"সবার জন্য হিসাবশাস্ত্র" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: কেবল ব্যবসার হিসাব রাখার জন্য নয়, বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড পরিমাপ করার পাশাপাশি বিভিন্ন পর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ, নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারির জন্যও অ্যাকাউন্টিংয়ের বিভিন্ন মাপ ও অনুপাত ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু সংখ্যাবহুল এই বিষয়টি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের অজ্ঞতা অপরিসীম। একটা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করার পর সেই কোম্পানির ব্যালেন্স শিট সাধারণের জ্ঞাতার্থে প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক। অথচ আমাদের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এই প্রতিবেদনটি বোঝার মতো অ্যাকাউন্টিং-শিক্ষিতের সংখ্যা নগণ্য। এই বিষয়ে কিছু জ্ঞান থাকলে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের দুটি ধসে এত বিপুল সংখ্যক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতেন না। অ্যাকাউন্টিংয়ের ছাত্র নন এমন মানুষের জন্য এই বইটিতে অত্যন্ত সহজবোধ্য করে ব্যালেন্স শিট এবং বিভিন্ন অনুপাত বিশ্লেষণ বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। নতুন বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তাদের জানা দরকার এমন কিছু বিষয়ের ওপরও আলোকপাত করা হয়েছে, যাতে প্রাথমিক একটা ধারণা লাভ করা যায় এবং অ্যাকাউন্টিং বিদ্যার কিছু কারিগরি বুঝে ওঠা সম্ভব হয়।
সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় বিচরণ করলেও ফারুক মঈনউদ্দীন মূলত গল্পকার। তাঁর ছোটগল্পগুলো ভাষার অনবদ্য কাব্যিকতার জন্য প্রথম থেকেই পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিল। মানুষের অন্তর্লীণ অনুভ‚তি ও বহিরাচরণ তাঁর নিবিড় পর্যবেক্ষণে প্রমূর্ত হয়ে ওঠে। তাঁর প্রথম লেখা গল্প প্রকাশিত হয় ১৯৭৮ সালে অধুনালুপ্ত দৈনিক বাংলার সাহিত্য সাময়িকীতে, আর প্রথম গল্পগ্রন্থ ১৯৯০ সালে। কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয় তাঁর অন্যতম গল্পগ্রন্থ আত্মহননের প্ররোচনা। নব্বই দশকের মাঝামাঝি থেকে তিনি অনুবাদ, সাহিত্য সমালোচনা, ভ্রমণ এবং অর্থনীতি বিষয়ক লেখালেখিতে নিজেকে ব্যাপৃত করেছেন। মার্কিন লেখক ক্লিনটন বি সিলির কবি জীবনানন্দ দাশের সাহিত্যিক জীবনী অ্যা পোয়েট অ্যাপার্ট গ্রন্থটির অনুবাদের জন্য তিনি ‘আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার ২০১১’ এবং ভ্রমণগ্রন্থ সুদূরের অদূর দুয়ার-এর জন্য ‘সিটি-আনন্দআলো পুরস্কার ২০১৯’ লাভ করেন। তাঁর এযাবত প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে গল্পগ্রন্থ তিনটি, অনুবাদ চারটি, ভ্রমণ সাতটি, অর্থনীতি-ব্যাংকিং বিষয়ক গ্রন্থ পাঁচটি এবং প্রবন্ধগ্রন্থ একটি।