রাত দশটা। ডাইনিং টেবিলে সবাই খেতে বসেছে। আজ এ বাড়িতে উৎসবের আমেজ। কায়সার সাহেব, তার স্ত্রী মিলি খাতুন, তাদের ছেলে শুভ আর মেয়ে বুশরা সবার চোখেমুখেই খুশি খুশি ভাব। সবচেয়ে বেশি খুশি বুশরা। সে ইতোমধ্যেই কাকুর সঙ্গে ভাব জমিয়ে নিয়েছে। সে খেতে বসেছে কাকুর পাশে। কাকুকে অনবরত স্কুলের গল্প শুনিয়ে যাচ্ছে। কাজের মেয়ে মাসুদাও এই নবাগত অতিথিটির দিকে বার বার তাকাচ্ছে। তার চোখে মুখেও কৌতূহল। রাশেদ সাহেবের জেট-লগ এখনো পুরোপুরি কাটেনি। আরও দু'একদিন লাগবে। তিনি যথাসাধ্য সবার সাথে গল্প করছেন। গৃহকর্ত্রী মিলি খাতুন অনেককিছু রান্না করেছেন। ডাইনিং টেবিল ভর্তি নানা পদের খাবার। রাশেদ' সাহেবের পছন্দের করলা-ইলিশ চচ্চরি, মুড়োঘন্ট, কাল বাউশ ভাজা, ঢেরশ- চিংড়ি, মুরগির লটপটি, খাসির মাথা ভূনা থেকে শুরু করে আরও কত কিছু! মিলি খাতুন এটা ওটা রাশেদ সাহেবের পাতে তুলে দিচ্ছেন। রাশেদ সাহেব তার পছন্দের এত খাবার দেখে খুব আশ্চর্য হন। তার ভাবী এতদিন পরেও মনে রেখেছে তার প্রিয় খাবারগুলোর কথা! আমেরিকার বিশ বছরের প্রবাস জীবনে এত যত্ন করে তাকে কেউ খাওয়ায়নি। এই হচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এরা পরিবারের সদস্যদের জন্য অনেক কিছু করতে পারে।