ভূমিকা শিল্প হিসেবে সারা বিশ্বের লোক এবং পুঁজি বিনিয়োগে পর্যটন এক নম্বর শিল্প বলে গন্য হচ্ছে। পৃথিবীর অনেকগুলো দেশের বৈদেশিকা মুদ্রা আয়ের প্রধান উৎস পর্যটন শিল্প। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল এমনকি ভুটনা পর্যন্ত পর্যটন শিল্প থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে। শ্রীলঙ্কায় প্রচন্ড রাজনৈতিক ,সামরিক অস্থিরতা থাকলেও পর্যটনের ভাল অবকাঠামোর জন্য তারাও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে এই খাতে। অথচ বাংলাদশ পিছিয়ে পড়েছে বিশ্ব পর্যটন বাজারে। এর কারণ হচ্ছে পর্যটন সংক্রান্ত ভুল নীতি। এখনকার পৃথিবীর পর্যটকরা পৃথিবীর বড় বড় মনুমেন্ট স্থাপনা, পুরাকীর্তি দেখে ফেলেছেন। নাম করা পাহাড় পর্বতও দেখা হয়ে গেছে। দামী খাবার আর রাজকীয় বসবাস আর পর্যটকদের কাম্য নয়। তারা দেখতে চান বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষ।তাদের শিল্প সংস্কৃতি জীবনযাত্রা, সময়কাটাতে চান প্রকৃতির কাছাকাছি, নিসর্গের কাছাকাছি। বাংলাদেশের পর্যটন কমপ্লেক্সগুলো গড়ে উঠেছে বিলাসী পর্যটকদের জন্য , আর আমাদের দু’একটি মনুমেন্টাল ঐতিহাসিক বিল্ডিং ছাড়া পর্যটকদের আকৃষ্ট করার কিছু নেই বলে সরকারী পর্যটন প্রতিষ্ঠানের ধারণা। এটা ঠিক নয়। আমাদের রয়েছে বিশাল নদীর অববাহিকা, সুন্দর বন ,পত্রমোচী শালের জঙ্গল, ভেজা মিশ্র বৃষ্টিপাড়ের জঙ্গল, রয়েছে ৫৫ টি জনগোষ্ঠী, রয়েছে বঙ্গোপসাগরের অবস্থিত ছোট ছোট দ্বীপ, প্রবাল দ্বীপ সহ নানা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সমাবেশ। প্রাণ বৈচিত্র্যেও দেশটি অসাধারণ। এগুলোকে তুলে ধরতে পারলেই বাংলাদেশের পর্যটন দেশ বিদেশের পর্যটক আকর্ষণ করতে পারবে। দেশী পর্যটকদের অনেকেই মনে করেন যে বাংলাদেশের মতো ছোট একটি দেশে দেখার কি আছে? কিন্তু ঘর থেকে কয়েক পা বের হলেই দেখতে পাবেন দেশটি ছোট হতে পারে ,কিন্তু ঐতিহাসিক হর্সরাজি, অকৃপন নিসর্গে ভরপুর। শুধু মনটাকে হালকা করে নিন। তারপর বেরিয়ে পড়ন কোন অজানার উদ্দেশ্যে। দেখবেন স্থানীয় মানুষজন আপনাকে সাহায্য করতে উদগ্রীব। শুনতে পাবেন কত রাজা মহারাজারর কাহিনীর লোক পরম্বরায় জনশ্রুতি, দেখতে পাবেন মানুষের জীবন যাপন। আমাদের পা্র্বত্য ,সীমান্তবর্তী এলাকায় রয়েছে ভিন্ন সাংস্কৃতিক দেশবাসী। তাদের সঙ্গে কথা বলুন, তাদের আচার আচরণ আপনাদের মোহিত করবে। বন্ধু প্রকাশক ইব্রাহিম ভাইয়ের চাপে বইটি দ্রুতই শেষ করতে হয়েছে। তার উৎসাহই বইটির অনুপ্রেরণা। দেশ ভ্রমণে বইটি আপানাদের কাজে আসলে ধন্য হবো। খসরু
সূচি * বাংলদেশ * ঢাকা বিভাগ * ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমনের জন্য কোচ সার্ভিস * ঢাকা বিভাগের দর্শনীয় স্থানসমূহ * চট্রগ্রাম বিভাগ * চট্রগ্রাম বিভাগের দর্শনীয় স্থান * রাজশাহী বিভাগ * রাজশাহী বিভাগের দর্শনীয় স্থান সমূহ * রংপুর বিভাগ * রংপুর বিভাগের দর্শনীয় স্থানসমূহ * খুলনা বিভাগ * খুলনা বিভাগের দর্শনীয় স্থানসমূহ * বরিশাল বিভাগ * বরিশাল বিভাগের দর্শনীয় স্থান সমূহ * সিলেট বিভাগ * সিলেট বিভাগের দর্শনীয় স্থানসমূহ * এক নজরে বাংলাদেশের এক জেলা হতে অন্য জেলার দুরত্ব
Khosru Chowdhury ছোটবেলা থেকেই দক্ষিণ বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে জীবজন্তুর সঙ্গে পরিচিত হবার সুযোগ পান। ১৯৭১ সালের মহান মক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন কলেজ-ছাত্র অবস্থায়। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য অনুষদের ছাত্র অবস্থায় ১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মামা শিকারি আকতারুজ্জামানের হাত ধরে সুন্দরবন গিয়ে ভালোবেসে ফেলেন জল-জঙ্গলার বাঘ। ১৯৮৫ সালে অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক রোববার পত্রিকায় সুন্দরবন সংক্রান্ত লেখা দিয়ে তার লেখার জগতে প্ৰবেশ। তারপর দেশের উল্লেখযোগ্য প্রায় সব কটি পত্রিকায় বাঘ বা সুন্দরবন নিয়ে লিখেছেন। ছাত্র রাজনীতি করেছেন, সাংস্কৃতিক আন্দোলন, চলচ্চিত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সাংবাদিকতা করেছেন। দেশের অগ্রগণ্য বাঘ বিশেষজ্ঞ হিসেবে বাঘ বাঘ রক্ষায় নিতয় চেষ্টা করে চলেছেন।