ভূমিকা সঙ্গীতজ্ঞ শ্রীইন্দুভূষণ রায় প্রণীত সঙ্গীতশাস্ত্র গ্রন্থটির প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড আমি পড়ে দেখেছি। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত সম্পর্কে জ্ঞাতব্য বিষয়বস্তু এবং প্রয়োজনীয় তথ্য এই গ্রন্থে পরিবেশন করা হয়েছে। যেটুকু জ্ঞান সকল শিক্ষার্থীর থাকা বাঞ্ছনীয় সেটুকু অতি সুন্দরভাবে এই গ্রন্থে বুঝিয়ে বলা হয়েছে। আধুনিক ও প্রাচীন মতে ২২টি শ্রুতির সাতটি শুদ্ধ স্বরে বিভাজন, শ্রুতি ও নাদের সূক্ষ্ম ভেদ, ঠাট ও রাগের বিশেষ নিয়ম, ব্যঙ্কটমখীর ৭২টি ঠাটের গণিতানুসারে রচনা, স্বর ও সময় অনুসারে রাগের তিন বর্গ, গায়কের গুণ-অবগুণ, রাগ-রাগিণী পদ্ধতি, নিবদ্ধ গানের প্রাচীন প্রকার, রাগের সময় চক্র, আবির্ভাব-তিরোভাব, গায়কী নায়কী, ভাতখণ্ডে ও বিষ্ণুদিগম্বর স্বরলিপি পদ্ধতি, বাদ্যসঙ্গীত বিষয়ক পরিভাষা, স্বামী হরিদাস, মানসিংহ তোমর, ভরত, অহোবল প্রভৃতি সঙ্গীতগুণীদের জীবন পরিচয় প্রভৃতি শাস্ত্রীয় বিষয় এই গ্রন্থে উপস্থাপিত করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্রিয়াত্মক বিষয়ের প্রতিটি রাগের পরিচয়, আলাপ, বিলম্বিত ও দ্রুত খেয়ালের গান, তালবদ্ধ বিস্তার, তান, বোলতান, সরগম্, সমপ্রকৃতিক রাগের পরস্পর তুলনা এবং ধ্রুপদ, ধামার গানের বিভিন্ন লয়কারী, তারানা, বিভিন্ন তালের পরিচয় ও বিভিন্ন লয়কারী প্রভৃতি এই গ্রন্থে স্থান পেয়েছে
ইন্দুভূষণ রায় (জন্ম: ১৮৯০ - মৃত্যু: ২৯ এপ্রিল ১৯১২) (ইংরেজি: Indubhusan Roy) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী। তিনি বিপ্লবী দলের সভ্য ছিলেন। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দের ১১ এপ্রিল তিনি চন্দননগরের মেয়রের উপরে বোমা ছোঁড়েন । এরপর ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দের ২ মে তিনি আলীপুর ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার হন। তাঁর এই মামলায় দ্বীপান্তর দণ্ড হয়। আন্দামানের সেলুলার জেলে পুলিশের নৃশংস অত্যাচারে তিনি আত্মহত্যা করেন।