সন্ধ্যার নক্ষত্র তুমি বল দেখি কোন পথে, কোন ঘরে যাব, কোথাও উদ্যম নাই, কোথাও আলাে নেই চিন্তা স্বপ্ন ভুলে গিয়ে শান্তি আমি পাব। সন্ধ্যার নক্ষত্র পেরেছে বলতে? তা হলে আর কবি ট্রাম চাপা পড়ে মরলেন কেন? কবি যদি শান্তি পেয়ে যান, অশান্ত করবে কে? ছুটলাম ধ্রুবতারার কাছে। পালভাঙা নৌকোর সারথি আমি, ধ্রুবতারার ক্ষীণ আলােতে দেখলাম পুনরুত্থান রেজারেকশন। স্বর্গরাজ্যে ধস নেমেছে, মর্ত্যে আর্তনাদ, আমরা বাঁচব তাে? ইতিহাসকে গলা টিপে মেরে আমরা তাে ইতিহাসের শেষ ঘােষণা করে আধুনিককে তারও ওপরে তুলতে গিয়ে ভবিষ্যৎকে প্রাক সভ্যতা সম্ভোগের বস্তু করে তুলেছিলাম। সম্ভোগ-ফাটকার আগুনে ধসে গেল সে মিনার। আগেও ধস এসেছে, এসেছে প্লাবন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে থাকি, ছুটে এসেছে গুটি কয়েক ছাত্রছাত্রী, তাদের বলছিলাম, সে সব কথা, উত্তর আধুনিক’ মানে আসলে প্রাক সভ্যতা, ওরা হইহই করে উঠল। বললাম, যা কিছু ঘটমান, প্রবহমান বা চলছে, এই বাজার, এই মল, এই তােমাদের ফোন,গ্যাজেট, সাজ-পােশাক ওগুলােকেই তাে আধুনিক বা ট্রেন্ডি বলছ, এর থেকে উত্তোরিত হয়ে যদি কিছু আসে, চিন্তা, শিল্প, দর্শন, অর্থনীতিতে সেটাই হবে তখন আধুনিক, সুতরাং শব্দটা নিজেই অর্থহীন, যেটা ভাবছ সেটা যদি বাস্তবায়িত হয়, সেটাই তাে হবে আধুনিক শব্দটার মৃত্যু ঘটে নাকি? এটা তাে একটা আইডিয়া, ইতিহাসের বিভাজনে, সমাজতন্ত্র-কে আমরা আধুনিককাল হিসেবে ধরে নিয়ে বলতে পারি, সমাজতন্ত্রের ধংস আধুনিককালের সমাপ্তি, একটা কাল চলছে উত্তর সমাজতন্ত্র পর্ব। সমাজতন্ত্র থেকে বিশ্বরাষ্ট্র, বিশ্বনাগরিক, সাম্যবাদে না গিয়ে আবার ব্যক্তিমানুষের বিকাশে চলে এসে টিকে থাকা ওদের বাধা দিয়ে বলি, অর্থাৎ উত্তর-সমাজতন্ত্র পর্ব। এটাই তাে বলছিলাম, সামাজিক মানুষকে ব্যক্তিমানুষে টেনে নামানাে, প্রবৃত্তিকে সচেতনতার ওপরে