বাংলাদেশ-এর সংস্কৃতি বিষয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের আগ্রহী একজন মানুষ স্বভাবতই সে-দেশের চলচ্চিত্র সম্পর্কেও বেশ কিছুকাল, অনুসন্ধানে ব্রতী হয়েছিল। প্রেক্ষাগৃহে বসে সেই চলচ্চিত্র দেখার সুযোেগ খুব একটা ছিল না। কিছু হয়তাে সম্ভব হয়েছে, কিন্তু সেগুলাে বাদ দিলে ভিসিডি বা ডিভিডি-ই ছিল প্রধান অবলম্বন। সৌভাগ্যের বিষয়, সেখানকার উল্লেখযােগ্য অনেক চলচ্চিত্রই ওই কম্প্যাক্ট ডিস্কে খানিকটা সুলভ। ফলে তার অনেকগুলােই বন্ধুদের কাছ থেকে উপহার পেয়ে এবং তার চেয়েও বেশি বাংলাদেশে বেড়াতে গিয়ে বন্ধুদের পরামর্শে বা নির্দেশে দোকান থেকে কিনে সংগ্রহ করা গিয়েছিল। এই কাজে সেই মানুষটি যখন ব্যাপৃত তখন সেখানকার উঁচকপালে বন্ধুদের কাছে উপহাসের পাত্রও হতে হয়েছিল তাকে। কারণ বাংলাদেশ-এর চলচ্চিত্রের মান বিষয়ে তারা নিজেরাই এত বীতশ্রদ্ধ যে ভিন দেশের একজন মানুষ প্রবল উৎসাহে তা সংগ্রহ করছে, এটা তাদের কাছে কৌতুক ছাড়া কিছু নয়। বলে বােঝানাে যায়নি, একটি দেশের চলচ্চিত্র যদি অনুন্নত হয়েই থাকে, সেটাও সংস্কৃতি সন্ধিৎসুর অনুসন্ধানের বিষয় হতে পারে-এবং খুঁজে দেখা যেতে পারে এরই মধ্যে ব্যত্যয়ের কোনাে দৃষ্টান্ত আছে কি না। আছে অবশ্যই এবং যেক বছর এর অন্বেষণ চলছিল, তারই অন্তর্বর্তী সময়ের মধ্যে ব্যতিক্রমী চলচ্চিত্রের প্রসারও যে ঘটছে তা আবিষ্কার করতে কষ্ট হয়নি। এইভাবেই বাংলাদেশে-এর এই ‘ব্যতিক্রমী চলচ্চিত্র’র ভিসিডি-ডিভিডি অবলম্বনে একটা ছােটোখাটো সংগ্রহ তৈরি হয়ে যায় এবং সেগুলিকে নির্ভর করেই সেখানকার ভালাে ও বিকল্প চলচ্চিত্রেরও একটা ইতিহাস ও তার নান্দনিক পরিচয়ের সামান্য ধারণা গড়ে ওঠে।