"৯৬৩-২০১০ সময়কালের পটভূমিতে লেখা এই আখ্যানে ইতিহাসের পরম্পরার সমান্তরালে বয়ে যায় সম্পর্কের পুণ্যতোয়া। এক সময় কমিউনিস্ট পার্টির ফতোয়া মেনে না-নেবার কারণে কলেজ- অধ্যাপক সুকান্তির সম্পর্ক চুকে গিয়েছিল দলের সঙ্গে। তারপর ১৯৬৭। নতুন দিনের স্বপ্ন নিয়ে নকশালবাড়িতে অভ্যুত্থান। ১৯৬৯-এ নতুন কমিউনিস্ট পার্টির উন্মেষ হলে সুকান্তি আবার যুক্ত হন সমাজ বদলাবার কর্মকাণ্ডে। সুকান্তির সূত্রে চলে আসে সদ্য-যুবক নিরুপম-চিরন্তনের দল। মগরার দ্রোণাচার্য আর পাঞ্চালীর গভীর প্রেম। দ্রোণের কবিতা, দয়িতা আর বিপ্লব একাকার। পাঞ্চালীও সেই রক্ত-ঝরা পথে। দ্রোণের বাবা নিবারণ জীবনকে ভালোবাসেন। হিসাবের খাতা থেকে বৃক্ষ, প্রতিটির মধ্যে তিনি প্রাণ খুঁজে পান। কথা বলেন তাঁরই প্রতিবিম্বের সঙ্গে। অত্যাচারী পুলিশের লালবাজারে বিরল ব্যতিক্রমী সাব-ইন্সপেক্টর কনকেন্দু। নকশালদের ওপর তার ঊর্ধ্বতনের কুৎসিত নির্যাতনে সে সায় দিতে পারে না। আবার অস্বীকারও করতে পারে না। দ্বন্দ্বে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। কলকাতায় নিরুপমের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল পাঞ্চালীর। পরবর্তীতে গুলিবিদ্ধ নিরুপমের শুশ্রূষায় অন্য মাত্রা পায় দ্রোণ-হারা পাঞ্চালীর সেই সম্পর্ক। প্রতিটি চরিত্রের হৃদয়ভরা ভালোবাসা। ভালোবাসার তীব্রতায়, স্বপ্নের মাধুর্যে এরা কখন যেন একে অপরের আত্মজন হয়ে যায়। এক অদৃশ্য গ্রন্থিতে জুড়ে যায় নিবারণ-সুকান্তি দ্রোণ-পাঞ্চালী-নিরুপম। তাদের কেউ মারা গেলেও স্বপ্ন মরে না। সেই স্বপ্ন যে বুলেট-প্রুফ!"