"সাম্প্রদায়িক মন ও ধর্মনিরপেক্ষ মুখ" বইটির ফ্ল্যাপের কথাঃ 'সাধক কবি বলেন, এক ফুলে বাগান হয় না। রামকৃষ্ণ বলেছিলেন, যত মত তত পথ। কোরাণে আছে, পৃথিবীতে একটাই। জাতি তার নাম মানবজাতি৷ হজরত মহম্মদ বলেছেন, অন্যের ধর্মে বিদ্বেষ করো না। বিবেকানন্দ মানবতার পক্ষে। বুদ্ধ, খ্রিস্ট ও পরমতসহিষ্ণু। ভারতের ঐতিহ্য মিশ্র সংস্কৃতির ঐতিহ্য। মুসলমানেরা ‘পানি’ বলে, তা সংস্কৃত শব্দ। হিন্দুরা বলে জল। সেটি। আরবি শব্দ। “হিন্দ’ শব্দটাই ফার্সি। সঘ’। শব্দটি পালি ভাষার। এই মিশ্ৰসংস্কৃতির ঐতিহ্যকে ভাঙতে। চায় ধর্মব্যবসায়ীরা। রাজনীতি আর ক্ষমতার লোভে চলে বিদ্বেষ প্রচার, হত্যা, দাঙ্গা। সংবাদ-ব্যবসায়ীরা তাদের দোসর। কারণ, পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী অস্তের নাম প্রচার। ' প্রচারে ঢেকে যায় কালো টাকা 'ফেরানোর প্রতিশ্রুতি। জিনিসের দাম বাড়ে। প্রতি হাতে কাজ মেলে না। বাড়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিকহতাশা। তা ঢাকতে দাঙ্গা ও বিস্ফোরণের রাজনীতি।,br> কাকে বলে সন্ত্রাস? কেন বিশ্ববাজারে '১৭ টাকার পেট্রোল বেশি দামে কেনেন 'দেশবাসীরা? বিমানের তেল বেশি সস্তা? মুখখাশের আড়ালে লুকিয়ে থাকে সূক্ষ্ম আর সুপ্ত সাম্প্রদায়িকতা। তার মুখোশ উন্মোচনে প্রয়াসী সাহসী সমাজকর্মী। সূচিপত্র: ভূমিকা ৯ কৈফিয়ৎ ১৩ মিশ্র সংস্কৃতির ঐতিহ্য ও আমরা ২০ সংখ্যালঘু সংকট : এপারে ওপারে ২৯ বিবেকানন্দ : কিছু ভাবনা ৩৪ পিকে—ধর্ম ব্যবসায়ী হইতে সাবধান ৩৮ এখন সবাই ‘হিন্দু’ বা ‘মুসলমান’ হতে ব্যস্ত মানুষ থাকবে তো এ লেখা শেষ পর্যন্ত পড়ার? ৪০ বিস্ফোরণের রাজনীতি ৪৭ ভাষা সাম্প্রদায়িকতা-সময়ের সমস্যা ৫১ ফ্যাসিবাদ সম্পর্কে দু-চার কথা ৫৮ ইসলাম প্রবর্তনের সংক্ষিপ্ত রপরেখা ৬৬ হান্টার থেকে সাচার-বঞ্চনার ইতিবৃত্ত ৯৯ সাম্প্রদায়িকতা বা মৌলবাদ নয় প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষতাই পথ ১১৩ বাবর থেকে চাঁদনি—যেসব কথা বলে মিডিয়া আনন্দ পায় না ১২৮ হিন্দু মৌলবাদ আর মুসলিম মৌলবাদীরা একে অন্যের বন্ধু ১৩৫ বইমেলা : মুসলমান কি হে বই বাঁধিয়ে? ১৩৯ অভিন্ন দেওয়ানি-বিধি ও আমরা ১৪২ অয়েলিং ইজ ফুয়েলিং অফ লাইফ ১৪৮ ভোটব্যাংকের রাজনীতি না রাজনীতির ভোট ব্যাঙ্ক ? ১৫০ প্যাসিভ কমিউনালিজম বা নিষ্ক্রিয় সাম্প্রদায়িকতা ১৫৩ দাঙ্গা কেন হয়? ১৫৫ মুসলিম বৃদ্ধির কারণ? বিবেকানন্দের মত ১৫৭ গুজরাত : মিথ ও মিথ্যা—যা মিডিয়া ছাপছে না ১৫৮ বিজেপি–বিদেশি জাগানিয়া পার্টি ১৬০ মোদি সরকারের প্রতিশ্রুতি ১৬৫ ধর্ম রাষ্ট্রই কি সমাধান ? ১৬৫ রামহন রায়ও মাদ্রাসায় শিক্ষিত ১৬৫ ভদ্র’লোকদের পঞ্চায়েত ১৬৬ সংখ্যালঘু ভোট ১৭১ অশিক্ষিত? নিরক্ষর? ১৭৬ মাননীয় কর্মীদের উদ্দেশে ১৭৯ তৃতীয় ফ্রন্ট না বিজেপি ফ্রেন্ডফ্রন্ট ? ১৮১ পয়লা বৈশাখ হোক বাঙালির জাতীয় উৎসব ১৮৯ কাকে সেলাম, কেন? ১৯৩ পরিশিষ্ট ১৯৯ লোকহিত.... রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২০০ মুসলিম সংস্কৃতির আদর্শ ..... এস. ওয়াজেদ আলী ২১০ হিন্দুরাষ্ট্র নয়, গণরাষ্ট্র চাই (ইস্তেহার) ২২৭ বিজেপি’র নির্বাচনী ইস্তেহার ২০১৪ ২৩০ মোহন ভাগবত গো ব্যাক (ইস্তেহার) ২৩৬ সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিস্ট (ইস্তেহার) ২৩৮ বিচার অসম্পূর্ণ রেখে শুধু সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ছড়ালেই যেন সমাধান আসবে? .... অমল সরকার ২৪১
জন্ম উনিশ শতকের ষাটের দশকের উত্তাল সময়ে। ১৯৬৬তে। মেধাবী কৃতী ছাত্র। স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় পেয়েছেন ৬টি স্বর্ণপদক। প্রথম শ্রেণিতে প্রথম। অন্যপথে হাঁটা ঋজুচিন্তার সাহসী সমাজকর্মী। কবিতা দিয়ে লেখা শুরু। প্রথম পেশা সাংবাদিকতা। মানসিকভাবে বামপন্থী মানবতাবাদী। রাজনীতি ও সমাজবিশ্লেষণী কলাম লিখেছেন আনন্দবাজার, এই সময়, প্রতিদিন, বর্তমানসহ বহু পত্র-পত্রিকায়। প্রেসিডেন্সি কলেজ, কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজ, চন্দননগর সরকারি কলেজ আর বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষার প্রাক্তন অধ্যাপক। কার্গিল যুদ্ধ, পরমাণু বিস্ফোরণ, গুজরাত গণহত্যা, পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হিংসার বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। গুজরাত গণহত্যার পর ত্রাণকাজে অংশ নিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে টানা ১৫ দিন নাটক-গান-নাচ-তথ্যচিত্র নিয়ে ১৪০০০ কিলোমিটার ঘুরে করেছেন সম্প্রীতি যাত্রা। বন্যাত্রাণ আর আয়লাত্রাণে ত্রাণশিবির পরিচালনা করেছেন। আয়লা বিধ্বস্ত সুন্দরবনে তৈরি করেছেন রান্নাঘর আর স্থায়ী গ্রন্থাগার। বাংলা ভাষায় সরকারি কাজ, শিক্ষা ও নামফলকের দাবিতে আন্দোলন করেছেন। নেমেছেন পথে। গরিব মানুষের জমি কেড়ে নেওয়া, বস্তি আর হকার উচ্ছেদের বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত করেছেন। নির্মাণ করেছেন তথ্যচিত্র। পাবলিক সার্ভিস কমিশন আর স্কুল সার্ভিস কমিশন-কে বাধ্য করেছেন বাংলায় প্রশ্নপত্র তৈরি করতে। লেখক শিল্পী সমাজ ও কর্মীদের সংগঠন ভাষা ও চেতনা সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। প্রায় গত দু দশক ধরে পশ্চিমবঙ্গে একুশের শহিদ স্মরণে সারারাত বাংলা ভাষা উৎসব আর পয়লা বৈশাখে সারাদিন নববর্ষ উৎসবের প্রধান সংগঠক। কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলা আয়োজনের সহযোগী। আরএসএস বিজেপি-র গোমাংস নিষিদ্ধ প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ভারতে প্রথম প্রকাশ্য গোমাংস ভক্ষণ আন্দোলনের প্রধান সংগঠক। সততা, নিরপেক্ষতা আর দলীয় রাজনীতি না করার কারণে সব পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য মানুষ ইমানুল। সবচেয়ে বড় কাজ তার মতে কলকাতায় বাংলায় নামফলক আর কোক-পেপসি ঠেকাতে আমপোড়া শরবতের পুনরুজ্জীবন।