ফ্ল্যাপে লিখা কথা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র, বাঙ্গালি জাতি এবং এ ভূখন্ডে বসবাসকারী আদি জাতিগোষ্ঠী সমূহের কাছে তিনি রাষ্ট্রের স্থপতি ও জাতির পিতা হিসেবে গৃহীত হয়েছেন। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ে তাঁর বলিষ্ঠ ও সাহসী নেতৃত্ব ইতিহাসে তাঁকে অমর করে রাখবে। তিনি বাংলাদেশ ও এর জাতিসমূহকে যে সম্মানজনক মর্যাদায় আসীন করে গেছেন তার কোনে তুলনা হয়েনা। কিন্তু তারপরও তিনি কারো কারো ঈর্ষার কারণ হয়ে আছেন। যদিও কোনো রাজনৈতিক নেতাই ভুলত্রুটির উর্ধ্বে নন, বঙ্গবন্ধুও নন। কিন্তু তাঁর সমালোচকদের বেশির ভাগই ঈর্ষাপরায়ণ ও নিন্দুক। আবার স্তাবক হিসেবেও কেউ কেউ আছেন। এর কোনোটিই বঙ্গবন্ধুকে বুঝতে সহায়ক হবার নয়। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণা ও লেখালেখি চলছে, চলবে নিরন্তরভাবে। সাম্প্রতিক সময়ে পত্রপত্রিকায় লেখা বঙ্গবন্ধুর ওপর বিভিন্ন প্রবন্ধ ও নিবন্ধ নিয়ে বর্তমান সংকলটি উপস্থাপিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও রাজনীতির বেশ কিছু দিক এতে ফুটে উঠেছে। বঙ্গবন্ধুর একটি দুর্লভ ভাষণ এবং শেষ হাসিনার একটি স্মৃতি বিজড়িত লেখাও স্থান পেয়েছে। এসব লেখা বঙ্গবন্ধুকে নানাভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।
ড. মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী ২৫-এ জানুয়ারি ১৯৫৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার মনতলা গ্রামে। ছাত্রজীবনে বরাবরই কৃতী ছাত্র ছিলেন। মস্কো গণমৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিষয়ে মাস্টার্স এবং ইউএসএসআর অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স-এর ওরিয়েন্টাল ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৮৫ সালে ইতিহাস তত্ত্বে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে শিক্ষকতা করেন। ওই বছরই বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক পদে যােগদান করেন। ১৯৮৫ সাল থেকে তিনি বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখে আসছেন। ১৯৯৬ এবং ২০১০ সালে পাঠ্যপুস্তকে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংযােজনী কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন । অধ্যাপক মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী রচিত গ্রন্থের সংখ্যা ১৮টি। উল্লেখযােগ্য গ্রন্থগুলাে হচ্ছে ইতিহাস চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাংলাদেশ, বাংলাদেশে ইতিহাস পঠনপাঠন, মধ্যযুগ ও আধুনিক বিশ্বের ইতিহাস, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষানীতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান : বহুমাত্রিক মূল্যায়ন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান : জীবন ও রাজনীতি (১ম খণ্ডের দ্বিতীয় অধ্যায়), বাংলাদেশে শিক্ষাব্যবস্থা, পঠনপাঠন সমস্যা : পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস ইত্যাদি।