"হারকিউলিস" বইয়ের সংক্ষিপ্ত লেখা: হারকিউলিস ছিলেন গ্রিক পুরাণ অনুযায়ী গ্রিসের সর্বশ্রেষ্ঠ বীর। তিনি যেমন সাহসী, শারীরিক শক্তিসম্পন্ন ছিলেন, তেমনি ছিলেন দয়ালু। প্রকৃতপক্ষে হারকিউলিস হলো গ্রিক বীর ‘হেরাক্লেস’-এর রোমান পুরাণের নাম। গ্রিকরা তাঁকে দেবতা এবং মর্তের বীর এই দুই পরিচয়েই পূজা করত। তাঁর জন্ম থিবেসে। তিনি দেবরাজ জিউসের পুত্র। তাঁর মা অ্যাল্কমিনি একজন মানুষ। জিউসের সন্তান হবার জন্য হারকিউলিসের জীবনের শেষ পর্যন্ত হেরা তাঁকে কখনই ক্ষমা করেননি। হারকিউলিস যখন শিশু তখনই হেরা তাঁকে হত্যা করার জন্য দুটি সাপ পাঠান। ঘুমন্ত শিশু হারকিউলিস ঘুম থেকে জেগে উঠল এবং শিশু হওয়া সত্ত্বেও ঐ ভয়ংকর প্রাণী দুটির গলা চেপে মেরে ফেলল। হারকিউলিস সম্পর্কে তখন থিবেসের অন্ধ ভবিষ্যদ্বক্তা টাইরেসিয়াস অ্যাল্কমিনিকে বলেছিলেন যে, সে হবে মানবজাতির গর্ব। হারকিউলিস আঠার বছর বয়সের মধ্যেই একাই মেরে ফেলে এক বিশাল থেসপীয় সিংহ। অর্কোমেনাস রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতার নিদর্শনস্বরূপ রাজা ক্রেয়ন তাঁর মেয়ে রাজকুমারী মেগারাকে তাঁর সাথে বিয়ে দেন। এমন সময় মাইসিনির রাজা ইউরিসথিয়াজের আদেশক্রমে তিনি বারোরকম অসম্ভব কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন নিজেকে বিশুদ্ধ করার জন্য। এই কাজগুলোকে সমষ্টিগতভাবে হারকিউলিসের শ্রম বলে। এগুলো ছিল-নিমিয়ার এক সিংহকে বধ করা, লারনিয়ান হাইড্রাকে হত্যা করা, রাজা অজিয়াসের আস্তাবল পরিষ্কার করা, স্টিমফালিয়া লেকের পাখিদের তাড়ানো ও অন্যান্য ভয়ংকর সব কাজ। এই সবগুলো কাজই তিনি সফলভাবে সম্পন্ন করেন। সেই শ্বাসরুদ্ধকর বারোটি দুঃসাহসিক অভিযানের কথা জানতে হলে পড়ুন ‘হারকিউলিস’।
পশ্চিমবঙ্গের হুগলিতে জন্ম। চার বছর বয়সে বাংলাদেশে আসেন। পেশা : লেখালেখি অসংখ্য গোয়েন্দা উপন্যাস লিখেছেন ও অনুবাদ করেছেন। কর্মজীবনের প্রায় পুরোটাই সেবা প্রকাশনীতে লেখালেখির কাজে ব্যয় করেছেন। দীর্ঘ বহুবছর।