সত্য যে, গত সাত বছরের অধিক সময় ধরে পরিকল্পনা কমিশনে দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিকল্পনা প্রণয়নে ও অর্থনৈতিক নীতি বিশ্লেষণের সঙ্গে যুক্ত থেকে, অর্থনীতি ও সামিজিক খাতের চালকগুলোর বিবর্তন সরাসরি অবলোকন ও পর্যালোচনার সুযোগ পেয়েছি। সুশীল ও বিদ্গ্ধ সমাজের সঙ্গে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মত বিনিময় ও মিথষ্ক্রিয়ালব্ধ জ্ঞান ভিত্তিক আমর নিজস্ব চিন্তা-চেতনার উপলব্ধিসমূহ প্রায়শঃই মুদ্রণ মাধ্যমে আমাকে প্রকাশ করতে হয়েছে। নাগরিক সমাজের অধিকতর মতামত অবগাহনের সুযোগ নেয়ার অভিলাষে। এর মাধ্যমে আমি নিজেকে চিন্তার ক্ষেত্রে, নীতি প্রণেতা হিসেবে স্বচ্ছতার একটি সোপান তৈরির সুযোগ পেয়েছি। যা বলেছি, তথ্য ভিত্তিক, বিজ্ঞান মনস্কতা ও বস্ত্তনিষ্ঠতায় প্রতিজ্ঞ হয়ে । পুরো বক্তব্যে সার্বিকভাবে আমর বিশ্বাসগত সততাকে জলাঞ্জলি দেইনি। এক্ষেত্রে সরকারি কাঠামোতে থেকেও কখনো কোনো প্রতিবন্ধকতার সন্মুখীন হইনি, এই বিষয়টিই আমি বলবো, আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সোনালি অভিজ্ঞতা। অর্থনৈতিক রূপান্তরে সব বিবেচনায়ই আমরা একটি সোনালি যুগ অতিক্রম করছি। অর্থনীতি ও সমাজ বিবর্তনের এই চলমানতাকে যারা তথ্য উপাত্তের মণিকাঞ্চনে উপলদ্ধি করতে আগ্রহী, তাঁদের জন্যই বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের উপ-সম্পাদকীয় হিসেবে গত দুই-তিন বছরের বাছাইকৃত নিবন্ধসমূহ এই গ্রণ্থনায় উপস্থাপন করতে প্রয়াস পেয়েছি। গবেষক, তর্ক-প্রিয় সুশীল সমাজের সদস্য, অর্থ ও সমাজ বিজ্ঞানের উচ্চতর জ্ঞান আহরণে নিবিষ্ট ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, অর্থনীতি ও সমাজ বিবর্তন অনুধাবনে আমার এই নিবন্ধসমূহের উচ্চ-প্রাসঙ্গিকতা খুঁজে পাবেন। বিশ্বাস করি, সময়ের পথ চিহ্ন হয়ে কিছু কিছু নিবন্ধ থেকে যাবে ভবিষ্যৎ গবেষণা ও বিশ্লেষণ বোদ্ধাদের জন্য