"রুপকাহিনির জিনাতপর্ব" বইটিতে লেখা ফ্ল্যাপের কথা: প্রত্যেকটি মানুষের জীবন নানা ঘটনায় তৈরি, যেন ঘটনার ওপর ঘটনা দিয়ে সাজানাে ইটের মতাে। ইন্টারনেটের বহুবিধ সুবিধা থাকলেও এই বস্তুটি কখনও কখনও ভয়াবহ সন্ত্রাস হয়ে ওঠে। কয়লা করে দেয় জীবনকে যদি সেটা ধারণ করে যৌনতার চিত্র। একটি মেয়ে, রুগ্ধা সরকার, মফস্বল শহর থেকে ঢাকায় আসে লেখাপড়া করতে। মামার সংসারে তার জীবন অতােটা সহজ ছিলাে না। মায়ের ইচ্ছে ছিলাে মেয়ে লেখাপড়া শিখে শিক্ষকতা করবে, ম্যাডাম হবে। কিন্তু ঘটনাচক্রে রুপা সরকার বিজ্ঞাপনের মডেল হয়ে যায়, তারপর চলচ্চিত্রের নায়িকা। টেলিভিশনের নাটকেও সে নিয়মিত অভিনয় করতে থাকে। তার ‘কবরী কবরী’ চেহারা মুগ্ধ করে সকলকে। রুপা সরকার পরিচিত হয়ে যায় জিনাত নামে। কিন্তু জীবনের সব জায়গায় ঘাটে ঘাটে লুকিয়ে থাকে হায়েনারা। এদের মূল কাজের পেছনে ঘাপটি মেরে থাকে অন্ধকার। এই অন্ধকারে একদিন আটকে যায় জিনাতের পা। সে বুঝে ওঠার আগেই ইন্টারনেটে ছড়িয়ে যায় তার নগ্ন ভিডিও। সবকিছু থেকে খুব দ্রুতই নিজেকে গুটিয়ে নিতে চায় ও। নিজের পৈতৃক নাম রুপা সরকারের ভেতর সে আশ্রয় খুঁজতে চায় আবারও। ভুলতে চায় জিনাতকে। শাহাবুদ্দীন নাগরীর সচল ও সাবলীল ভাষায় উঠে এসেছে এমনই একজন নারীর গল্প ‘রুপাকাহিনির জিনাতপর্ব’ উপন্যাসে।
Shahabuddin Nagari, বহুমাত্রিক লেখক শাহাবুদ্দীন নাগরী ছড়াপাঠকদের অত্যন্ত প্রিয়। তিনি সব ধরনের ছড়া লিখে থাকেন। তার জন্ম ১৯৫৫ সালের ৬ অক্টোবর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কানসাট ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে বি.এসসি. সম্মান এবং কীটতত্ত্বে এম.এসসি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। পিতা মরহুম মহম্মদ সাবিরউদ্দিন এবং মা মরহুমা সায়েমা খাতুন। তার স্ত্রী ডা. আফতাবুন নাহার মাকসুদা বাংলাদেশ সরকারের একজন যুগ্মসচিব। তাদের দু’ছেলে রেহান উদ্দিন নাগরী এবং ফারহান উদ্দিন নাগরী। কর্মজীবনে শাহাবুদ্দীন নাগরী একজন সরকারি চাকুরিজীবী। তার মৌলিক এবং সম্পাদিত গ্রন্থসংখ্যা ৬৬।