হিন্দু মেলার ইতিবৃত্ত তাড়িত বিজ্ঞান কোন কোন বস্তু ঘর্ষিত অথবা উত্তাপিত হইলে অন্য লঘু বস্তুকে আকর্ষণ করে। কোন কোন সময়ে তন্মধ্য হইতে শব্দ সহকারে ফসফরাসের গন্ধ-বিশিষ্ট অগ্নিকণা নির্গত হয়। বস্তুসমূহের উপরোক্ত গুণকে তাড়িত কহা যায়। যে বস্তু হইতে ঘর্ষণ অথবা উত্তাপ দ্বারা তাড়িত উৎপন্ন হয়, তাহাকে তাড়িতাত্মক কহা যায়। যে সকল বস্তুকে তাড়িত প্রবেশ করে তাহাকে তাড়িত-পরিচালক কহা যায়। এবং যাহাতে তাড়িতের প্রবেশ হয় না, অথবা যদ্বারা তাড়িত চালনা হয় না, তাহাকে তাড়িত-রোধক বলা যায়। যে বস্তুতে স্বাভাবিক তাড়িতাংশ অপেক্ষা অধিকতর তড়িৎ প্রবেশ করে তাহাকে ধন-তাড়িত বিশিষ্ট কহা যায়। এবং যাহার স্বাভাবিক অংশ অপেক্ষা তাড়িতের ভাব ন্যূন তাহাকে ঋণ-তাড়িতপূর্ণ বলা যায়। তাড়িতপূর্ণ বস্তু হইতে অপর বস্তুর মধ্য দিয়া শব্দসহকারে তাড়িত নির্গত হইয়া যাওয়ার নাম তাড়িতাঘাত । কাচ ঘর্ষণ দ্বারা ঋণ-তাড়িতপূর্ণ হয়। গালা রজন আম্বর প্রভৃতি কতক প্রকার পদার্থ ঘর্ষণ দ্বারা ঋণ-তাড়িতপূর্ণ হয়। বিড়ালের লেজের রোম রেশমী পদার্থে ঘর্ষণ করিলে ঋণতাড়িত উৎপন্ন হয়। যখন কোন বস্তু কোন তাড়িতাত্মক দ্রব্য দ্বারা পৃথিবী হইতে অসংলগ্নিত হয়, তৎকালে ঐ বস্তু একান্তীকৃত হইয়াছে বলিলে বলা যায় ৷