"মাঠ ফসলের চাষাবাদ" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ বাংলাদেশের মাটিতে প্রায় ৩৫০ রকমের ফসল ফলে। তবে সব ফসল চাষ করা হয় না। চাষকৃত ফসলের মধ্যে সব ফসল আবার মাঠে জন্মে না। মাঠে ব্যাপকভাবে প্রায় ২০-৩০টি ফসল চাষ করা হয়। এসব ফসলের মধ্যে দানাশস্য যেমন ধান, গম, ভূট্টা প্রধান। মাঠে চাষ করা হয় বিভিন্ন রকমের ডালশস্য, তেলবীজ ফসল, পাট, আখ ইত্যাদি। মােট চাষকৃত জমির প্রায় ৭৯ শতাংশ জমি দখল করে আছে প্রধান ফসল ধান ধান, গম, ভূট্টা, মসুর, মুগ, ছােলা, সরিষা, তিল, চিনাবাদাম, পাট ও আখ এই ১১টি প্রধান ফসলের সর্বাধুনিক চাষ প্রযুক্তি নিয়ে লেখা হয়েছে ‘মাঠ ফসলের চাষাবাদ’ বইটি। ফসল উৎপাদনে এ দেশের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে, উদ্ভাবিত হয়েছে অনেক আধুনিক প্রযুক্তি। তবুও প্রতিটি ফসলের গবেষণায় প্রাপ্ত ফলন ও মাঠে উৎপাদিত ফলনের মধ্যে এখনাে বেশ পার্থক্য রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে আধুনিক জাত নির্বাচন ও উপযুক্ত পরিচর্যার অভাবেই এই ফলন পার্থক্যের মূল কারণ। এ বইয়ে আলােচিত ফসলসমূহের সর্বাধুনিক উৎপাদন প্রযুক্তিসমূহ সম্পর্কে সহজ ভাষায় আলােচনা করা হয়েছে, ফসলসমূহের জাত ও ফলন ক্ষমতাও উল্লেখ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ফলন লাভের জন্য এখন দরকার এসব প্রযুক্তিসমূহ মেনে চাষাবাদ করা। চ্যালেঞ্জ করা যায়, কেউ এসব প্রযুক্তি বা কলাকৌশলের অনুসরণ করে চাষ করলে তার ফলন অবশ্যই বাড়বে। ফলন বৃদ্ধি মানেই বেশি লাভ, বেশি আয়। বেশি আয় মানেই জীবনযাত্রার মানের পরিবর্তন। কেউ চাষাবাদ করে আয় বাড়াতে চাইলে তাই এই বইটি তার সহায়ক বন্ধু হয়ে উঠতে পারে।
কৃষিবিদ মৃত্যুঞ্জয় রায় প্রায় তিন দশক ধরে বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় লিখছেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে এম.এসসি.এজি (উদ্যানতত্ত্ব) ডিগ্রি অর্জন করেন। পেশাগতভাবে তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে। সর্বশেষ অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর রয়েছে কৃষিক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার সুদীর্ঘ বাস্তব অভিজ্ঞতা ও ফসল উৎপাদনের বিশেষ পারদর্শীতা, শিক্ষকতা ও প্রশিক্ষণের দক্ষতা। এর ওপর ভিত্তি করে তিনি লিখেছেন ‘বাংলাদেশের অর্থকরী ফসল’ বইটি।। কৃষি বিষয়ে তিনি ইতােমধ্যে অনেকগুলাে বই লিখেছেন। এ পর্যন্ত তাঁর লেখা ৮৫টি বই প্রকাশিত হয়েছে যার মধ্যে ৬২টি বই কৃষি বিষয়ক। কৃষি বিষয়ক লেখালেখির জন্য তিনি ২০১২ সালে পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার এবং ২০১৮ সালে পেয়েছেন বাংলাদেশ একাডেমী অব এগ্রিকালচার স্বর্ণপদক।