“ছােটদের সাহাবায়ে কেরামের গল্প" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ সাহাবি কারা? যারা মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছেন, তাঁর প্রচারিত ইসলামধর্ম বিশ্বাস করেছেন এবং এই বিশ্বাসের ওপর ইন্তেকাল করেছেন তারা হচ্ছেন সাহাবি। নবীজির প্রায় এক লাখ পঁচিশ হাজার সাহাবি ছিলেন। কিন্তু মক্কামদিনায় তাদের তেমন কবর পাওয়া যায় না। কারণ, তারা ইসলাম প্রচার করার জন্য সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছিলেন। যারা যেখানে ইন্তেকাল করেছেন সেখানেই তাঁদেরকে কবর দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মাধ্যমেই সারা পৃথিবীতে ইসলামের আলাে ছড়িয়ে পড়েছে। যারাই তাঁদের আদর্শ গ্রহণ করেছে তারাই সফল হয়েছে। সাহাবায়ে কেরামের সময়টা ছিল সােনালি সময়। তাঁরা ছিলেন পৃথিবীর সােনালি মানুষ। তাঁদের চেয়ে সেরা মানুষ পৃথিবীতে আর কেউ ছিল না এবং ভবিষ্যতেও হবে না। তারা কেন পৃথিবীর সেরা মানুষ ছিলেন? কিভাবে সেরা হয়েছিলেন? সেই গল্প নিয়েই হাজির হয়েছে ছােটদের সাহাবায়ে কেরামের গল্প। তাঁদের শাসন, ন্যায়বিচার, আমানতদারি, ধৈর্য, ত্যাগ, সাহস, ভয়, বিনয়, উদারতা, দানশীলতা, বিশ্বাস, ভালােবাসা ইত্যাদির ছায়াছবি উঠে এসেছে ৩৮টি গল্পের ভাঁজে ভাঁজে। পাঠককে প্রেরণা দেবে সাহাবায়ে কেরামের মতাে হতে। তাদের আদর্শ গ্রহণ করতে আর যারা সাহাবায়ে কেরামের আদর্শ গ্রহণ করেছে, তাদের মতাে সফল আর কে হতে পারে?
মাওলানা মুনীরুল ইসলাম ১৯৮০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার খামারগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নব্বই দশকের শুরুর দিকে ক্যাম্পাসের বড় ভাইদের দেয়ালিকা লেখা দেখতে দেখতে তিনি লেখতে শুরু করেন। তৎকালীন মাসিক জাগো মুজাহিদ-এর জানুয়ারি-১৯৯৫ সংখ্যায় ছাপার হরফে তার প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন। তার লেখা গ্রন্থের সংখ্যা ৪০টির মতো। সাহিত্যের প্রায় সব শাখায় তার বিচরণ রয়েছে। তবে আকাবির ও ইতিহাসের গল্প চমৎকার মুনশিয়ানার সঙ্গে উঠে আসে তার কলমে। ‘জীবন গড়ো সিরিজ’ ও ‘খোশবু সিরিজ’-এ লিখেছেন ছোটদের জন্য চমৎকার কিছু বই। ছড়া-কবিতার প্রতি রয়েছে আলাদা ঝোঁক। ইসলামি সংগীত রচনায়ও তার দখল রয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠীর কয়েকটি অ্যালবামে তার সংগীত রিলিজ হয়েছে এবং শ্রোতামহলে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। লেখালেখিতে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি মাসিক আদর্শ নারী লেখক সম্মাননা-২০১২; সত্যের সন্ধানে লেখক সম্মাননা-২০১৫, কাব্যকথা জাতীয় সাহিত্য পদক-২০১৫, আমরা এক কাফেলা লেখক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সম্মাননা-২০২১ সহ অনেক পুরস্কার ও সনদ লাভ করেছেন। তিনি ২০০১ সালে বেফাকের অধীনে জামিয়া আরাবিয়া কাসেমুল উলূম কুমিল্লা থেকে দাওরায়ে হাদিস এবং ২০০৪ সালে সোনাকান্দা দারুল হুদা বহুমুখী কামিল মাদরাসা কুমিল্লা থেকে কামিল [মাস্টার্স] সম্পন্ন করেন। এছাড়াও লেখালেখি ও সাংবাদিকতা বিষয়ক বিভিন্ন কোর্স ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন। এক যুগেরও বেশি সময় তিনি মাসিক আদর্শ নারী’র সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি লেখালেখি, সম্পাদনা এবং শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত আছেন। তিনি লেখকপত্রের নির্বাহী সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক। বইপত্র সম্পাদনা ও প্রকাশের ঠিকানা সম্পাদনা কেন্দ্রে’র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকও তিনি।