"তাফসীর ফী যিলালিল কোরআন" বইটির সূচিপত্র: সূরা আল মােমেন (অনুবাদ আয়াত ১-২০) সংক্ষিপ্ত আলােচনা তাফসীর (আয়াত ১-২০) আল্লাহর জন্যে সংরক্ষিত নাম ও তার ক্ষমতা হক বাতিলের চিরন্তন লড়াই ও কাফেরদের পরিণতি মােমনদের জন্যে ফেরেশতাদের দোয়া দ্বীনের দাওয়াত অস্বীকার করার পরিণতি আল্লাহ তায়ালার অসীম ক্ষমতা রসূলদের দায়িত্ব ও কর্তব্য অনুবাদ (আয়াত ২১-৫৫) তাফসীর (আয়াত ২১-৫৫) মুসা ও ফেরাউনের সংঘাত স্বৈরাচারী শাসকের সামনে মােমেনের বলিষ্ঠ ভাষণ পথভ্রষ্ট নেতা ও তার অনুসারীদের পরিণতি জয় পরাজয়ের সত্যিকার মাপকাঠি অনুবাদ (আয়াত ৫৬-৭৭) তাফসীর (আয়াত ৫৬-৭৭) আল্লাহর আয়াত নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত অহংকারীদের পরিণতি বিশাল সৃষ্টিজগতে মানুষের অবস্থান কোনাে সুস্থ মানুষ আল্লাহর গােলামী করতে পারে না। সৃষ্টি যার সার্বভৌমত্বও তাঁর জীবন মৃত্যুর পর্যায়ক্রমিক ধারা ভয়ংকর আযাবের কিছু দৃশ্য দাওয়াতের কাজে সবরের অপরিহার্যতা অনুবাদ (আয়াত ৭৮-৮৫) তাফসীর (আয়াত ৭৮-৮৫) দ্বীনের দায়ীদের দায়িত্ব ও সীমাবদ্ধতা মানবজাতির প্রতি আল্লাহর অসীম করুনা ৭৭ আল্লাহর নেয়ামতের প্রতি অকৃতজ্ঞতার পরিণতি সূরা আস সাজদাহ (অনুবাদ আয়াত ১-৩৬) সংক্ষিপ্ত আলােচনা তাফসীর (আয়াত ১-৩৬) কোরআনের আহবান উপেক্ষা করার অজুহাত সত্যের পথে আহবানকারীদের অবিচল অবস্থান আল্লাহর অবাধ্যতাই হচ্ছে প্রকৃতির সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া আপােষের প্রস্তাবে আল্লাহর রসূলের জবাব অহংকারের কারণে ধ্বংসপ্রাপ্ত আদ ও সামুদ জাতি আল্লাহর দরবারে মানুষের অংগ প্ৰত্যংগের সাক্ষ্য। পাপীদের সামনে অপরাধকে শােভনীয় করে তােলা বিপথগামী নেতা ও তাদের অনুসারীদের পরিণতি। মােমেনের মাপকাঠি আল্লাহর পথে আহবানকারীদের জন্যে কোরআনের নির্দেশনা। অনুবাদ (আয়াত ৩৭-৫৪) তাফসীর (আয়াত ৩৭-৫৪) সৃষ্টিজগতের দিকে মানবজাতির দৃষ্টি আকর্ষণ কোরআনের শৈল্পিক বর্ণনাভংগী। আল্লাহর আয়াত অস্বীকার করার পরিণতি শাশ্বত ঐতিহ্যবাহী ঈমানী কাফেলা দ্বীনের দাওয়াত অস্বীকারকারীদের টালবাহানা মানুষের সুখ সাচ্ছন্দ ও পরকাল বিশ্বাস প্রকৃতি ও মানুষের মাঝে বিরাজিত আল্লাহর নিদর্শন , সূরা আশ শূরা (অনুবাদ আয়াত ১-২৪) সংক্ষিপ্ত আলােচনা তাফসীর (আয়াত ১-২৪) বিশ্বপ্রকৃতিতে তাওহীদের নিদর্শন। মতভেদ নিরসনের সঠিক উপায় দলে দলে বিভক্ত হওয়ার পরিণতি কেয়ামত ও জীবিকা সম্পর্কিত দর্শন
সাইয়েদ কুতুব (১৯০৬ - ১৯৬৬) হলেন একজন মিশরীয় ইসলামি চিন্তাবিদ এবং রাজনৈতিক সংগঠক। তিনি মিশরের ইসলামী আন্দোলনের প্রধান সংগঠন ইখওয়ানুল মুসলিমিন (মুসলিম ব্রাদারহুড) দলের মুখপত্র ইখওয়ানুল মুসলিমিন'এর সম্পাদক ছিলেন। তাকে তৎকালীন সরকার ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত করে। তিনি মিশরের উসইউত জিলার মুশা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মূল নাম হল সাইয়েদ; কুতুব তার বংশীয় উপাধি। তার পিতার নাম হাজী ইবরাহীম কুতুব; তিনি চাষাবাদ করতেন। তার মাতার নাম ফাতিমা হোসাইন উসমান। তারা মোট দুই ভাই এবং তিন বোন ছিলেন। তার অপর ভাই হলেন: মুহাম্মাদ কুতুব এবং বোনেরা হলেন: নাফীসা কুতুব, হামিদা কুতুব এবং আমিনা কুতুব। সাইয়েদ কুতুব ছিলেন সবার বড়। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাইয়েদ কুতুবের শিক্ষা শুরু হয়। শৈশবেই কুরআন হেফজ করেন। পরে তাজহিযিয়াতু দারুল উলুম মাদ্রাসায় শিক্ষা সমাপ্ত করে কায়রোর বিখ্যাত মাদ্রাসা দারুল উলুমে ভর্তি হন। ১৯৩৩ সালে ঐ মাদ্রাসা থেকে বি.এ. ডিগ্রি লাভ করেন এবং সেখানেই অধ্যাপক নিযুক্ত হন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রোণালয়ের অধীনে স্কুল ইন্সপেক্টর নিযুক্ত হন। এবং এ-সময় আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতি পড়ার জন্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। তিনি দু’বছরের কোর্স শেষ করে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসেন। ১৯৫৪ সালে তাকে বন্দি করে মিসরের বিভিন্ন জেলে রাখা হয়। তিনি ছিলেন মিসরের প্রখ্যাত আলেম ও সাহিত্যকদের অন্যতম। ছোটদের জন্যে আকর্ষণীয় ভাষায় নবীদের কাহিনী লিখে তার সাহিত্যক জীবনের সূচনা। পরবর্তীকালে ‘আশওয়াক’ (কাটা) নামে ইসলামি ভাবধারার একটি উপন্যাসও রচনা করেন।