"রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ইতিহাস ও অনুষঙ্গ (৩য় খণ্ড)” বইটিতে লেখা ফ্ল্যাপের কথাঃ এ পর্যন্ত পূর্ববঙ্গে ভাষা-আন্দোলন নিয়ে একাধিক গবেষকের তথ্যনির্ভর ইতিহাস গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২-পরিসরে ঢাকা থেকে অন্যান্য শহর ও গ্রামে ছড়িয়ে পড়া আন্দোলনের বিস্তারিত বিবরণ একাধিক খণ্ডে এখনো প্রকাশিত হয়নি। দলিলপত্র সংকলন প্রকাশের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে এ ধরনের ব্যাপক কর্মতৎপরতা ভিত্তিক ইতিহাস ও দলিল সংকলন ও প্রকাশনা সাধারণত সরকার ও সরকার-সমর্থিত জাতীয় প্রতিষ্ঠানের দায়-দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। সে দায় পালিত হয়নি। সে কারণে ব্যয়বহুল এ কাজটি যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত পরিসরে (তিন খণ্ডে) সংকলন ও সম্পাদনা এবং প্রকাশের দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে, জাতীয় পর্যায়ে এ আন্দোলনের গুরুত্ব বিবেচনা করে। খণ্ডগুলোতে যথাক্রমে রয়েছে বাংলা ভাষা, পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বিষয়ক বিতর্ক, এ সম্পর্কে সুধীজনের মতামত, আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট বিশিষ্ট জনের স্মৃতিচারণ ও সাক্ষাৎকার; পরিশেষে আন্দোলন বিষয়ক মূল্যায়ন ও তাৎপর্য বিচার। এ ছাড়া রয়েছে সংবাদপত্রে ভাষা-আন্দোলনের ইতিকথা এবং এ আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা সম্পর্কে দু-একটি রচনা। বিস্তৃত প্রেক্ষাপটে পূর্ববঙ্গের ভাষা-আন্দোলন সম্পর্কে জানা ও বোঝার জন্য তিন খণ্ডে প্রকাশিত ‘ভাষা-আন্দোলন : ইতিহাস ও অনুষঙ্গ’ আগ্রহী পাঠকদের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশনা হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। অনিন্দ্য প্রকাশের এ প্রকাশনা সুপ্রকাশনা হিসেবে পাঠকের নান্দনিক চাহিদা মেটাতে পারবে বলেও মনে করি। প্রচ্ছদ = ধ্রুব এষ।