চীনা ভাষায় কং ফুসি বা প্রভু কং, লাতিন উচ্চারণে কনফুসিয়াস (খ্রিষ্টপূর্ব ৫৫১-৪৭৯) প্রাচীন চীনের লু নামক ক্ষুদ্র রাজ্যে (বর্তমানে শ্যানডং প্রদেশের অন্তর্গত) জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন একজন বিশিষ্ট চীনা দার্শনিক যাঁর মতবাদ ও দর্শন পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চীন, জাপান, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, লাওস, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের মতো দেশের সামাজিক জীবন, কর্ম-পেশা, নৈতিকতা ও আদর্শকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিল। এমনকি বর্তমানকালের মার্কসবাদী চীনেও তাওবাদ ও বৌদ্ধধর্মের পাশাপাশি মূলত কনফুসীয় দর্শনই সচেতন বা অসচেতনভাবে সমাজ ও সংস্কৃতির ভিত্তি হিসেবে বিরাজমান আছে। কনফুসিয়াসের দর্শন ব্যক্তিগত ও সরকারি কর্মে সদাচরণ, যথাযথ সামাজিক সম্পর্ক, ন্যায়পরায়ণতা, জ্যেষ্ঠদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা, সততা, আনুগত্য ও আন্তরিকতার ওপর সবিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে। হ্যান আমলে অন্যান্য মতবাদের তুলনায় এসব মূল্যবোধ চীনে অধিকতর প্রাধান্য বিস্তার করেছিল। কালক্রমে কনফুসিয়াসের ধ্যান-ধারণাকে একটি দার্শনিক মতবাদে (কনফুসিয়ানিজম) রূপান্তরিত করা হয়েছিল। জেসুইট মাতিও রিচ্চি একে সর্বপ্রথম ইউরোপে পরিচয় করিয়ে দেন। মূলত কনফুসিয়াসের শিষ্যদের দ্বারা সংকলিত লুন-ইউ বা অ্যানালেক্টস বা কথোপকথনের মাধ্যমে কনফুসিয়াসের ধ্যান-ধারণা সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়, যেটা তাঁর মৃত্যুর পর সংকলন করা হয়েছিল।
হেলাল উদ্দিন আহমেদ-এর জন্ম ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার দক্ষিণ আনন্দপুর গ্রামে ১৭ জুলাই ১৯৬০ সালে । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিদ্যা ও ইলেকট্রনিক্স বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান), ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট থেকে এমবিএ প্রােগ্রামে প্রথম স্থান, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে উন্নয়ন অর্থনীতিতে এমফিল (সমমান) কোর্সে প্রথম স্থান, যুক্তরাজ্যের আলস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ থেকে জনপ্রশাসনে দুর্নীতিবিষয়ক অভিসন্দর্ভের জন্য পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন । সিভিল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পদে কর্মরত অবস্থায় ২০১৬ সালের আগস্টে ত্রিশ বছরের সরকারি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসরগ্রহণ। ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ঢাকা থেকে প্রকাশিত। সরকারি প্রকাশনা বাংলাদেশ কোয়ার্টারলি’ ও ‘নবারুণ’ পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। প্রকাশিত গ্রন্থ ১৫টি।