নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়, পল্লীর মেঠো পথ বেয়ে বিকেল বেলা হনহন করে হেঁটে চলেছে শাওন। দু'পাশে ধানের ক্ষেতে শনশন বাতাস বয়ে যাচ্ছে। ঈষৎ পাকা রং লেগেছে কিছু কিছু জায়গায়। চির সবুজ বাংলার নির্জন পথ বেয়ে টিচারের কাছে পড়তে যাচ্ছে সে। সামনে টেস্ট পরীক্ষার মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। আনোয়ার স্যারের কাছে সে আজ চার বছর ধরে পড়ছে। খুব ভাল স্যার। অঙ্ক বুঝায় সুন্দর করে। শাওনের জীবনের প্রেরণা এই আনোয়ার স্যার। স্যারের বাসায় এসে শাওন দেখে স্যার বাড়িতে নেই। কী একটা জরুরি কাজে বাইরে গেছেন। স্যারের প্রাইভেট পড়ার ঘরে বসে আছে একটি মেয়ে। যাকে শাওন আগে কখনো দেখেনি। মেয়েটির দিকে এক নজর তাকিয়ে দেখে ও। অদ্ভুত সুন্দর মায়াময় দু'টি চোখ। কিশোরী জীবনের লাবণ্য তার মধ্যে বিদ্যমান। শাওন উদাসীন হয়ে যায়- মুহূর্তে মনটা এলোমেলো হয়ে পড়ে। কেমন যেন একটা ঘোর লেগে থাকে দু'চোখে। বুকের ভিতর টিপ টিপ করতে থাকে শাওনের। এমনিতেই ও লাজুক টাইপের; উপরন্তু নির্জন একটা রুমে একটা মেয়ের সামনে দাঁড়িয়ে তার উপর প্রথম দেখেই কেমন যেন হয়ে গেছে শাওনের মনের ভিতরটা। সে নিজেই বুঝতে পারছে না তার মনের ভিতরে এত আলোড়ন কিসের? ধীরে ধীরে মুখ তুলে তাকায় শাওন। পূর্ণ দৃষ্টিতে দেখে মেয়েটাকে। মেয়েটি চোখ নামিয়ে নেয়।
দক্ষিণ বাংলার সীমান্তে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের কোলে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার আটুলিয়া গ্রামে মোঃ সিরাজুল ইসলাম এফসিএ ১৯৭৬ সালের ২০শে আগষ্ট জন্মগ্রহন করেন। স্মৃৃতিময় দুরন্ত শৈশব ও বর্ণময় কৈশোর কেটেছে তার চাঁদের আলোয় রুপালি ঝিলিক তোলা ছোট্ট নদী চুনার তীরের নির্জন গ্রামে মনের আনন্দে খেলে, নদীতে সাঁতার কেটে, মাছ ধরে। কখনো বা চাঁদনি রাতে ধবধবে সাদা জোছনার বুকে একাকী বসে থেকে, যেখানে পূর্নিমা রাতে আকাশ ভেঙ্গে নামা শুভ্র জোছনার প্লাবনে ভেসে যায় পল্লীর মাঠ, ঘাঠ, অবারিত প্রান্তর। কখনো বা জোনাক জ্বলা আঁধার রাতে তারার অলোয় পথ চলে। তিনি ১৯৯২ সালে এস,এস.সি পাশ করার পরে লেখালেখির জগতে প্রবেশ করেন। তিনি ১৯৯৮ সালে হিসাব বিজ্ঞানে স্নাতোকোত্তর ডিগ্রী লাভের পর ২০১১ সালে Chartered Accountant হিসাবে Qualified হন এবং ২০১৬ সালে FCA ডিগ্রী লাভ করেন। বর্তমানে পেশাদার Fellow Chartered Accountant(FCA) হিসাবে কর্মরত। পুরস্কার : অতীশ দীপঙ্কর গবেষণা পরিষদ কর্তৃক অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক-২০১৯ পদকে ভূষিত হন। মহাত্মা গান্ধী গবেষণা পরিষদ কর্তৃক মহাত্মা গান্ধী পিস অ্যাওয়ার্ড- ২০১৮ অর্জন করেন। ওমর সিরাজ জি কিউ ফাউন্ডেশন কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক-২০১৮। রোহিঙ্গা জীবনের গল্প ‘‘সীমান্তের ওপারে” উপন্যাসের জন্য অমর সাহিত্য সন্মাননা- ২০১৮ লাভ করেন। এ কাদের ফাউন্ডেশন কর্তৃক“ শিশির ভেজা পথ” উপন্যাসের জন্য বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার-২০১৭ এবং সাউথ আটুলিয়া চ্যারিটি ফাউন্ডেশন কর্তৃক“ শিশির ভেজা পথ” উপন্যাসে এইড্স নিয়ে জনসচেতনতায় অবদান রাখার জন্য বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার-২০১৭ পদকে ভূষিত হন।