একাকীত্ব ও নিঃসঙ্গতার আঘাত আমাদের জীবনে নিঃসঙ্গতা আসতে শুরু হয় পঞ্চাশের পর থেকে। তখন ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে যায়। তাদের সাথে রচিত হয় দূরত্ব। স্ত্রীর মেজাজও খিটখিটে হয়ে যায়। আবার স্ত্রী পুত্র না থাকলেতো কথাই নেই। তখন সর্বগ্রাসী একাকীত্ব পৌষ মাসের জড়তার মতো আষ্টে পিষ্টে চেপে ধরে। এককথায় নিঃসঙ্গতা মানে অক্টোপাশ বন্ধন। পঞ্চাশ বছরের পর সাধারণতঃ মানুষের মধ্যে যৌবনের আকর্ষণ চলে যায়। তবে আজকাল ট্যাবলেট খেয়ে অনেককেই যৌবন ধরে রাখতে দেখেছি। মানে Sex problem সমাধান করতে শুনেছি। কোন রকমে ৬০ বছর গত হয়। সংসারে তখন বহুজনের মধ্যে একাকী থাকতে হয় অনেককেই। ছেলে মেয়ে নাতি-নাতনী, পুত্র-পুত্রবধু নিয়ে সংসার হয় বৃন্দাবন কিন্তু রাধা কৃষ্ণের মিলন নেই বা রাধার কাছে কৃষ্ণ নেই। ষাটের পর বার্ধক্য ঘিরে ধরে। নিসঙ্গতার গভীরে একটু একটু করে ডুবতে থাকে মানুষ। চাকরী বা কর্ম থেকে অবসর নেওয়ার পর প্রতিপত্তি ও উপার্জন দুটোই কমে যায়। ছেলে-মেয়েরা বুড়ো বুড়ির কথা শোনে না। তারা বিয়ে করে বৌকে নিয়ে দুরে কিংবা পাশেই পৃথক হয়ে সুখভোগ করতে চলে যায়। আর কাছে থাকলেও বাবা মায়ের প্রতি তেমন আকর্ষণ থাকে না। তাদের ভালবাসা তখন ক্ষয় প্রাপ্ত হতে হতে হয়ে পড়ে নিম্নগামী। ছেলে-মেয়েদের নিজের সংসার হলে তাদের কাছে অগ্রাধিকার পায় তাদের স্ত্রী অথবা স্বামী – বয়স্ক মা-বাবা নন। এটা চিরন্তন সত্য।