'বিশ্বনন্দিত বাংলাদেশি বিজ্ঞানী' বইয়ের ভূমিকা: বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় গর্বিত অংশীদার বাংলাদেশিরাও! আমরা ক’জনকে চিনি? কতটুকু-ই বা জানি? অথচ অনেক বিষ্ময়কর আবিষ্কার ও উদ্ভাবনে জড়িয়ে আছে অনেক বাংলাদেশির নাম। স্বনামে বিশ্বমাত করা সেইসব ‘বিশ্বনন্দিত বাংলাদেশি বিজ্ঞানী’র কথা সহজ, সচিত্র লেখনির মাধ্যমে উঠে এসেছে একমলাটে ভিতর। মোট চৌদ্দজন দেশী বিজ্ঞানীর শৈশব থেকে শুরু করে শিক্ষা, গবেষণা, উদ্ভাবন, অজর্নসহ বর্ণিল জীবনের নানা দিক নিয়ে লেখক নাজমুল হুদা রচিত এ বইটি শিশু কিশোরদের হাতে তুলে দিতে পারলে তারা বিজ্ঞানমনস্ক প্রযুক্তি-প্রিয় প্রজন্ম হিসেবে গড়ে উঠবে। জগৎজয়ী বাংলাদেশি স্যার জগদীশচন্দ্র বসু, প্রযুক্তির পথিকৃৎ আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, ড. কুদরত-এ খুদা, গনিতের গুনীজন-ড. মেঘনাদ সাহা, ড. সত্যেন্দ্রনাথ বসু, বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্ব ড. জামাল নজরুল ইসলাম, ড. আবুল হুসসাম, জীববিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলম, ড. আবেদ চৌধুরী, ড. শুভ রায়, পরমানু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া, জ্যোতি:পদার্থবিজ্ঞানী ড.দীপংকর তালুকদার, ড. জাহিদ হাসান, রুবাব খান-এর মত বিশ্বনন্দিত ব্যক্তিত্বের বর্ণনা রয়েছে বইটিতে। শতাব্দী জাহিদের প্রচ্ছদ পরিকল্পনায় ‘বিশ্বনন্দিত বাংলাদেশি বিজ্ঞানী’ বইটি প্রকাশ করেছে আলোঘর প্রকাশনা। মুখবন্ধ লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ফিজিক্রস এ্যান্ড মেডিকেল টেকনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন, বিজ্ঞান লেখক অধ্যাপক ড. খোন্দকার সিদ্দিকী-রব্বানী।
অনুপ্রেরণামূলক বক্তা, লেখক ও জাতীয় বিতর্ক সংগঠক। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত। ছাত্রাবস্থা থেকেই তাঁর লেখালেখি, সংগঠন, সম্পাদনায় সখ্যতা। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের বেশকিছু বিতর্ক ও মুক্ত আলোচনায় অংশ নেওয়া ছাড়াও সম্পৃক্ত ছিলেন বাংলাদেশ বেতার এর অনুষ্ঠান বিভাগে। লেখালেখির শুরুটা অবশ্য কবিতা দিয়ে, বাল্যবেলা থেকেই। জন্মজেলা কুষ্টিয়ার কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও সাহিত্যানুকূল পরিবেশ ছিল তাঁর জন্য বাড়তি উৎসাহের উৎস। দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিকসহ তথ্য মন্ত্রনালয়ের মাসিক সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর অনুপ্রেরণামূলক নিবন্ধ। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭-এ প্রকাশিত তাঁর প্রথম বই ‘ক্যারিয়ার ক্যারিশমা: সাফল্যের সাতপাঠ’ তুমুল পাঠকপ্রিয়তা পায়। এছাড়া, শিশু-কিশোর ও তরুণদের জন্য ‘বিতর্কে হাতেখড়ি’ এবং ‘বিশ্বনন্দিত বাংলাদেশি বিজ্ঞানী’ তার উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা।