...যে এসিড সন্ত্রান নিয়ে দৈনিক প্রথম আলো জনমত সৃষ্টি করেছিল, সেই জনমত সৃষ্টির অন্যতম রূপকার মুস্তাফিজ শফি। বাংলাদেশের এসিড নিক্ষেপের ওপর প্রথম সিরিজ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় দৈনিক আজকের কাগজে। রিপোর্টার তরুণ সাংবাদিক মুস্তাফিজ শফি। এই অসাধারণ সিরিজ তাঁকে এনে দেয় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন পুরস্কার। এই সিরিজ বিদেশের বিভিন্ন পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে আলোড়ন তোলে। এরপর থেকেই এসিড দগ্ধ অনেক মেয়ের চিকিৎসা বিদেশে নিশ্চিত হয়। এক বছর পর তিনি দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় যোগদান করেন এবং সেখানে এসিড দগ্ধদের সহায়তায় তিনি তহবিল গঠনেও ভূমিকা রাখেন। সেখানে তাঁর তত্ত্বাবধানে একজন রিপোর্টার একই বিষয়ে সিরিজ করে পুরস্কৃত হন। ...শুধু তা-ই নয়, আজকে প্রথম আলোর যে মাধকবিরোধী অভিযান, সেই উদ্যোগের পেছনেও ছিলেন সাংবাদিক মুস্তাফিজ শফি। ২০০৩ সালের এপ্রিল মাসে তাঁর সাড়া-জাগানো সিরিজ ‘মরণনেশা মাধক’ সমাজকে আরেকবার ঝাঁকুনি দেয়।... মুস্তাফিজ শফির পুরস্কৃত এবং আলোচিত প্রতিবেদনগুলো নিয়ে প্রকাশিত এই গ্রন্থ সাংবাদিক, সাংবাদিকতার শিক্ষার্থী ও গবেষকদের কাজের ক্ষেত্রে ব্যাপক সহায়ক হবে বলে আমরা আশাবাদী।
লেখালেখি শুরু নব্বইয়ের দশকে কবিতা দিয়ে। সক্রিয় রয়েছেন সাহিত্যের নানা মাধ্যমে। সাংবাদিক হিসেবে এক নামে পরিচিত। দৈনিক সমকালের নির্বাহী সম্পাদক। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা চৌদ্দ। তার সাংবাদিকতা বিষয়ক বই পড়ানো হয় বিশ^বিদ্যালয় পর্যায়ে। ১৯৭১ সালের ২০ জানুয়ারি সিলেটের বিয়ানীবাজারে জন্ম। লেখালেখির শুরুও সেখান থেকেই। পৈতৃক বাড়ি লাউতা ইউনিয়নের আষ্টসাঙ্গন গ্রামে। ওই অঞ্চলের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মরহুম সফিক উদ্দিন আহমদ তার বাবা। মা মরহুমা জয়গুন নেসা। ছয় ভাইবোনের মধ্যে পঞ্চম। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। স্ত্রী নূরজাহান আক্তার। দুই সন্তান- রূপকথা ও ঋদ্ধ । প্রকৃতির সঙ্গে থাকা, বাগান করা ও চিত্রকর্ম সংগ্রহ তার অন্যতম শখ। ভালবাসেন আড্ডা দিতে। সময় পেলে মাঝে মাঝে ছবিও আঁকেন।