প্রথম প রি চ্ছে দ নজরুলের সাহিত্য জীবনের পেক্ষাপট ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম। জন্মের পর থেকে নজরুল কী পরিবেশে বড়ো হয়ে উঠেছিলেন, তৎকালীন বাংলা ও ভারতের অবস্থা কী ছিল, সেই সম্পর্কে একটু আলোচনা করে নিলে নজরুলের মানসিক গঠন ও তাঁর সাহিত্য- কর্ম সম্পর্কে কিছুটা আভাস পাওয়া যাবে । পাশ্চাত্য শিক্ষা ও সংস্কৃতির সংস্পর্শে এসে ঊনবিংশ শতাব্দীতে ভারতে এক নবজাগরণের সৃষ্টি হয়। সমাজ, ধর্ম, রাজনীতি সব ক্ষেত্রেই এক নতুন আবেগ লক্ষ করা যায়। এই প্রগতির প্রথম প্রবাহ কলকাতাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠলেও ধীরে ধীরে তা সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে। নব-জাগরণের ফলে ভারতবাসীর মধ্যে একটা জাতীয়তাবোধের সৃষ্টি হয়। ভারতবাসীর মনে স্বাধীনতালাভের একটা আকাঙক্ষা জাগ্রত হতে থাকে। এই নব-জাগরণের পুরোধা হিসেবে আমরা যাদের নাম করতে পারি তারা হলেন— রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, ডিরোজিও, স্বামী বিবেকানন্দ, স্বামী দয়ানন্দ, কেশবচন্দ্র সেন প্রমুখ। সেই সময় থেকে ভারতে চিন্তা ও মননের ক্ষেত্রে এক নতুন ভাবের জোয়ার বইতে থাকে। মধ্যযুগীয় সংকীর্ণতা, গোঁড়ামি ও অন্ধ-বিশ্বাসকে কাটিয়ে এক যুক্তিবাদী ভাবধারা গ্রহণের উদ্যোগ লক্ষ করা যায়। দেশাত্মবোধক সাহিত্য ভারতে জাতীয়তাবোধ বিকাশে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্ৰহণ করেছিল। এই বিষয়ে বাংলা সাহিত্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। বঙ্কিমচন্দ্ৰ চট্টোপাধ্যায়, রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, দীনবন্ধু মিত্র, নবীনচন্দ্র সেন, হেমচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ কবি ও সাহিত্যিকগণ তাদের রচনার মাধ্যমে দেশবাসীকে দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ করে তোলার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেছিলেন। সন্ন্যাসী বিদ্রোহের