ভূমিকা আমার এই গ্রন্থটি বাংলার লোকসঙ্গীত চর্চা-ধারার ইতিহাসবৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ (Historiographic Analysis)। বাংলা লোকসঙ্গীত চর্চার ইতিহাসের পাশাপাশি, ইতিহাসের বিশ্লেষণাত্মক বিচারও বটে। লোকসঙ্গীত চর্চার নানাবিধ Method বা পদ্ধতির গতিপ্রকৃতিকে বিশ্লেষণ করার উদ্দেশ্যেই এই গ্রন্থটি লিখিত হয়েছে। লোকগীতির বিদ্যায়তনিক চর্চায় লোকসঙ্গীতবিজ্ঞান (Folkmusicology) এবং ইতিহাসবিজ্ঞান ( Historiography) বিদ্যাশাখাদ্বয়ের সংবন্ধনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা, এই গ্রন্থের অন্যতম একটি লক্ষ্য। লোকসঙ্গীত চর্চার ইতিহাস পুনর্বিচার করা যেমন এই গ্রন্থের একটি দিক, তেমনি লোকসঙ্গীতের ইতিহাসের বিবর্তনকে বিশ্লেষণ করা এবং বিবর্তনের কার্য-কারণ সম্পর্ক অন্বেষণ করা এই গ্রন্থের অন্য একটি দিক। ইতিহাস বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে বাংলার লোকসংগীত
ভূমিকা আমার এই গ্রন্থটি বাংলার লোকসঙ্গীত চর্চা-ধারার ইতিহাসবৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ (Historiographic Analysis)। বাংলা লোকসঙ্গীত চর্চার ইতিহাসের পাশাপাশি, ইতিহাসের বিশ্লেষণাত্মক বিচারও বটে। লোকসঙ্গীত চর্চার নানাবিধ Method বা পদ্ধতির গতিপ্রকৃতিকে বিশ্লেষণ করার উদ্দেশ্যেই এই গ্রন্থটি লিখিত হয়েছে। লোকগীতির বিদ্যায়তনিক চর্চায় লোকসঙ্গীতবিজ্ঞান (Folkmusicology) এবং ইতিহাসবিজ্ঞান ( Historiography) বিদ্যাশাখাদ্বয়ের সংবন্ধনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা, এই গ্রন্থের অন্যতম একটি লক্ষ্য। লোকসঙ্গীত চর্চার ইতিহাস পুনর্বিচার করা যেমন এই গ্রন্থের একটি দিক, তেমনি লোকসঙ্গীতের ইতিহাসের বিবর্তনকে বিশ্লেষণ করা এবং বিবর্তনের কার্য-কারণ সম্পর্ক অন্বেষণ করা এই গ্রন্থের অন্য একটি দিক।
তাঁর কলমে এক সমুদ্র উদ্বেল উপলব্ধি। তার প্রতিটি বর্ণলিখনে, হিমালয়ের নি’নড় প্রত্যয়। তাঁর জিজ্ঞাসার বহুধা-দৃষ্টি, পরিব্যপ্ত হয়েছে দিগন্তে। লোকসংস্কৃতির নানা দিক নিয়ে, বিগত ১৯ বছর ধরে, নিরলস কাজ করে চলেছেন। কলকাতার দি এশিয়াটিক সোসাইটির লোকসংস্কৃতির গবেষক হিসাবে জীবন শুরু। তুলনামূলক লোকসংস্কৃতি বিষয়ে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি.এইচ.ডি. উপাধি লাভ। স্বদেশে-বিদেশের একাধিক আলোচনাচক্রে, লোকসংস্কৃতির নানামাত্রিক আলোচনা করেছেন। কেবল ভারতবর্ষ নয়, এই উপমহাদেশে, লোকসংস্কৃতিবিজ্ঞানের একজন প্রত্যয়ী গবেষক তিনি। বহুমুখী যোগ্যতার সংহতি ও বিন্যাস, তার ব্যক্তিত্বের প্রধান গুণ। তাঁর গবেষণার বিষয়-বৈচিত্র্য বিস্ময় উদ্রেক করার মত। বাংলা ভাষায় লোকসংস্কৃতিবিজ্ঞান বিষয়ক তাত্ত্বিক আলোচনার অন্যতম রূপকার ড. শেখ মকবুল ইসলাম, বর্তমানে কলকাতার সেন্ট পলস্ ক্যাথিড্রাল মিশন কলেজে বাংলা সাহিত্যের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর। এছাড়া কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির এবং রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক অতিথি অধ্যাপক।