ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় ১৮৪৭-১৯১৯ ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের বিস্মৃতপ্রায় লেখক। বড়ই বিস্ময়ের কথা। বসুমতী গ্রন্থাবলী-সিরিজ ব্যতীত তাঁহার গ্রন্থ বাজারে পাওয়া যায় না। বসুমতী গ্রন্থাবলীও সম্পূর্ণ নহে। তাঁহার ইংরেজি রচনা ভারতীয় শিল্পের পরিচয়-গ্রন্থাবলী বোধ করি দুষ্প্রপ্য হইয়া গিয়াছে। ত্রৈলোক্যনাথের কঙ্কাবতী গ্রন্থখানার কথা কোনো কোনো পাঠকের মুখে শুনতে পাওয়া যায়। তবে সে অনেকটা কিংবদন্তীর মত, পঠিত- অভিজ্ঞতা বলিয়া মনে হয় না। বাংলা সাহিত্যের একজন major বা মহৎ লেখকের এমন অবলুপ্তি যুগপৎ দুঃখ ও বিস্ময়ের হেতু। ত্রৈলোক্যনাথ বাংলা ভাষায় শ্রেষ্ঠ ব্যঙ্গসাহিত্যিক বা satirist। সৌভাগ্যের বিষয়, বাংলা সাহিত্যের স্যাটায়ার বা স্যাটায়ারিস্টের অভাব নাই। মাইকেল হইতে আরম্ভ করিয়া রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত অধিকাংশ বাংলা সাহিত্যিকের রচনায় কিছু-না কিছু স্যাটায়ার আছে, কিন্তু কেহই বিশুদ্ধ ও নিছক ব্যঙ্গরচনায় আত্মনিয়োগ করেন নাই। তাঁহাদের দৃষ্টি ব্যঙ্গসাহিত্যিকের দৃষ্টি নয়; ব্যঙ্গসাহিত্যিক যে-দৃষ্টিতে জীবনকে দেখিয়া থাকেন সে- দৃষ্টিতে তাঁহারা অভ্যস্ত নন, সে-দৃষ্টি তাঁহাদের স্বভাবসিদ্ধ নয়। ত্রৈলোক্যনাথ ব্যঙ্গের বক্রদৃষ্টি লইয়াই জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন; বিশুদ্ধ ও নিছক ব্যঙ্গরচনাতেই তিনি · আত্মনিয়োগ করিয়াছিলেন।
প্রমথনাথ বিশী ( Pramathanath Bishi, ১১ জুন ১৯০১ - ১০ মে ১৯৮৫) একজন লেখক, শিক্ষাবিদ ও অধ্যাপক। তিনি ১৯৬২-৬৮ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য ছিলেন এবং ১৯৭২ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। ১৯০১ খ্রীষ্টাব্দের ১১ই জুন নাটোর জেলার জোয়াড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জমিদার পরিবারে জন্ম। পিতা নলিনীনাথ বিশী ও মাতা সরোজবাসিনী দেবী, স্ত্রী সুরুচি দেবী। ১৯১০ সালে শান্তিনিকেতনের ব্রহ্মবিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু করেন। সেখানে এক নাগাড়ে সতের বছর অধ্যয়ন। মেধা, প্রখর বুদ্ধি, অধ্যয়ননিষ্ঠা, কবি-প্রতিভা ইত্যাদি গুণাবলির জন্য রবীন্দ্রনাথের স্নেহ লাভ। তিনি কেরী সাহেবের মুন্সী বইটির জন্য রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। ১০মে, ১৯৮৫ সালে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।এছাড়াও প্রমথনাথ বিশী আনন্দ পুরষ্কার এ ভূষিত হয়েছেন ।