‘প্রাচীন ভারতে পরিবেশ চিন্তা’ বইয়ের সূচিপত্রঃ বৃহৎ ভারতবর্ষে প্রাচীন প্রাজ্ঞজনেরা প্রকৃতিপরিবেশ নিয়ে কী চিন্তা করতেন, তার প্রকাশ কেমন ছিল, নিজেদের দৈনন্দিন জীবনে কী কৌশলে বা প্রকৌশলে প্রাকৃতিক শক্তিসম্পদকে ব্যবহার করেছেন, তার সঙ্গে সংঘাত না মিলনের সম্পর্ক ছিল তাঁদের, এসব নিয়েই অনুসন্ধান এই বই। পৃথিবীর জীবলোকে এখন গভীর এক অসুখ বাসা বেঁধেছে। বর্তমান পৃথিবীর পরিবেশ ও তার সমস্যার বহু-আয়তনিক দিক ও ব্যাপকতার কারণগুলি এই অসুখের প্রেক্ষাপট। এই প্রেক্ষাপটে এই অনুসন্ধান। বেদ, পুরাণ, সংস্কৃত সাহিত্য, বৌদ্ধ-জৈন আকরগ্রন্থ, অশোকের লেখমালা, কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র, মনুর স্মৃতিসংহিতা, সুশ্রুতের সংহিতা থেকে শুরু করে ভারতীয় আদিবাসীদের পরম্পরাগত পরিবেশভিত্তিক আচার-অনুষ্ঠান এবং হরপ্পামহেঞ্জোদারোর সময়ের মধ্যে প্রবেশ করে সেই গভীর অসুখের নিদান অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। প্রকৃতির সঙ্গে প্রাচীন মানুষের সম্পর্ক কী ছিল তা জানতে একমাত্র ভারতবর্ষেই বোধ হয় পাওয়া যায় এত তথ্য। তাই শুধু ভারতবর্ষই নয়, সারা পৃথিবীর সমগ্র জীবজগতেরও নিদান অনুসন্ধানের জন্য একমাত্র নির্ভর এই বিপুল বিস্ময়কর তথ্য ভাণ্ডার।
Suvendu Gupto: জন্ম ১৯৪২ কলকাতায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণরসায়নে পিএইচ.ডি.। উচ্চতর গবেষণা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ও ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিছুকাল শেষোক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনাও করেছেন। এদেশে গাণিতীয় রসায়ন গবেষণার প্রথম যুগের গবেষকদের অন্যতম। ভারতবুলগেরিয়া একটি বৈজ্ঞানিক কার্যক্রমের একজন বিজ্ঞানী সদস্য ছিলেন। গাণিতীয় রসায়ন বিষয়ে রচিত ‘আশ্চর্য প্রদীপের সন্ধানে’ বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদের ‘রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী পুরস্কার’ পেয়েছে। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-গবেষণা পত্রিকায় প্রকাশিত প্রায় পঞ্চাশটির বেশি নিবন্ধ ছাড়াও জনপ্রিয় বিজ্ঞান, পরিবেশ, সাহিত্য ও মানবিক বিদ্যার বিষয়ে তাঁর বিভিন্ন প্রবন্ধ ও মূল জার্মান থেকে অনূদিত কবিতা ও গল্প নানা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। রচিত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: গন্ধের কথা: রসায়নে ও জীবজগতে, উদ্ভিদবিজ্ঞানের পরিভাষা। ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকাডেমির ফেলো ও অন্যতম সহসভাপতি। অবসরের পরেও বর্তমানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগে আমন্ত্রিত অধ্যাপক হিসাবে যুক্ত আছেন। আগ্রহের বিষয়: ভ্রমণ, ধ্রুপদি সংগীত ও শিশুদের সঙ্গ।