লেখক পরিচিতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে অনার্সসহ এমএ। বর্তমানে সাপ্তাহিক বিচিত্রার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক।
ফ্ল্যাপে লিখা কথা মুক্তিযোদ্ধা মানিক একটি কিশোর উপন্যাস। একাত্তরে বাঙালি মাত্রই আমাদের সবার জীবনে এসেছিল এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা। স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতার স্বপ্ন সফলে ঘরে ঘরে বাঙালি হয়ে উঠেছিল একাত্ম। জীবনপণ লড়াইয়ে হয়ে উঠেছিল দুর্ধর্ষ গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা। দেশপ্রেমের প্রদীপ জ্বলেছিল বাঙালির হৃদয়ে হৃদয়ে। স্বাধীনতার জন্য এমন আত্মত্যাগ ইতিহাসে খুব কমই পাওয়া যায়।
একাত্তরে জেনারেল ইয়াহিয়ার খুনী চেহারার বীভৎসতা ভুলবার নয়, দখলদার পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত হত্যাকান্ড ইতিহাসে রক্তাক্ত অধ্যায় হয়ে থাকবে। তাদের পাশবিকতা সভ্যতাকে কলঙ্কিত করেছে। সেইসঙ্গে তাদের সহায়তাকারী ও সমর্থনকারী রাজাকার-আলবদর বাহিনী এবং ধর্মের নামে যারা রাজনীতি করে থাকে সেইসব মীরজাফররাও বাঙালির মহাশত্রু। এইসব যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম। এদের বিচার ও শাস্তি হলে শহীদের আত্মা শান্তি পাবে।
মুক্তিযোদ্ধা মানিক একদল স্কুলবালকের মুক্তিযোদ্ধা হয়ে ওঠার কাহিনী। বেবী মওদুদ অত্যন্ত দক্ষতা ও সততার সঙ্গে সেই সময়কে দেখেছেন বলেই তা এখানে সহজ ও সরল ভাষায় তুলে ধরেছেন। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের গর্ব ও বীরশ্রেষ্ঠ। আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে তাঁদের ভূমিকার কথা যুগে যুগে গৌরবগাঁথা হয়ে থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা মানিক আজকের কিশোর ও তরুণদের কাছে দেশপ্রেমের উজ্জ্বল প্রদীপশিখা হয়ে থাকবে।
লেখক, সাংবাদিক ও সংদস সদস্য বেবী মওদুদ-এর জন্ম ১৯৪৮ সালের ২৩শে জুন। তার পিতা বিচারপতি আবদুল মওদুদ এবং মাতা হেদায়েতুন নেসা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭০ সালে বাংলা সাহিত্যে সম্মানসহ স্নাতক ও ১৯৭১ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ছােটবেলা থেকেই তিনি লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত হন এবং বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার ছােটদের পাতায়। লিখতে থাকেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা, বাংলাদেশের নারী, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার, ফজিলাতুননেছা রেণু (জীবনীগ্রন্থ), রােকেয়া পাঠ, আমার রােকেয়া, চিরন্তন প্রতিকৃতি-রােকেয়া, প্রতিবন্ধীদের আনন্দময় জীবন, প্রতিবন্ধিতা অভিশাপ নয়-প্রভৃতি উল্লেখযােগ্য। তাঁর শিশুতােষ রচনাগুলাের মধ্যে শেখ মুজিবের ছেলেবেলা, সুষি পুষি টুশি, দীপ্তর জন্যে। ভালােবাসা, টুনুর হারিয়ে যাওয়া, শান্তর আনন্দ, এক যে ছেলে আনু, মুক্তিযােদ্ধা মাণিক, কিশাের সাহিত্য সমগ্র, আবু আর বাবু, পুটুর জন্যে ছড়া ও কবিতা, টুনটুনি টুনটুন, রাসেলের গল্প, বাঙালির শুদ্ধনাম শেখ মুজিবুর রহমান, আমি রাজু উল্লেখযােগ্য। তাঁর সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা পঁচিশ। মৃত্যু ২৫শে জুলাই ২০১৪।