দ্য প্রিন্স অ্যান্ড দ্য পপার দুই মেরুর দুজন কিশোরের কাহিনী।একজন টম ক্যানটি।অন্যজনর এডওয়ার্ড টুডর।একই রকম চেহারা নিয়ে একই সময়ে তারা পৃথিবীতে আসে।টম ক্যানটি জন্ম নেয় বস্তির একিট পরিবারে।তার বাবা একজন ভিখিরি এবং চোর।টম ক্যানটি প্রতিদিনের সঙ্গি হচ্ছে অভাব-অনটন ঝগড়া,আর উপরি পাওনা ছিল বাবার পিটুনি।মা এবং বোনদেরও তার মত,বাবা ও দাদির হীনদৃষ্টির শিকার হত।টমকে জোড় করে পাঠানো হত ভিক্ষে করতে।এডওয়ার্ড টুডর জন্ম নেয় ব্রিটিশ রাজপরিবারে,রাজা অষ্টম হেনরির ঘরে।রাজপরিবারের সদস্যদের থাকতে হত কঠিন নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে।নিয়মের বাইরে যাওয়ার কোন উপায় নেই।দুটি কিশোরের না পাওয়ার কষ্ট এবং তাদের স্বপ্নগুলো মার্ক টোয়েন তার চিরাচরিত লেখনির মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।মানষের কিছু সৎ গুনাবলি যেমন সততা,চেষ্ট,একে অপরর প্রতি দায়বদ্ধতা খুব সুন্দর ভাবে ব্যবহার করেছেন। মার্ক টোয়েন তার লেখার মাধ্যমে তা সহজ করে দিয়েছেন। টমের স্বপ্ন,সে রাজপ্রাসাদের রাজাদের মত করে থাকবে।রাজা যেভাবে রাজ্য শাষন করে সেও করবে।টেমস নদীর পারে সে তাই করে কল্পনায়।আর এডওয়ার্ডের জীবন কঠিন শৃঙ্খলার মধ্যে আবদ্ধ। তার ইচ্ছা-স্বাধীন মত চলাফেরা করার উপায় ছিল না। শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণ এই রাজকুমার সবসময় স্বপ্ন দেখত স্বাভাবিক জীবনের।ঘটনাক্রমে তাদের দেখা হয়ে যায়।কেউই তাদের বর্তমান জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট নয় তাই তারা তদের পোষাক পিরবর্তন করে টম হয়ে যায় এডওয়ার্ড আর এডওয়ার্ড হয়ে যায় টম।তারপর শুরু হয় তাদের বিপরীতধর্মী জীবন।একসময় ইংলেন্ড শাষন করার ভার টমের উপর আসে।দরিদ্র প্রজাদের সমস্যাগুলো ভালভাবে জানা থাকায় সে রাজ্য শাষন করতে শুরু করল মহানুভবতার সাথে।আর এডওয়ার্ড পরিচিত হতে লাগলো মানব চরিত্রের অনেক অচেনা আচরনের সাথে।অনেক খারাপ মানুষর মাঝে সে খুঁজে পেল সত্যিকারের কিছু মহৎ মানুষ।প্রতিদিন তার অভিজ্ঞার ভান্ডারে নতুন নতুন জিনিস যোগ হতে থাকে।গল্পের একটি জায়গায় গিয়ে আবার তাদের দেখা হয় এবং তারা আবার আগের জীবনে ফিড়ে যেতে চায়।এডওয়ার্ডকে সবাই প্রতারক ভাবে, কিন্তু টম তখন এডওয়ার্ডই সত্যিকারের রাজা বলে তার আগের জীবনে ফিরে যায়। দ্য প্রিন্স অ্যান্ড দ্য পপার বইটি পড়লে ষোড়শ শতাব্দীর মানে তখনকার সময় ব্রিটেনে দরিদ্র মানুষের জীবনমান কেমন ছিল,তখনকার সময় রাজপরিবারের জীবন চক্র ও প্রজাদের সাথে তাদের আচরন কেমন ছিল সহজেই বুঝা যায়। সারাংশ মার্ক টোয়েনের অসাধারণ শিশু কিশোর উপন্যাস 'দ্য প্রিন্স অ্যান্ড দ্যা পপার' । রাজপুত্র এডওয়ার্ড ও ভিখিরিপুত্র টম যাদের চেহারা, জন্মতারিখ ও সময় এক কিন্তু জীবন-যাপন, সামাজিক অবস্থান আকাশপাতাল তফাৎ। একদিন ঘটনাচক্রে মুখোমুখি হয়ে এডওয়ার্ড ও টম পোশাক বদল করে নিল দুজন দুইজনের স্থান বদলের জন্য। সেই থেকে শুরু হল ওদের জীবনের অ্যাডভেঞ্চার। সোনার চামচ মুখে জন্ম নেয়া এডওয়ার্ড জীবনে কষ্ট তো দূর কষ্টের ছায়াও আসেনি আর তাকেই কিনা পদে পদে সহ্য করতে হয়েছে ভিখিরি জীবনের কষ্ট। অন্যদিকে টম হয়তো অনেক সুখে ছিল রাজপ্রাসাদে কিন্তু সেও তো রাজপুত্রের জীবনে অনভ্যস্ত। তাছাড়া রাজারাজড়াদের জীবন সুখের হলেও বিরক্তিকর । পরিবারের সবাইকে ছেড়ে রাজপুত্রের জীবনে তাই সেও হাঁপিয়ে উঠছিল। নানা ঘাত-প্রতিঘাত শেষে যখন রাজপুত্র থেকে রাজার অভিষেকের দিনে সবাই জানতে পারে সত্যিকারের রাজপুত্র কে ছিল। কিন্তু সে পর্যন্ত দুইজনের জীবনেই ঘটে নানা চমকপ্রদ ঘটনা। ষোড়শ শতাব্দীর ব্রিটেনের অভিজাত ও সাধারণ- দুই দিকের জীবনযাত্রা চমৎকার রূপে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক।
মার্ক টোয়েন জন্ম ৩০ নভেম্বর ১৮৩৫, আমেরিকার মিসৌরিতে | আসল নাম স্যামুয়েল ল্যাংহর্ন ক্লিমেন্স। বিশ্বব্যাপী মার্ক টোয়েন নামে পরিচিত। ১২ বছর বয়সে বাবা মারা যান। জীবিকা অর্জনের জন্য তাঁকে বেরিয়ে পড়তে হয়। আমেরিকার বিভিন্ন রাজ্য ঘুরে বেড়িয়েছেন। বড় হয়েছেন মিসিসিপি নদীর তীরে, এই নদীতে স্টিমবােটের পাইলট ছিলেন। অংশ নেন আমেরিকার গৃহযুদ্ধে। যুদ্ধের পর সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। টম সয়ীর প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিহিত হয় ক্ল্যাসিক হিসেবে। এর পরের খণ্ড দ্য অ্যাডভেঞ্চারস অব হাকলবেরি ফিন। মৃত্যু ১৯১০।