ইনকিলাব জিন্দাবাদ আজ লক্ষ লক্ষ সংগ্রামী মানুষের কণ্ঠে প্রতিনিয়ত এই ধ্বনিটি শােনা যায়, কিন্তু অনেকেরই হয়তাে জানা নেই যে, ভারতবর্ষে কবি ইকবাল রচিত এই ধ্বনিটি প্রচারের মূলে ছিলেন শহীদ-ই-আজম ভগৎ সিং, যিনি ১৯৩১ সালের ২৩শে মার্চ প্রাণ দিয়েছিলেন লাহাের সেন্ট্রাল জেলের ফঁাসি-মঞ্চে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে ইনকিলাব জিন্দাবাদ। গ্রেপ্তারের পরে ইনকিলাব জিন্দাবাদ। বিচার সভারইনকিলাব জিন্দাবাদ। ফাঁসির দড়ি গলায় নিয়েও সেই একই ধ্বনি ইনকিলাব জিন্দাবাদ। “Untold Story' নামক বিতর্কিত গ্রন্থের রচয়িতা ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সেনাধ্যক্ষ প্রত্যক্ষদর্শী জেনারেল কাউলের ভাষায় : When Bhagat Singh's turn came, he was given a mask to cover his face, before he went to gallows. He threw it away scronfully, advanced his chin up with a steady unfaltering step, solemnly kissed his gallows, saying he was luckily to be laying down his life for his country. He then bade good-bye to the Indian jailor, doctor, magistrate, who stood there as silent witnesses. He was hanged with his eyes breathing fire with revolution on his lips. The handful of Indian official present at the time, hung their heads in sorrow and shame for hanging a patriot.' অর্থাৎ সি-মঞ্চে ওঠার আগে একটি মুখােশ দেওয়া হল ভগৎ সিংকে। ঘৃণায় সেই মুখােশ দূরে নিক্ষেপ করে ভগৎ সিং নির্ভীক পদক্ষেপে নিজেই এগিয়ে গিয়ে চুম্বন করলেন ফঁসির রজ্জ। বললেন আজ আমার পরম সৌভাগ্য যে, আমি দেশের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার সুযােগ পেয়েছি। তারপর তিনি সমবেত সাক্ষীবৃন্দ, জেলার, ডাক্তার ও বিচারকের কাছ থেকে শেষ বিদায় নিলেন। চোখে তাঁর জ্বলে উঠল বিদ্যুৎবহ্নি। কণ্ঠে বিপ্লবের জয়গান। তারপর সব শেষ। একজন দেশপ্রেমিককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে ভারতীয় উচ্চপদস্থ কর্মচারীগণ মাথা নিচু করে রইলেন দুঃখে লজ্জায়। গ্রন্থ রচনার ব্যাপারে সবচাইতে বেশি সহযােগিতা পেয়েছি ইনক্লাব জিন্দাবাদ’ গ্রন্থের রচয়িতা বিপ্লবীবন্ধু লােকেন্দ্রকুমার সেনগুপ্তের কাছ থেকে। যেভাবে তিনি আমাকে নানাবিধ তথ্য দিয়ে দিনের পর দিন উৎসাহ যুগিয়ে এসেছেন তা কোনদিনও ভুলে যাবার নয়। দুর্গাদেবী এবং শহীদ ভগবতীচরণ ভােরার ছবি দুটি পেয়েছি তাঁরই সৌজন্যে। দুর্গাদেবী নিজেই তাকে ছবি দুটি পাঠিয়েছিলেন কিছুদিন আগে।