"সুখী মানুষ" বইটি সম্পর্কে কিছু কথা: কেউ অসুখী হতে চায় না, সবাই সুখী হতে চাই । কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে, আপনি প্রকৃতই সুখী হতে পারবেন না, যদি না মাঝে মাঝে আপনি অসুখী থাকেন। জীবনে যাবতীয় দুঃখ-কষ্ট, হতাশা, ব্যর্থতা, অসম্মান সত্ত্বেও আমরা সুখী হতে পারি। তাই কাঁদুন, ক্ষমা করে দিন, ঘটনা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন এবং সামনে এগিয়ে যান। আপনার চোখের পানি যেন ভবিষ্যৎ সুখের বীজে জল সিঞ্চনের কাজ করে। মনে রাখবেন, জীবনের ১০পার্সেন্ট হচ্ছে যা আমাদের জীবনে ঘটে, বাকি ৯০ পার্সেন্ট হচ্ছে ঘটনাবলির প্রতি আমরা কিরকম প্রতিক্রিয়া করি। প্রতিদিন ঘুম থেকে জেগে নেতিবাচকতা, ব্যর্থতা, হতাশাকে নয়—বেছে নিবেন আনন্দ, সুখ ও জীবনতুষ্টিকে। যে মুহূর্তগুলাে ক্রোধান্বিত থাকলেন, সেই মুহূর্তগুলাে সুখ থেকে বঞ্চিত থাকলেন। তাই এই মুহূর্তেই সুখী হােন। মুহূর্ত মানেই জীবন, প্রতিটি মুহূর্তকেই উপভােগ করুন । সুখী থাকতে হবে বর্তমানকে নিয়েই, বাইরের কিছু সুখী করবে এই প্রত্যাশায় থাকবেন না । একমাত্র আপনিই আপনার জীবনকে বদলাতে পারেন, অন্য কেউ তা আপনার হয়ে করে দেবে না। জীবন এমন নয় যে, এটি খুঁজে বেড়াবেন বরং জীবনকে তৈরি করে নিতে হয়। জীবনকে কেমনভাবে তৈরি করে নেবেন, যাতে আপনি সুখী মানুষ হতে পারেন— এসব বিষয়ই এ বইয়ের মুখ্য প্রতিপাদ্য। নিজের ভবিষ্যৎ নিজে তৈরি করুন, নিজের সুখ নিজে নির্মাণ করুন। কিভাবে তা করবেন, কী কী বৈশিষ্ট্য একজন সুখী মানুষের থাকে—চেষ্টা করেছি বিস্তারিতভাবে এ বইয়ে বিধৃত করতে ।
অধ্যাপক ডা. মােঃ তাজুল ইসলাম একজন সাইকিয়াট্রিস্ট (মনােরােগ বিশেষজ্ঞ)। জন্ম : চাঁদপুর জেলার মতলব থানাধীন পশ্চিম বাইশপুর (বালুচর)। গ্রামে। পিতা : দেওয়ান আবদুল খালেক। তিনি মতলবগঞ্জ হাইস্কুল থেকে এসএসসি, ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। ১৯৯২ সালে সাইকিয়াট্রিতে উচ্চতর এফসিপিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মিটফোর্ড হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি অধ্যাপক হিসেবে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে কর্মরত রয়েছেন। মানসিক রােগের চিকিৎসা বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য হু-এর ফেলােশিপ অর্জন করেন ব্যাংকক, থাইল্যান্ড থেকে। পরবর্তী সময় আরাে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। জাইকা ফেলােশিপ পান জাপান থেকে। মনােসামাজিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও স্বাস্থ্য সাময়িকীগুলােতে যেসব মনোেরাগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ লিখে আসছেন, তিনি তাদের মধ্যে প্রথম সারির একজন। তার মনের সুখ মনের অসুখ ও ‘মানসিক সমস্যা : ধরন কারণ ও প্রতিকার’ ‘শিশুবিকাশ-১, ২, ৩’, ‘টিন-এজ মন : সমস্যা ও সমাধান, ‘উদ্বেগ-টেনশন : মনােবৈজ্ঞানিক সমাধান, ব্যক্তিত্ব ও আত্মমর্যাদাবােধ : সবল ও মজবুত করার মনােবৈজ্ঞানিক কৌশল” শিরােনামের মনােবিজ্ঞানের বইগুলাে ইতােমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। ডাক্তার ও মেডিকেল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি ইংরেজি ম্যানুয়েলও তিনি প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও তার অনেক মৌলিক গবেষণা-কর্ম রয়েছে। এখনাে লেখালেখি ও গবেষণা কর্মে নিজেকে নিয়ােজিত রেখেছেন। তিনি এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক।