শিশুদের অধিকার বিষয়ক দশটি গল্পের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে গল্পে গল্পে শিশু অধিকার’ গল্প সিরিজ। এই সিরিজে শিশু অধিকারের ওপর গুরুত্ব না দিয়ে শিশুর আচরণগত বৈশিষ্ট্যের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সিরিজের প্রত্যেক গল্পের দুটি প্রধান চরিত্র শান্তা ও সবুজ। তাদের রয়েছে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য যা উপভােগ্য এবং অন্যান্য সবার থেকে তাদেরকে স্বাতন্ত্র রেখেছে। বৈশিষ্ট্যগুলাে হল ওদের কোন পরিবার নেই। ওরা বিশেষ কোন সামাজিক বা অর্থনৈতিক শ্রেণীর প্রতিনিধি নয়। ওরা সময় ভ্রমণ (Time Travel) করতে পছন্দ করে। ওরা নিজেদের অদৃশ্য করতে পারে আবার চাইলে দৃশ্যমানও হতে পারে। শান্তা ও সবুজের চোখ কেবল ভাল কিছু খুঁজে বেড়ায়। যেখানেই শিশুদের জন্য ভাল কিছু করা হয় ওরা কিভাবে যেন তার খোঁজ পেয়ে যায়। ওরা দুজন ঘটনার প্রতি বেশি আগ্রহী নয় বরং মানুষের আচরণের দিকে বেশি মনােযােগী। আমার সহকর্মীরা বিশেষ করে উঁই, রকিব আর এঞ্জেলা সিরিজটি লিখতে আমাকে নানাভাবে সহযােগিতা করেছেন। আমি তাদের কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। যাদের কথা ভেবে সিরিজটি লেখা হয়েছে তারা হলেন একদিকে শিশু ও কিশাের-কিশােরীরা এবং অন্য দিকে মা-বাবা ও অন্যান্য অভিভাবকরা। গল্পগুলাে শিশুদের তাদের অধিকার এবং তাদের করণীয় বিষয়ে সচেতন করতে এবং শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বড়দের সাহায্য করবে। লেখক হিসেবে তৃপ্তি পাব যদি বইগুলাে পাঠকদের কাছে সমাদৃত হয় ।
ফরিদা আকতার পেশায় একজন মনোবিজ্ঞানী/কাউন্সেলর ও প্রশিক্ষক। তিনি নিয়মিতভাবে কাউন্সেলিং সেবা প্রদান করে থাকেন। এই লেখকের অন্যান্য বই ও প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যেমন-ইউ.এন.ডি.পি. ইউনেস্কো বাংলাদেশ, সেভ দ্য চিল্ড্রেন বাংলাদেশ, ব্র্যাক বাংলাদেশ, শিশু একাডেমি প্রভৃতি। এই লেখক মূলত শিশু বিকাশ, ব্যক্তিগত/পেশাগত উন্নয়ন, আনন্দে শেখা, মনোসামাজিক কাউন্সেলিং প্রভৃতি বিষয়ে লিখে থাকেন। ফরিদা আকতার তার নিজের সংস্থা ইনার ফোর্সের মাধ্যমে নানা সংস্থায় কন্সালটেন্ট হিসাবে কাজ করে থাকেন। যেমন- ইউ.এন.ডি.পি. ইউনেস্কো বাংলাদেশ, ইউনিসেফ, সেভ দ্য চিল্ড্রেন, কেয়ার, প্ল্যান বাংলাদেশ, কনসার্ন, ব্র্যাক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি। দেশ ছাড়াও ফরিদা বিভিন্ন দেশে কন্সালটেন্ট হিসাবে কাজ করেছেন। যেমন- মালদ্বীপ, আফগানিস্থান, নেপাল, তুর্কিমিনিস্থান, কিরগিজস্থান, ভিয়েতনাম ইত্যাদি। এছাড়া বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে তিনি নিয়মিতভাবে মনোবিজ্ঞান বিষয়ক অনুষ্ঠান করে থাকেন ।