বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ থেকে নেওয়া ম্যাক্সিম দ্যু উইন্টার একজন অভিজাত বিপত্নীক। স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন এক তরুণীকে। অনাথ এই তরুণীর নাম রেবেকার সাথে পরিচয়ের পরই ম্যাক্সিমের প্রেম হয় এবং তারা দ্রুত বিয়ে করেন। বিয়ের পর ম্যাক্সিম তার স্ত্রীকে গ্রামের প্রাসাদবাড়িতে ইংল্যান্ডের ম্যান্ডারলিতে নিয়ে আসেন। সেখানে সব গৃহকর্তী এই তরুণীকে সাদরে আমণত্রণ জানায় তবে ম্যাক্সিমের আগের স্ত্রী রেবেকা'র গৃহকর্তী মিসেস ডেনভারস্ তাকে অপছন্দ করেন। ডেনভারস্ এখনো মৃত রেবেকার স্মৃতি মনে ধরে রেখেছেন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ম্যাক্সিমের নতুন স্ত্রীর সাথে রেবেকা'র তুলনা করতে শুরু করেন। মিসেস দ্যু উইন্টার ক্রমশ উপলব্ধি করেন তিনি এ-বাড়ির গৃহকর্তী হলেও এই বাড়িকে ঘিরে রয়েছে রেবেকার আত্মা! শুরু হয় মৃত এক সত্তার বিরুদ্ধে জীবিত প্রাণের টিকে থাকার প্রচেষ্টা... বিশ্বের সারাজাগানো উপন্যাস রেবেকা ইংরেজি ভাষায় ১৯৪০ সালে আমেরিকান মনস্তাত্ত্বিক নাট্য-থ্রিলার চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়। অ্যালফ্রেড হিচকক পরিচালিত প্রথম আমেরিকান প্রকল্প এবং ডেভিড ও. সেজ়নিকের সাথে চুক্তির অধীনে তৈরি প্রথম চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য দ্য ফোন দ্যু মরিয়ে'র ১৯৩৮ সালের উপন্যাস অবলম্বনে ফিলিপ ম্যাকডোনাল্ড এবং মাইকেল হোগানের অভিযোজনের উপর ভিত্তি করে জোয়ান হ্যারিসন ও রবার্ট ই. শেরউডের একটি সংস্করণ ছিলো। সাদা-কালো এই চলচ্চিত্রে একটি গোথিক কাহিনির বর্ণনা দেয়া হয়েছে। যদিও চলচ্চিত্রে ম্যাক্সিম ডি উইন্টারের প্রথম স্ত্রী, রেবেকাকে কখনোই দেখানো হয় নি, যিনি গল্প শুরু করার আগেই মারা যান। রেবেকার সত্য কাহিনিটি জানতে আপনাকে অবশ্যই পড়তে হবে গ্রন্থটির শেষ পর্যন্ত।