নীৎশে ও প্রত্ন-আধুনিকোত্তর পরানন্দন তপোধীর ভট্টাচার্য নীৎশে ‘The Will to Power' বইতে লিখেছেন : 'That the value of the world lies in our interpretation....that every elevation of man brings with it the overcoming of narrower interpretations; that every strengthening and increase of power opens up new perspectives and means believing in new horizons—this idea permeates my writings.' (১৯৬৭ : ৩৩০) জগতের মূল্য নির্ভর করে আমাদের বিশ্লেষণী ভাষ্যের ওপর—বয়ান হিসেবে এ যেন আমাদের সমকালীন উচ্চারণের সঙ্গে মিলে যায়। সংকীর্ণতর ভাষ্যের বৃত্ত যখনই ভাঙে মানুষ, উত্তরণের নতুন সোপানে পৌঁছে যায়। ক্রমাগত নতুন প্রেক্ষিত, উপকরণ ও দিগন্ত উন্মোচিত করেই মানুষ নিজেকে প্রসারিত করতে পারে। হঠাৎ করে যখন পড়ি, যে-কোনো উদ্ধৃতিযোগ্য বাচনের মতোই মনে হয় এই বক্তব্যকে। তাহলে সময়ের অভিজ্ঞান-নিরপেক্ষ ভাবেই কী ভাষ্যের ওপর ভরসা করব আমরা? বিশেষত সাম্প্রতিক নির্মানবায়ন প্রক্রিয়া দ্বারা আক্রান্ত প্রতিজগতে বাস করে আধুনিকোত্তর চিন্তাপ্রণালীর সঙ্গে এর সঙ্গতিসূত্র কীভাবে খুঁজব! এই খোঁজার প্রশ্ন উঠছে এইজন্যে যে ফুকো, লিওতার ও বদ্রিলারের মতো আধুনিকোত্তর তত্ত্বদ্রষ্টাও সরাসরি বা পরোক্ষভাবে নীৎশের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন।