্যান্ড। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা পৃথিবীর নানা দেশের মানুষের পদচারণায় এক ভিন্ন সংস্কৃতি। সে মিশ্র সংস্কৃতিতে গিয়েও নারীর জীবনের কঠিন সত্যগুলোর মুখোমুখি হয়। জীবনে আসে নানা টানাপোড়েন। এক সময় নানা প্রতিকূলতা জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় স্বপ্ন। তবুও দমে যায় না। সব সময় ধৈর্য, সাহস আর ভালোবাসায় নিজেকে উজ্জীবিত রাখে। একাকি অচেনা জীবনের অলিগলি পথে হাঁটতে হাঁটতে খুঁজে নেয় সত্যিকারের বন্ধু আর বন্ধুরতা। জাপানের হোক্কাইডো আইল্যান্ডের নিঃসঙ্গ জীবনে খরচ যোগাতে অরোরা টাউন নামের এক শপিং মলের রেস্তোরাঁয় পার্ট টাইম চাকরি নেয়। প্রতিদিন সেখানে ঘটে যাওয়া বিচিত্র সব ঘটনা আর মানুষের জীবনের গল্প একাকি পথে সাহস আর বিশ্বাস জোগায়। হোক্কাইডো আইল্যান্ডের সাপ্পোরো সিটির মাটির নিচের শহর অরোরা টাউনের মানুষের ছুটে চলা আর বেঁচে থাকার নান্দনিকতায় জীবনের ছন্দ খুঁজে নেয়।