"সেরা সাত ভৌতিক উপন্যাস" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: নেকড়েবনের ভূত : উলফ লেকে চাচা-চাচির বাড়ি বেড়াতে গিয়ে বিচিত্র রহস্যের মুখোমুখি হলো রবিন। উলফদের বাড়িতে যাওয়া নিষেধ কেন? চাদনি রাতে বনের ভিতর কিসের গর্জন শোনা যায়? বুননা প্রাণীগুলোকে নিষ্ঠুরভাবে খুন করে রেখে যায়। কে? মানুষের দিকেও হাত বাড়াবে না তো ওই জঘন্য খুনি? ভূতের শহর : গোস্ট সিটি নামে একটা ভূতুড়ে শহরে বেড়াতে রাতের বেলা পুরানো কবরে ঢুকে ভয়ানক বিপদে পড়ল রবিন। বেরিয়ে আসতে পারল কোনোমতে, তবে তার পর থেকেই শুরু হলো আতঙ্কজনক এক নারকীয় জীবন। মনেই হলো না, কোনোদিন আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে। তবে তিন গোয়েন্দার কোনো সদস্যই পরাজিত হতে জানে না, রবিনও হয় না, কিন্তু এবারের ঘটনাটা সত্যিই অন্যরকম। ডেথসিটির ড্রাগন : গুপ্তধনের এক বিচিত্র নকশা নিয়ে ডেথসিটি শহর থেকে দূরে দুর্গম পার্বত্য এলাকায় যাত্রা করল তিন গোয়েন্দা কিশোর মুসা রবিন। জটিল ধাঁধার সমাধান করতে গিয়ে যখন রত্নগুহায় ঢুকল ওরা, রূপকথার বইয়ের পাতা থেকে যেন বেরিয়ে এল। এক ভয়ঙ্কর ড্রাগন। গুপ্তধন উদ্ধার তো দূরের কথা, প্রাণ বাঁচানোই অসম্ভব হয়ে দাঁড়াল। রহস্যছাউনি : ক্যাম্প মুনলাইট-এ ঢুকেই ধাক্কা খেল রবিন। পুরো নির্জন। একে একে সবাই এসে হাজির হলো। রহস্যময় ওদের আচরণ। বিচিত্র ওদের চালচলন। ক্যাম্পের পরিচালক আঙ্কেল গ্রেগ তো আরও রহস্যময়। কারা ওরা? ধীরে ধীরে জটিল এক রহস্যে জড়িয়ে পড়ল রবিন। রহস্যছাউনি ২ : তীরচিহ্ন দিয়ে নানা দিকে নির্দেশ করা হয়েছে : ভূতুড়ে বন-সোজা। সামনে। দানোর দীঘি-ডান দিকে। চোরাবালির কূপ-বাঁয়ে। আরও সব অদ্ভুত নাম, হারানো আত্মার খনি...মৃত্যুগুহা...গোস্ট কেবিন...দেখতে দেখতে রবিন বলল, ‘ভয়ঙ্কর সব নাম! এ কোন জায়গায় এসে পড়লামরে বাবা!' হঠাৎ তীক্ষ এক চিৎকারে চরকির মতো পাক খেয়ে ঘুরে দাঁড়াল তিন গোয়েন্দা কিশোর মুসা রবিন। আতঙ্কিত একটা কণ্ঠ শোনা গেল, বাঁচাও! বাঁচাও! আমাকে বাঁচাও!' আতঙ্কের দুর্গ : ঘরের দেয়াল সবুজ কাগজে মোড়ানো। সেগুলোতে নখের দাগ। মোটা মোটা দাগগুলো কাগজের পেছনের কাঠের দেয়াল কেটে বসে গেছে। ভয়ানক রাগে উন্মত্ত হয়ে কোনো জানোয়ার যেন আঁচড়ে ফালাফালা করে দিতে চেয়েছে দেয়ালটাকে। জানোয়ার! নাকি, দানব? ঘাড়ের কাছে ভারী নিঃশ্বাসের শব্দ শোনা গেল। পেছনে এসে। দাঁড়িয়েছে কেউ। ঝটকা দিয়ে ফিরে তাকাল অঞ্জন... ভয়াল শত্রু : ঘটনাটার শুরু স্বপ্ন দেখা থেকে। প্রথমে বিশেষ গুরুত্ব দিল না সিসি। ভাবল, যে ভয়ানক বিপদের মধ্যে রয়েছে ওরা, তারই কুফল এই দুঃস্বপ্ন। তারপর জিউস জানাল, সে-ও একই রকম স্বপ্ন দেখছে। সাগরের স্বপ্ন। কে যেন তাকে ডাকছে। সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছে সাগরের নিচ থেকে। এর মানে দুটো হতে পারে। এক, কেউ বিপদে পড়েছে। দুই, এটা ভারেকদের ফাঁদ। সিসি, জিউস, নিমো, তিয়াপা ও জামবু মিলে সাগরতলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। যেতে হবে ডলফিনের রূপ। নিয়ে। যদি ফাঁদ হয়, এই অভিযানই হবে ওদের শেষ অভিযান।
ভূতের শহর : গোস্ট সিটি নামে একটা ভূতুড়ে শহরে বেড়াতে রাতের বেলা পুরানো কবরে ঢুকে ভয়ানক বিপদে পড়ল রবিন। বেরিয়ে আসতে পারল কোনমতে, তবে তারপর থেকেই শুরু হলো আতঙ্কজনক এক নারকীয় জীবন। মনেই হলো না, কোনদিন আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে। তবে তিন গোয়েন্দার কোনো সদস্যই পরাজিত হতে জানে না, রবিনও হয় না, কিন্তু এবারের ঘটনাটা সত্যিই অন্যরকম।
ডেথসিটির ড্রাগন: গুপ্তধনের এক বিচিত্র নকশা নিয়ে ডেথসিটি শহর থেকে দূরে দুর্গম পার্বত্য এলাকায় যাত্রা করল তিন গোয়েন্দা কিশোর মুসা রবিন। জটিল ধাঁধার সমাধান করে গিয়ে যখন রত্নগুহায় ঢুকল ওরা, রূপকথার বইয়ের পাতা থেকে যেন বেরিয়ে এল এক ভয়ঙ্কর ড্রাগন। গুপ্তধন উদ্ধার তো দূরের কথা, প্রাণ বাঁচানোই অসম্ভব হয়ে দাঁড়াল।
রহস্যছাউনি : ক্যাম্প মুনলাইট-এ ঢুকেই ধাক্কা খেল রবিন। পুরো নির্জন। একে একে সবাই এসে হাজির হলো। রহস্যময় ওদের আচরণ। বিচিত্র ওদের চালচলন। ক্যাম্পের পরিচালক আঙ্কেল গ্রেগ তো আরও রহস্যময়। কারা ওরা? ধীরে ধীরে জটিল এক রহস্যে জড়িয়ে পড়ল রবিন।
রহস্যছাউনি ২ : তীরচিহ্ন দিয়ে নানা দিকে নির্দেশ করা হয়েছে : ভুতুড়ে বন-সোজা সামনে। দানোর দীঘি-ডান দিকে। চোরাবালির কূপ-বাঁয়ে। আরও সব অদ্ভুত নাম, হারানো আত্মার খনি...মৃত্যুগুহা...গোস্ট কেবিন...দেখতে দেখতে রবিন বলল, ‘ভয়ঙ্কর সব নাম! এ কোন জায়গায় এসে পড়লামরে বাবা!’ হঠাৎ তীক্ষ্ণ এক চিৎকারে চরকির মত পাক খেয়ে ঘুরে দাঁড়াল তিন গোয়েন্দা কিশোর মুসা রবিন। আতঙ্কিত একটা কণ্ঠ শোনা গেল, ‘বাঁচাও! বাঁচাও! আমাকে বাঁচাও!’
আতঙ্কের দুর্গ : ঘরের দেয়াল সবুজ কাগজে মোড়ানো। সেগুলোতে নখের দাগ। মোটা মোটা দাগগুলো কাগজের পেছনের কাঠের দেয়াল কেটে বসে গেছে। ভয়ানক রাগে উন্মত্ত হয়ে কোনো জানোয়ার যেন আঁচড়ে ফালাফালা করে দিতে চেয়েছে দেয়ালটাকে। জানোয়ার! নাকি, দানব? ঘাড়ের কাছে ভারী নিঃশ্বাসের শব্দ শোনা গেল। পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে কেউ। ঝটকা দিয়ে ফিরে তাকাল অঞ্জন...
ভয়াল শত্রু : ঘটনাটার শুরু স্বপ্ন দেখা থেকে। প্রথমে বিশেষ গুরুত্ব দিল না সিসি। ভাবল, যে ভয়ানক বিপদের মধ্যে রয়েছে ওরা, তারই কুফল এই দুঃস্বপ্ন। তারপর জিউস জানাল, সে-ও একই রকম স্বপ্ন দেখছে। সাগরের স্বপ্ন। কে যেন তাকে ডাকছে। সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছে সাগরের নিচ থেকে। এর মানে দুটো হতে পারে। এক, কেউ বিপদে পড়েছে। দুই, এটা ভারেকদের ফাঁদ। সিসি, জিউস, নিমো, তিয়াপা ও জামবু মিলে সাগরতলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। যেতে হবে ডলফিনের রূপ নিয়ে। যদি ফাঁদ হয়, এই অভিযানই হবে ওদের শেষ অভিযান।
রকিব হাসান বাংলাদেশের সবচাইতে জনপ্রিয় ‘তিন গোয়েন্দা’ সিরিজের স্রষ্টা ও কিশোর-কিশোরীদের সেরা পছন্দের লেখকদের শীর্ষ তালিকার একজন। তাঁর মাধ্যমেই বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরীরা গোয়েন্দা কাহিনি ও তিন গোয়েন্দা সিরিজের সাথে পরিচিত হতে থাকে। শুধু তাই নয়, তিনি বহু ক্লাসিক ও কিশোর রোমহর্ষক সিরিজের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক। লেখালেখির দীর্ঘ ৫০ বছরে চারটি প্রজন্ম অতিবাহিত হলেও আজও তাঁর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বি। মূলত তিনি নিজেকে আড়ালে রাখতে পছন্দ করেন বিধায় মিডিয়ায় তাঁর উপস্থিতি নেই বললেই চলে। তবুও প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে দেশ বিদেশে তাঁর লক্ষ লক্ষ পাঠকশ্রেণি রয়েছে। যাদের ছেলে-মেয়ে-নাতি-নাতনী এবং পরবর্তী প্রজন্মের কিশোর-কিশোরীদের কাছেও রকিব হাসান অত্যন্ত জনপ্রিয় লেখক। বর্তমান প্রজন্মের পাঠক-ভক্তদের কাছেও ‘তিন গোয়েন্দা সিরিজটি’ এবং ‘কিশোর, মুসা, রবিন’ চরিত্রটি অসম্ভব জনপ্রিয়। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও কিশোর-কিশোরীসের সেরা পছন্দের এই গুণী লেখকের জন্ম কুমিল্লায়, ১৯৫০ সালে। মূলত এক সময়ে পাঠকের হাতে স্বল্পমূল্যে বই তুলে দিতে এবং নিত্য নতুন পাঠক সৃষ্টি করতে ‘পেপারব্যাক সংস্করণে’ প্রকাশিত স্বনামে-বেনামে তাঁর লেখা বহু বই তিন দশক ধরে বেস্টসেলার ও জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিল। আজও তাঁর প্রকাশিত বইগুলো সমান জনপ্রিয়তার শীর্ষে। সকল কিছুকে ছাপিয়ে তাঁর ‘তিন গোয়েন্দা সিরিজটি’ এবং ‘কিশোর, মুসা, রবিন’ চরিত্র কালজয়ী জনপ্রিয়তা লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। স্বনামে-বেনামে ও ছদ্মনামে এই তিন ক্যাটাগরিতেই তাঁর জনপ্রিয়তায় কোন ছেদ পড়েনি। তিনি সকল ধরনের মিডিয়া ও প্রচার প্রচারণাকে এড়িয়ে চলতে পছন্দ করতেন বলে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই লেখকের ফেসটি তেমন পরিচিত নয়। কিন্তু আমরা বাস্তবতায় দেখেছি যে, যখন কোন পাঠক একটু জানতে পেরেছেন যে, রকিব হাসান বইমেলায় অমুক প্রকাশনীতে আছেন, তখন একে একে নিমিষেই প্রচÐ ভীড়ের সৃষ্টি হতো। এমনকি পাঠকের ভীড়ে তাঁকে খুঁজে পাওয়া দায় হয়ে যেতো। এই গুণী লেখকের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা বর্তমানে প্রায় পাঁচ শতাধিক। তাঁর লেখা প্রথম বই প্রকাশিত হয় ১৯৭৭ সালে, ছদ্মনামে। স্বনামে প্রথম প্রকাশিত বইটি ছিল অনুবাদগ্রন্থ, ব্রাম স্টোকারের ‘ড্রাকুলা’। এরপর অনুবাদ করেছেন জুল ভার্ন, জিম করবেট, কেনেথ অ্যান্ডারসন, মার্ক টোয়েন, রবার্ট লুই স্টিভেনসন, হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড, ফ্রেড জিপসন, রেনে জুঁইঅ, এরিক ফন দানিকেন, ফার্লে মোয়াট, জেরাল্ড ডুরেল-এর মত বিখ্যাত লেখকদের অনেক ক্লাসিক বই। অনুবাদ করেছেন মহাক্লাসিক ‘অ্যারাবিয়ান নাইটস’ ও এডগার রাইস বারোজ- এর ‘টারজান’ সিরিজ। তাঁর লেখা সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়েছে ছোটদের নিয়ে রচিত ‘তিন গোয়েন্দা’ সিরিজটি। এই সিরিজের তিনটি মূল চরিত্র ‘কিশোর-মুসা-রবিন’কে নিয়ে লিখেছেন আরও তিনটি সিরিজ ‘তিন বন্ধু’, ‘তিন কিশোর গোয়েন্দা’ ও ‘গোয়েন্দা কিশোর মুসা রবিন’। লিখেছেন ‘কিশোর গোয়েন্দা’ সিরিজ ‘খুদে গোয়েন্দা’ সিরিজ, জাফর চৌধুরী ছদ্মনামে ‘রোমহর্ষক’ সিরিজ এবং আবু সাঈদ ছদ্মনামে ‘গোয়েন্দা রাজু’ সিরিজ। এ ছাড়া কিশোরদের জন্য বেশ কিছু ভূতের বই ও সাইন্স ফিকশনও লিখেছেন তিনি। তাঁর লেখা কিশোর-কিশোরীদের দারুণভাবে আকৃষ্ট করে এবং সেরা বিনোদন যোগায়। আমরা এই গুণী ও অত্যন্ত জনপ্রিয় লেখকের সুস্থ জীবন ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। মহান আল্লাহপাক আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করুন। আমীন।