মাঝে মাঝে মরে যেতে ইচ্ছে করে রেজাউলের। কখনো কখনো এমন হয়, প্রচণ্ড দুঃখে অনেকের মরে যেতে ইচ্ছে করে কিংবা কারণ ছাড়াই অনেক সময় মরতে ইচ্ছে করে কারো কারো। রেজাউলের এক বন্ধু আছে ট্রাক দেখলে তার সামনে দিয়ে সাইকেল চালিয়ে দ্রুত রাস্তা পার হতে ইচ্ছে করে। কখনো ছাদ থেকে নিচে লাফিয়ে পড়ে ট্রাই করতে ইচ্ছে হয় তার। কিন্তু কখনোই সে এসব করে না। প্রাণপণে ইচ্ছেটাকে বুকের মধ্যে চেপে রাখে, কেননা সে জানে এ ইচ্ছা পূরণ মানে অবধারিত মৃত্যু। এ জন্যই সব ইচ্ছা সব সময় পূরণ করতে নেই। রেজাউলের এখন প্রচণ্ড কষ্টে বুক ভেঙে যাচ্ছে। নিষ্ঠুর পৃথিবী থেকে তাই মরে যেতে চায় ও। সবাই বলে পৃথিবী খুব নিষ্ঠুর, কিন্তু পৃথিবী যদি এত নিষ্ঠুর এবং নির্মম হয়েই থাকে তবে মানুষ এরই মাঝে বেঁচে থাকতে চায় কেন? খুব দুঃখ পেলে রেজাউলের মনে আত্মহননের সুপ্ত ইচ্ছাটা জেগে ওঠে। আত্মহত্যা মহাপাপ তাই ওই কাজটি করতে পারে না সে। ওর মাদ্রাসার হুজুররা বলেন এবং ও নিজেও জানে আত্মহত্যা করলে বেহেশতে যাওয়া যায় না। রেজাউল বেহেশতে যেতে চায়, ওখানে সুখের স্থানে যাওয়ার খুব ইচ্ছে তার। এজন্যই আত্মহত্যার ইচ্ছেটাকে প্রতিবারই স্থগিত রাখে ও। রেজাউল উপুড় হয়ে বিছানায় পড়ে আছে, ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্নার দমকে পিঠটা ফুলে উঠছে। আজ এতিমখানার হুজুর তাকে প্রচণ্ড গাল-মন্দ করেছে।
দক্ষিণ বাংলার সীমান্তে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের কোলে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার আটুলিয়া গ্রামে মোঃ সিরাজুল ইসলাম এফসিএ ১৯৭৬ সালের ২০শে আগষ্ট জন্মগ্রহন করেন। স্মৃৃতিময় দুরন্ত শৈশব ও বর্ণময় কৈশোর কেটেছে তার চাঁদের আলোয় রুপালি ঝিলিক তোলা ছোট্ট নদী চুনার তীরের নির্জন গ্রামে মনের আনন্দে খেলে, নদীতে সাঁতার কেটে, মাছ ধরে। কখনো বা চাঁদনি রাতে ধবধবে সাদা জোছনার বুকে একাকী বসে থেকে, যেখানে পূর্নিমা রাতে আকাশ ভেঙ্গে নামা শুভ্র জোছনার প্লাবনে ভেসে যায় পল্লীর মাঠ, ঘাঠ, অবারিত প্রান্তর। কখনো বা জোনাক জ্বলা আঁধার রাতে তারার অলোয় পথ চলে। তিনি ১৯৯২ সালে এস,এস.সি পাশ করার পরে লেখালেখির জগতে প্রবেশ করেন। তিনি ১৯৯৮ সালে হিসাব বিজ্ঞানে স্নাতোকোত্তর ডিগ্রী লাভের পর ২০১১ সালে Chartered Accountant হিসাবে Qualified হন এবং ২০১৬ সালে FCA ডিগ্রী লাভ করেন। বর্তমানে পেশাদার Fellow Chartered Accountant(FCA) হিসাবে কর্মরত। পুরস্কার : অতীশ দীপঙ্কর গবেষণা পরিষদ কর্তৃক অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক-২০১৯ পদকে ভূষিত হন। মহাত্মা গান্ধী গবেষণা পরিষদ কর্তৃক মহাত্মা গান্ধী পিস অ্যাওয়ার্ড- ২০১৮ অর্জন করেন। ওমর সিরাজ জি কিউ ফাউন্ডেশন কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক-২০১৮। রোহিঙ্গা জীবনের গল্প ‘‘সীমান্তের ওপারে” উপন্যাসের জন্য অমর সাহিত্য সন্মাননা- ২০১৮ লাভ করেন। এ কাদের ফাউন্ডেশন কর্তৃক“ শিশির ভেজা পথ” উপন্যাসের জন্য বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার-২০১৭ এবং সাউথ আটুলিয়া চ্যারিটি ফাউন্ডেশন কর্তৃক“ শিশির ভেজা পথ” উপন্যাসে এইড্স নিয়ে জনসচেতনতায় অবদান রাখার জন্য বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার-২০১৭ পদকে ভূষিত হন।